শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
গত মাসের ২৭ তারিখে ইংলিশবাজার শহরের বিনয় সরকার অতিথি আবাসে দলীয় বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন সভাধিপতি। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের সভানেত্রী মৌসম নুর সহ তাবড় তাবড় নেতা। তারপরই ওই কর্মাধ্যক্ষের করোনা ধরা পড়ে। সে খবর ছড়িয়ে পড়তেই দলের মধ্যেই আতঙ্ক ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এবং সুরক্ষা বিধি মেনে চলতে তাই এই নির্দেশ দিতে হয়েছে দলের জেলা নেতৃত্বকে। নির্দেশ মেনে এদিন থেকেই নেতা নেত্রীরা হোম কোয়ারেন্টাইনে চলে গিয়েছেন।
এবিষয়ে মৌসম বলেন, দলের এই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি আবার তার অল্প কিছুদিন আগেই আমাদের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ার একটা আশঙ্কা রয়েছে। তাই সেদিনের বৈঠকে যে সমস্ত জনপ্রতিনিধি, পদাধিকারীরা উপস্থিত ছিলেন প্রত্যেককেই কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। নিজেও কোয়ারেন্টাইনেই রয়েছি।
জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত শর্মা বলেন, দলীয় নির্দেশ পেয়ে হোম কোয়ারান্টাইনে রয়েছি। এদিন থেকে আগামী ১৪ দিন কোনও দলীয় কাজ বা মিটিং, বৈঠক জেলায় হবে না। তবে আমরা রাজনৈতিক কর্মসূচি চালিয়ে যাব অনলাইনে। অনলাইনেই ভিডিও কনফারেন্স এবং ফোনের মাধ্যমে আমরা সব কাজকর্মই পরিচালনা করতে পারব।
মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) বিকাশ সাহা বলেন, জেলা পরিষদের সেই করোনা আক্রান্ত সদস্যের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন তাঁদের প্রত্যেকেরই সোয়াব টেস্ট করা হবে। আমিও এনিয়ে খোঁজখবর রাখছি।
অনুমান করা হচ্ছে, পুরাতন মালদহ ব্লকের বিডিও অফিস থেকেই প্রাক্তন সভাধিপতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ইতিমধ্যেই ওই অফিসের একাধিক কর্মী, এমনকি খোদ বিডিও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত প্রাক্তন সভাধিপতি সম্প্রতি মালদহ জেলা পরিষদের অফিসেও একাধিকবার যাতায়াত করেছেন।
এদিকে মঙ্গলবার থেকেই পুরাতন মালদহ শহরে ফের লকডাউনের বিধি নিষেধ নিয়ে কড়াকড়ি শুরু হয়ে গিয়েছে। করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনই বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুলিসের কড়াকড়ির কারণেই মানুষ রাস্তায় কম বেরোচ্ছে। অনেকেই মুখে মাস্ক ব্যবহার করছেন। পুলিসি তৎপরতায় সময়ের মধ্যেই শহরের সব্জি বাজার, মাছ বাজার এবং অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা পুলিসের এক পদস্থ কর্তা বলেন, লকডাউনের যে নিয়ম করা হয়েছে সেটা কোনওভাবেই অমান্য করা যাবে না। করোনা ভাইরাস রোধে আমরা কড়া নজর রাখছি। নিয়ম ভঙ্গকারীদের কঠোর শাস্তির মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ভাইরাসের সঙ্গে কোনওরকম আপোস নয়। আমরা আলাদা আলাদা দল বানিয়ে বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে নজরদারি চালাচ্ছি। মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ভাইরাস মোকাবিলায় পুলিস সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। সরকারি যে নির্দেশিকা রয়েছে, তা সকলকে মেনে চলতে বলা হয়েছে।