শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
করোনা মহামারীর মধ্যে ডেঙ্গু যাতে থাবা বসাতে না পারে সেইজন্য সচেষ্ট হয়েছে জলপাইগুড়ি পুরসভা। এই পরিস্থিতিতে আগামী সোমবার থেকে পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু সমীক্ষার কাজ শুরু হচ্ছে। যাঁরা এই সমীক্ষা করবেন তাঁরা কীভাবে তা করবেন সেটা জানাতে এদিন পুরসভা একটি কর্মশালা করে। পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে ছ’জন করে কর্মী বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষার কাজ করবেন। বিভিন্ন আবাসন ও বহুতলেও সমীক্ষা করা হবে। কোথাও জল জমে রয়েছে কি না তাও তাঁরা খতিয়ে দেখবেন। করোনা মধ্যেই যেহেতু এই কাজ করা হবে তাই যাঁরা সমীক্ষা করবেন তাঁদের মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও গ্লাভস দেওয়া হবে। কোনও বাড়িতে কেউ প্রবেশ করতে না পারলে সেখানে তাঁরা সচেতন করবেন। প্রতিদিন পুরসভাকে ওই টিম লিডার রিপোর্ট দেবেন। এছাড়াও মশার উপদ্রব কমাতে ফগিং ও লার্ভা মারার কাজ নিয়মিত করা হবে। কারও জ্বর, সর্দি, কাশি প্রভৃতি থাকলে সেটা ওই সদস্যরা জানাবেন। আমরা দ্রুত সমীক্ষার কাজ শেষ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
এদিকে কিছুদিন ধরে পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড ও শহর সংলগ্ন এলাকায় শুয়োরের উৎপাত বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার থেকেই পুরসভার পক্ষ থেকে শুয়োর ধরার অভিযান শুরু করা হল। এদিন পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। সেই অভিযানে ১৭টি শুয়োর ধরা হয়। সৈকতবাবু বলেন, কয়েকদিন ধরেই পুরসভায় শুয়োরের উৎপাত নিয়ে অভিযোগ আসছিল। করোনা পরিস্থিতির মাঝেও আমরা তাই শুয়োর ধরার কাজ শুরু করেছি। সেইসঙ্গে শুয়োরপালকদের সতর্ক করা হয়েছে। তাঁদের বলা হয়েছে, শুয়োর পালতেই হলে বাড়িতে রেখে পালতে হবে। কারও অসুবিধা করে ব্যবসা করা যাবে না।