কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মযোগ আছে। ব্যবসায় যোগ দেওয়া যেতে পারে। কোনও বন্ধুর ... বিশদ
এদিন বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল বলেন, আমরা নতুন জেলা কমিটি ঘোষণা করেছি। দলের বিভিন্ন স্তরের নতুন মুখ ও সক্রিয় কর্মীদের এই কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে। নবীন ও প্রবীণদের মধ্যে সমন্বয় রেখেই এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা নিশ্চিত যে নতুন কমিটির নেতৃত্বে বিজেপি মালদহে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
নতুন কমিটিতে জেলা সভাপতি ছাড়াও আটজন সহ সভাপতি, তিনজন সাধারণ সম্পাদক, আটজন সম্পাদক ও একজন কোষাধ্যক্ষ স্থান পেয়েছেন। নতুন কমিটিতে চারজন মহিলা সদস্যাও রয়েছেন। মোট ২০জনের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন সহ সভাপতিদের মধ্যে তিনজন ইংলিশবাজারের ও একজন পুরাতন মালদহের বাসিন্দা। তিনজন সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে একজন ইংলিশবাজারের এবং একজন পুরাতন মালদহের প্রতিনিধি। সম্পাদকদের মধ্যে তিনজনই ইংলিশবাজারের বাসিন্দা। কোষাধ্যক্ষ নিজেও ইংলিশবাজারের প্রতিনিধি। সব মিলিয়ে ২১জনের কমিটিতে জেলা সভাপতি সহ ১১জনই ইংলিশবাজার ও পুরাতন মালদহ শহরের বাসিন্দা।
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি জেলার দুই পুরসভার নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই এই দুই এলাকা থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিনিধি রাখা হয়েছে জেলা কমিটিতে? বিষয়টি অস্বীকার করেননি বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডলও। তিনি বলেন, পুরসভা নির্বাচনকে আমরা অবশ্যই গুরুত্ব দিচ্ছি। দুই পুরসভা ও বিধানসভা এলাকার অনেকেই আছেন এই কমিটিতে। তবে তাঁরা নিজেদের যোগ্যতাতেই নতুন কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। আমরা আঞ্চলিকতার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না সব সময়। সব অংশের প্রতিনিধিদের যোগদানের মাধ্যমেই এই কমিটি তৈরি করা হয়েছে।
তবে বিজেপির আরেকটি অংশের দাবি, বিজেপি নেতৃত্বের অনেকেই শহরে থাকেন। কেউ ইংলিশবাজার আবার কেউ পুরাতন মালদহে থাকেন। কমিটিতে তারই প্রতিফলন দেখা গিয়েছে। রাজ্য বা কেন্দ্রীয় কমিটিতেও একই ধরণের ঘটনা ঘটে। কলকাতা ও দিল্লি সংলগ্ন এলাকার নেতানেত্রীরাই তাতে বেশি স্থান পান। এটিই ট্র্যাডিশন।
এদিকে গোবিন্দ মণ্ডল বলেন, আমরা সমবায়ের দিকে বেশি নজর দিচ্ছি। কৃষি সমবায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন সমবায়ে আমাদের প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা নীচু স্তর থেকে নেতৃত্ব তুলে আনায় বিশ্বাস করি।