কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মযোগ আছে। ব্যবসায় যোগ দেওয়া যেতে পারে। কোনও বন্ধুর ... বিশদ
তৃণমূলের জেলা সভাপতি কিষাণ কল্যাণী ঘনিষ্ঠ এক নেতা, মোহন বসুর ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলার, বর্তমান ভাইস চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল সহ এক যুব নেতার নাম এক্ষেত্রে মুখে মুখে ঘোরাফেরা করছে। যদিও প্রকাশ্যে তাঁরা এনিয়ে মুখ খুলতে চাননি। জেলা নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছে, পুরভোটে কাউকেই মুখ করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে না দল।
জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভাপতি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকেই সামনে রেখে পুরভোটে আমরা লড়ব। পুরভোটে কাউকেই আলাদা করে মুখ করা হবে না।
মোহন বসুর ঘনিষ্ঠ চেয়্যারমান ইন কাউন্সিল পূর্ত সন্দীপ মাহাত এখন বকলমে পুরসভা পরিচালনা করছেন। শিক্ষিত ও মার্জিত এই কাউন্সিলারের প্রশাসনিক স্তরে প্রভাব রয়েছে অনেকটাই। মোহন বসুর অসুস্থতায় পুরদপ্তর থেকে ফান্ড আনতে তিনিই কলকাতায় দৌড়ঝাঁপ করছেন। অবাঙালি ভোটারদের মধ্যেও আলাদারকম তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে। ব্যবসায়িক মহলেও বেশ পরিচিত রয়েছে। সেক্ষেত্রে মোহন বসুর অবর্তমানে সন্দীপবাবুকে সামনের সারিতে দল আনতেই পারে বলে তাঁর অনুগামীরা দাবি করছেন। অন্যদিকে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রাক্তন কাউন্সিলার তথা বর্তমান কাউন্সিলার সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বামী তপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবার নির্বাচনে প্রতিন্দ্বিতা করতে পারেন। নিজের ওয়ার্ডে স্থানীয় ক্লাবের সভাপতিও তিনি। জেলা সভাপতির সঙ্গে তপনবাবুর ঘনিষ্ঠতা সাম্প্রতিককালে অনেকটা বেড়েছে। পুরসভার শাসক দলের সব লবির সঙ্গে তাঁর সখ্যতা রয়েছে। জলপাইগুড়ি টাউন ব্লক সভাপতি হিসেবে তাঁর নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। সিএএ, এনআরসি বিরোধী মিটিং মিছিলে বিভিন্ন ওয়ার্ডে তাঁকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যাচ্ছে। জেলা সভাপতির ঘনিষ্ঠ এই নেতা মোহনবাবুর অবর্তমানে নেতৃত্ব দিতে দাবিদার হয়ে উঠছে।
জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি তথা পুরসভার চেয়্যারমান ইন কাউন্সিল জল সৈকত চট্টোপাধ্যায় মোহন বসুর পরিবর্তে নিজেকে পুরসভার মুখ করে তুলতে উদ্যোগী হয়েছেন। আসন সংরক্ষণের গেরোয় এবারে তিনি তাঁর জিতে আসা গতবারের ১১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দাঁড়াতে পারছেন না। তবে নিজের বাড়ি ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে লড়তে পারেন। নিজের পাশাপাশি ঘনিষ্ঠ একাধিককে নেতাকে প্রার্থী করতে তিনি উদ্যোগী হয়েছেন। নিজের ঘনিষ্ঠরা টিকিট পেয়ে ভোটে জিতলে তিনি দলের মুখ হয়ে উঠতে পারেন।
মোহনবাবু অসুস্থ থাকায় এখন পুরসভা পরিচালনা করছেন ভাইস চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল। আসন সংরক্ষণের গেরোয় নিজের ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারছেন না তিনি। অন্য আসনে দাঁড়ানোর জন্য দলের কাছে আবেদন করেছেন। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির পাপায়াদেবী দল শেষ মুহূর্তে তুরুপের তাস করতে পারে।