কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মযোগ আছে। ব্যবসায় যোগ দেওয়া যেতে পারে। কোনও বন্ধুর ... বিশদ
এব্যাপারে মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে বৈষ্ণবনগরে যুবতীকে খুন করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, সোমবার বৈষ্ণবনগর থানা এলাকায় গঙ্গার চর থেকে ওই যুবতীর বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর গলার নলি কাটা ছিল। নলি কেটে খুনের পর ওই যুবতীর দেহ বস্তায় ভরা হয়েছিল। তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য গঙ্গার চরে ফেলে দেওয়া হয়। মৃত যুবতীর বাড়ি বৈষ্ণবনগর থানার চক সুজাপুর গ্রামে। পুলিস এবং পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পাশের পাড়ার বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে ওই যুবতীর দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বছরখানেক আগে ওই যুবতী তাঁর প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। কিছুদিন তাঁরা একসঙ্গেও ছিলেন। তবে ওই যুবকের পরিবারের তরফে ওই যুবতীকে মেনে নেওয়া হয়নি। তাঁরা আইন মেনে বা সামাজিকভাবে বিয়েও করেননি বলে ওই যুবকের পরিবারের দাবি। ফলে কিছুদিনের মধ্যে ফের ওই যুবতী নিজের বাড়িতে ফিরে যান।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দূরত্ব তৈরি হলেও ওই যুবতীর সঙ্গে যুবকটির যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়নি। কয়েকমাস আগে সে বিয়ে করে। বিয়ের পরেও ফোনে বান্ধবীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল বলে পুলিস জানতে পেরেছে। সম্প্রতি দু’জনের মধ্যে ফের নতুর করে ঘনিষ্ঠতাও তৈরি হয়। গত ৯ ফেব্রুয়ারি বাড়ি থেকে রহস্যজনকভাবে ওই যুবতী নিখোঁজ হয়ে যান। তার তিনদিন পর যুবতীর পরিবারের তরফে বৈষ্ণবনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এদিকে, কাজে যাওয়ার নাম করে ওই যুবকও কয়েকদিনের জন্য বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যায়। ফলে তারা একসঙ্গে পালিয়ে গিয়েছে বলে এলাকাবাসী অনুমান করে। পুলিস ওই যুবতীর বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করার পর ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়। মৃতার বাবা থানায় ওই যুবক এবং তার পরিবারের কয়েকজনের নামে মেয়েকে খুনের অভিযোগ জানিয়েছেন। পুলিস একটি মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
ওই যুবতীর বাবা বলেন, ছেলেটি আমার মেয়ের জীবন নষ্ট করেছিল। সে নতুন করে সংসার পাতলেও মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত। যুবকটিই মেয়েকে আগ বাড়িয়ে ফোন করত। বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে একাধিকবার গণ্ডগোলও হয়। সেই আমার মেয়েক নৃশংসভাবে খুন করেছে। আমরা দোষীদের শাস্তি চাই।
এদিকে, পলাতক থাকায় ওই যুবক বা বাকি অভিযুক্তদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই যুবকের এক আত্মীয় বলেন, বিয়ের পর সে ওই যুবতীর সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু যুবতীর তরফে আমাদের বাড়ির ছেলেকে ক্রমাগত বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে বিবাদ চরমে পৌঁছেছিল। তবে আমাদের বাড়ির ছেলে খুন করতে পারে বলে মনে হয় না।
এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ থাকলেও ওইসময় খুন করা হয়নি। তিন-চারদিন আগে যুবতীকে খুন করা হয়েছে বলে দেহ দেখে আমাদের অনুমান। ফলে যুবতী কয়েকদিনের জন্য অন্য কোথাও ছিলেন, এটা একপ্রকার নিশ্চিত।