কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মযোগ আছে। ব্যবসায় যোগ দেওয়া যেতে পারে। কোনও বন্ধুর ... বিশদ
তৃণমূল সূত্রের খবর, ওয়ার্ড সভাপতিদের ওই বৈঠকে দলের পুরানো কর্মী ও গত পুরসভা নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন তাঁদের গুরুত্ব দিয়ে প্রার্থী করার দাবি ওঠে। যাঁরা ফরওয়ার্ড ব্লক ও সিপিএম থেকে ভোটে জিতে দল বদল করে তৃণমূলে এসেছেন তাঁদের এবারের নির্বাচনে টিকিট পাওয়ার বিষয়ে বৈঠকে প্রশ্ন তোলা হয়। যদিও প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিরোধের কথা মানতে চাননি তৃণমূলের শহর ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি অসীমবাবু ও বিধায়ক উদয়ন গুহ।
অসীম নন্দী বলেন, ১৬টি ওয়ার্ডের সভাপতির সঙ্গে পুরভোট নিয়ে বৈঠক করা হয়। একজন বাদে সকলেই ছিলেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যাঁরা আমাদের দলের প্রতীকে ভোটে লড়বে তাঁদের হয়ে জোরদার প্রচার করে প্রার্থীকে জিতিয়ে নিয়ে আসতে হবে। প্রার্থী নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই।
চেয়ারম্যান উদয়ন গুহ বলেন, কাকে প্রার্থী করা হবে, কাকে করা হবে না, এরকম কোনও আলোচনা হয়নি। দল যাঁকে প্রার্থী করবে তারজন্য সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়ে জেতাতে হবে। তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে। তাছাড়া প্রার্থী নেতৃত্ব ঠিক করবে। সবদিক বিচার করে, গ্রহণযোগ্যতা দেখে প্রার্থী করবে দল। এখানে আদি, নব্য, খাঁটি এসব নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই।
২০১৫ সালে দিনহাটা পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৬, ১০, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের প্রার্থীরা। বাকি ১৩ আসনের মধ্যে ফব ১০টি ও সিপিএম তিনটি আসনে জয়ী হয়েছিল। ১৫ নম্বর আসন থেকে জয়ী ফব প্রার্থী উদয়ন গুহকে চেয়ারম্যান করে পুরবোর্ড গড়ে বামেরা। পরবর্তীতে ফব’র ১০ ও সিপিএমের এক কাউন্সিলার তৃণমূলে যোগ দেন। এরপর থেকেই দিনহাটা পুরবোর্ড দখলে চলে আসে তৃণমূলের। গত পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রতীকে যে প্রার্থীরা বামেদের বিরুদ্ধে ভোটে লড়াই করেছিলেন তাঁরাও এবার ভোটে লড়াই করতে চাইছেন। অন্যদিকে বাম শিবির ছেড়ে ঘাসফুলে যোগ দেওয়া জয়ী কাউন্সিলাররা তাঁদের আসনে প্রার্থী হওয়ার দাবিদার হওয়ায় বিরোধের সুত্রপাত। পুরনো তৃণমূলের কর্মীদের বক্তব্য, যাঁরা দীর্ঘদিন থেকে দিনহাটায় বামেদের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন তাঁদের বাদ দিয়ে বাম শিবির ছেড়ে তৃণমূল আসা কাউন্সিলারদের প্রার্থী করা হলে বঞ্চিত হবে দলের পুরানো কর্মীরা। সেজন্য দলের পুরানো কর্মীদের আগে পুরসভার টিকিট দেওয়ার দাবি উঠেছে।
পুরসভার টিকিট নিয়ে শাসক দলের মধ্যে বিরোধের কথা প্রকাশ্যে আসতেই কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। বিজেপি নেতা সুদেব কর্মকার বলেন, এবারের ভোটে তৃণমূলকে কেউ ভোট দেবে না। তৃণমূলের যেই প্রার্থী হোক না কেন বিজেপির কাছে হারতে হবে। দলবদল করে তৃণমূলে গিয়ে চেয়ারম্যান শহরের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তাই এবার ওনাকে কেউ ভোট দেবে না।