সম্পত্তি সংস্কার বিষয়ে চিন্তাভাবনা ফলপ্রসূ হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি। যাবতীয় আটকে থাকা কাজের ক্ষেত্রে ... বিশদ
এনিয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত শর্মা বলেন, প্রকাশ্যে মাটি কেটে পাচার করার ঘটনা উদ্বেগজনক। ওই প্রধানের বিরুদ্ধে এলাকা থেকে নানা অভিযোগ আমরা পাচ্ছি। সমস্ত বিষয়েই প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলব। মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিজেপির শুভলক্ষ্মী গায়েন চৌধুরী বলেন, এলাকাবাসীরা নিজেদের উদ্যোগে মাটি খোঁড়ার কাজ করছেন। এব্যাপারে পঞ্চায়েত কোনওভাবেই জড়িত নয়। পঞ্চায়েতের কোনও ভূমিকা নেই। মাটি কাটার জন্য পঞ্চায়েত কোনও অর্ডারও দেয়নি। আমরা পঞ্চায়েত থেকে ক্যানেল সংস্কারের কথা প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম। তবে অনুমোদন পাইনি। কিছুদিন আগে ওই এলাকায় মাটি খোঁড়া নিয়ে আমিই প্রতিবাদ করেছিলাম। স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল। ফের যদি মাটি কাটা হয় তাহলে পঞ্চায়েতের অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে আলোচনা করে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলব।
এবিষয়ে পুরাতন মালদহের ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক সুশান্ত চক্রবর্তী বলেন, মাটি কাটার বিষয়টি জানা নেই। এমনটা হয়ে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মালদহ থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা বলেন, কোনওরকম অবৈধ কাজ পুলিস অনুমোদন করে না। আমরা এনিয়ে পদক্ষেপ করছি। পুরাতন মালদহ ব্লকের বিডিও ইরফান হাবিব বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।
মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সিন্ধিয়া গ্রামে পরিত্যক্ত ক্যানেল থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটা চলছে। এলাকার বাসিন্দারা বলেন, মজে যাওয়া সরকারি ক্যানেল থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটা হচ্ছে। সেই মাটি চড়া দামে বাইরে বিক্রি করা হচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে একটি চক্র এখানে কাজ করছে। স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রভাবশালীদের মদতও এতে রয়েছে। এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, সরকারি সম্পত্তি ব্যবহার করে মাটি মাফিয়ারা কামিয়ে নিচ্ছে। রীতিমতো মেশিনের সাহায্যে ক্যানেল থেকে মাটি তুলে ট্রাক্টরের করে তা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ট্রাক্টর প্রতি ৩০০-৭০০ টাকা করে উপার্জন হচ্ছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এতে পরোক্ষভাবে স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্যদের মদত রয়েছে। যে কারণে প্রকাশ্যে মাটি কাটা হলেও ওই পঞ্চায়েতের প্রধান সহ অন্য সদস্যরা চোখ বুজে আছেন। ক্যানেলের কয়েকশো মিটার জুড়ে ১০-১৫ ফুট গভীরতায় মাটি কেটে নেওয়া হয়েছে। এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ সরকার বলেন, এনিয়ে ইতিমধ্যেই আমি জেলা ও ব্লক প্রশাসনে অভিযোগ করেছি। তবে মাটি কাটা বন্ধ হয়নি।