কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
স্বপ্না উত্তর পাটকাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার ভাই মিন্টু রায় পাটকাপাড়া হাইস্কুলেরই একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। চার জনের অভাবের সংসারে দু’বেলা দু’মুঠো ভাত জোগাড় করতেই তাদের রীতিমতো লড়াই করতে হয়। স্বপ্নার উচ্চশিক্ষার জন্য বাবা মায়ের পক্ষে অর্থ জোগাড় করা খুবই কষ্টকর বিষয়। কিন্তু সে হাল ছাড়তে নারাজ। সে উচ্চশিক্ষা লাভ করে শিক্ষিকা হতে চায়। স্বপ্না বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমি অভাবের মধ্যদিয়ে বড় হয়েছি। আমার মতো এরকম অনেক ছাত্রছাত্রী রয়েছে যারা অর্থাভাবের কারণে লেখাপড়া করতে পারে না। শিক্ষিকা হয়ে আমি ওই সমস্ত দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার জন্য সহযোগিতা করতে চাই। উচ্চ মাধ্যমিকে আমার এই ফলের পিছনে আমার স্কুলের শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদের অবদান রয়েছে। তাঁরা আমাকে সব সময় সহযোগিতা করে উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো ফল করার জন্য উৎসাহিত করেছেন। বাড়িতে বাবা এবং মা আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন।
পাটকাপাড়া হাইস্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক শিলাদিত্য ভট্টাচার্য বলেন, স্বপ্না খুব ভালো ছাত্রী। আমাদের স্কুল থেকেই সে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। মাধ্যমিকেও সে ভালো ফল করেছিল। আগামী দিনের লেখাপড়ার জন্য আমারা তার দিকে সব ধরনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব। উচ্চশিক্ষা লাভ করে তার শিক্ষিকা হওয়ার লক্ষ্য পূরণ হোক এটা আমরা চাই। ছাত্রী স্বপ্নার বাবা ফলিন রায় এবং মা সাবিত্রী রায় বলেন, আমাদের অভাবের সংসার। ভাত কাপড় জোগাড় করতেই আমাদের হিমশিম খেতে হয়। আমাদের মেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো ফল করায় আমরা গর্বিত। কিন্তু মেয়ের উচ্চশিক্ষার জন্য টাকা পয়সা কোথা থেকে আসবে তা ভেবে পাচ্ছি না।