সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
মানিকচক বিধানসভার বিধায়ক কংগ্রেসের মোত্তাকিন আলম বলেন, উন্নয়নমূলক কাজে আমরা সাপোর্ট করব। তবে সেটা যদি নিয়মবহির্ভূত হয় তাহলে এর বিরোধিতা থাকবেই। যতদূর জানি নির্বাচনী আচরণবিধি থাকলে কোনও উন্নয়নমূলক কাজের সূচনা করা যায় না। সেখানে সভাধিপতির স্ত্রী কীভাবে রাস্তা উদ্বোধন করতে পারলেন সেই ব্যাখ্যাটি তাঁরাই ভালোভাবে দিতে পারবেন। তৃণমূল আইন কানুন নীতি-আদর্শ কিছুই বোঝে না, পরোয়াও করে না। এটা তারই প্রমাণ। বিজেপির জেলা সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র বলেন, মালদহে ভোটগ্রহণ মিটে গেলেও নির্বাচনী আচরণ বিধি বলবৎ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে কোনও নতুন কাজ সূচনা বা উদ্বোধন কিছুই করা যায় না। তৃণমূল সব অসম্ভবকে সম্ভব করে দিচ্ছে। ওরা কোনও কিছু কে তোয়াক্কা করে না। গোটা রাজ্য জুড়ে যে সংস্কৃতি চলছে। এ জেলাতেও তাই হচ্ছে। মানিকচক ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কৈলাস চন্দ্র মণ্ডল বলেন, আচরণ বিধি রয়েছে ঠিকই। কিন্তু ভোট এ জেলায় মিটে গিয়েছে। তাই উন্নয়নকে আটকে রাখা যায় না। ওই কাজ অনেকদিন থেকেই চলছে। সভাধিপতির স্ত্রী এদিন অতিথি হিসাবে কাজ দেখতে এসেছিলেন। এছাড়া এখানে অন্য কোনও বিষয় নেই।
এবিষয়ে অশোকাদেবীর সঙ্গে কথা বলার জন্য তাঁকে ফোন করা হলে তাঁর মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক সীমার বাইরে থাকায় যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। এবিষয়ে গৌরবাবু বলেন, এখানে তো আর নির্বাচন নেই। যেখানে নির্বাচন আছে সেখানে এই আচরণ বিধির প্রসঙ্গ উঠলে আলাদা বিষয় দাঁড়াত। রাস্তার উদ্বোধন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব করেছে। এখানে বিতর্কের কিছু দেখছি না। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ইলেকশন প্রসেস চলছে। ২৭ মে জেলা থেকে নির্বাচনী বিধি উঠে যাবে। তবে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এলে দেখা হবে।
এদিন সকালে মালদহের মানিকচক গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম নারায়ণপুর গ্রামের আলতাফ মোমিনের বাড়ি থেকে মহেন্দ্র টোলা পর্যন্ত প্রায় ৫২৪ মিটার ঢালাই রাস্তার ফিতা কেটে সূচনা হয়। জেলা পরিষদ তহবিল থেকে প্রথম দফায় ২৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই রাস্তাটির কাজ শুরু হয়। এদিন এ রাস্তার ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌর মণ্ডলের স্ত্রী অশোকা মণ্ডল। তাঁর এই রাস্তা উদ্বোধন ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। জেলায় এখনও লোকসভার নির্বাচনী আচরণ বিধি বলবৎ রয়েছে। নির্বাচনী আচরণ বিধি লাগু থাকলে নতুন করে কোন উন্নয়নমূলক কাজ করা বা তার সূচনা বা উদ্বোধন করা যায় না। তাই এদিন সভাধিপতির স্ত্রীর ভূমিকা বিতর্ক উসকে দিয়েছে।