কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
দিন দুই আগেই এক অনুষ্ঠানে ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্ট হিসেবে কমলাকে এতটুকুও নম্বর দিতে চাননি ট্রাম্প। বলেছিলেন, কমলার চেয়ে তাঁর কন্যা ইভাঙ্কা প্রেসিডেন্ট পদে অনেক বেশি যোগ্য। আর এবার ভারতীয়দের সম্পর্কে ইভাঙ্কা কত ভাবেন। ভারতকে তাঁর কন্যা কত ভালোবাসেন, সেই কাহিনীই তুলে ধরলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কারণ টিম ট্রাম্পের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষাই বলছে, ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের মধ্যে দিন দিন জনপ্রিয়তা বাড়ছে ট্রাম্প কন্যার। এমনকী জুনিয়র ট্রাম্পও বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তাই ছেলে-মেয়েকে দিয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত অধ্যুষিত প্রদেশগুলিতে প্রচার সারছেন ট্রাম্প। এদিন ট্রাম্প বলেন, ‘আমার ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র, মেয়ে ইভাঙ্কা এবং নির্বাচনী প্রচার কমিটির প্রধান কিম্বারলি আমার মতোই ভারতকে নিয়ে অনেক বেশি চিন্তাভাবনা করে।’ তবে শুধু পরামর্শদাতা ইভাঙ্কাতেই ভরসা নেই বাবা ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ভারতীয় ভোট টানতে তিনি কাজে লাগাচ্ছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও। নিজেকে ভারতবন্ধু হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর নিয়ম করে প্রতিদিনই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম নিচ্ছেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এমন ঘটনা সম্ভবত এই প্রথমবার দেখা যাচ্ছে। তাতে অবশ্য কিছু আসে যায় না ট্রাম্পের। তাঁর মাথায় এখন শুধুই নির্বাচনী অঙ্ক। যে অঙ্ক গুলিয়ে দিয়েছেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জো বিডেন নয়, তাঁর ‘রানিং মেট’ কমলা হ্যারিস।
কী সেই অঙ্ক? ‘মেসন’ নামে এক সংস্থা জানিয়েছে, আমেরিকায় এখন ৪০ লক্ষ ভারতীয় বংশোদ্ভূত রয়েছেন। এঁদের মধ্যে ২৫ লক্ষই ভোটার। এই ভোট যে কোনও হিসেব উল্টে দিতে পারে। এতদিন ভারতীয় ভোট পেত ডেমোক্র্যাটরা। মোদি সখ্যতার কথা তুলে ধরে সেই ভোট এবার পাবেন বলেই ধরে নিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই জন্যই তিনি এত মোদি ভজনা করছেন। সম্প্রতি ভোটপ্রচারে হিউস্টনে ‘হাউডি মোদি’ অনুষ্ঠানের স্মৃতিচারণ করেন ট্রাম্প। মোদির প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘তিনি আমার বন্ধু। তিনি ভালো কাজ করছেন। এটা কিন্তু খুব সহজ নয়।’ এরপরেই তিনি বলেন, ‘হিউস্টনে আমরা একটি অসাধারণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম। আমাকে প্রধানমন্ত্রী মোদিই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কোনও প্রধানমন্ত্রীই এমন উদার হতে পারেন না। ভারত এবং মোদির আমাদের প্রতি সমর্থন রয়েছে।’শুধু হিউস্টনের কথাই নয়, তাঁর ফেব্রুয়ারি মাসের ভারত ভ্রমণের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন ট্রাম্প।