কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
এদিন কাটজু অভিযোগ করেন, তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ও ইডি সততার সঙ্গে তদন্ত করে না। কারণ, তাঁদের উপর রাজনৈতিক চাপ থাকছে। শুধু তাই নয়, ভারতের বিচারব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। ভারতীয় বিচারব্যবস্থায় প্রভাব খাটায় সরকার। তবে সব বিচারপতি যে এই চাপে প্রভাবিত হন না, তাও এদিন স্পষ্ট করেছেন কাটজু। নীরব মোদির মামলায় সাক্ষ্য দিতে গিয়ে তিনি অযোধ্যা মামলার রায়ের প্রসঙ্গও টেনে আনেন। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বলেন, বিচারের আগেই নীরব মোদিকে অপরাধী বানিয়ে ফেলেছেন ভারতীয় মন্ত্রীরা। এমনকী সংবাদমাধ্যমকেও এদিন একহাত নেন কাটজু। বলেন, এই মামলাকে অতিরিক্ত সংবেদনশীল বানিয়েছে সংবাদমাধ্যমই। বিচারপতিরাও এই ‘মিডিয়া ট্রায়ালে’ প্রভাবিত হতে পারেন।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কাটজু যখন ভারতীয় বিচারব্যবস্থা সম্পর্কেই নেতিবাচক মন্তব্য করছেন, তখন তাঁকে ভারত সরকারের কৌঁসুলি হেলেন ম্যালকম পাল্টা বলেন, আপনি নিজেই তো বর্তমান মামলা নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে অভিমত দিয়েছেন। এটা তো আপনার করা উচিত হয়নি। কাটজু এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি যেটুকু বলেছেন, তা জাতীয় স্বার্থে বলেছেন। তাছাড়া তিনি এখন দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারপতিও নন। এরপরেই তিনি বলেন, যেসব সাংবাদিক তাঁকে ফোন করেছিলেন তাঁদের তিনি শুধু সাক্ষি হওয়ার কথা বলেছেন। কাটজু বলেন, আমি ভারতে থাকি। তাই বাইরের কারও চেয়ে নিজের দেশের অবস্থা ভালো চিনি। নীরব মোদিকে কার্যত নাৎসি জার্মানির সময়কার ইহুদি বলে বর্ণনা করেন কাটজু। কারণ যেন মনে হচ্ছে, দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থার জন্য একা নীরব মোদিই দায়ী। এই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির সাক্ষ্য শুনতে শুনতে একসময় খানিক বিরক্ত হয়েই বিচারক স্যামুয়েল গুজ বলেন, এখানে আপনার ভূমিকা হল প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়া এবং যথাযথ প্রমাণ উপস্থাপিত করা।
গতকালই নীরব মোদির পক্ষে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে ডাঃ অ্যান্ড্রু ফরেস্টার বলেছিলেন, নীরব মোদির মা আত্মঘাতী হয়েছিলেন। অর্থাৎ, তাঁর পরিবারে সুইসাইড করার প্রবণতা রয়েছে। নীরব মোদির মানসিক স্বাস্থ্য ক্রমশই খারাপ হচ্ছে। এদিনই নীরব মোদির পাঁচদিনের শুনানি শেষ হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, তাঁর প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত মামলার রায় দিতে ডিসেম্বর হয়ে যাবে।
এদিকে, বেআইনি অস্ত্রকারবারি সঞ্জয় ভাণ্ডারির প্রত্যর্পণ মামলার শুনানি এদিন হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ এনেছে সিবিআই ও ইডি। তাঁর জামিনের মেয়াদ আগামী বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। বিচারক ডি জে গোল্ড স্মিথ জানিয়েছেন, শুনানি শুরু হবে আগামী বছরের ৭ জুন।