কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
কোভিড ১৯-এর প্রভাবে ইতিমধ্যেই পৃথিবীর ৪০ লক্ষের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ২ লক্ষ ৮২ হাজারের বেশি। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা আমেরিকার। সেখানে করোনায় সংক্রমণের সংখ্যা ১০ লক্ষের বেশি। মারা গিয়েছেন ৮০ হাজারের বেশি মানুষ। পরিসংখ্যান বলছে, মারণ করোনার প্রভাবে প্রথম তিন মাসে আন্তর্জাতিক পর্যটনের হার ২২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিশেষ এজেন্সির মতে, বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ব্যাপক অবনতির প্রভাব আন্তর্জাতিক পর্যটন শিল্পের উপর পড়তে বাধ্য। তাই, গত বছরের তুলনায় এই বছরে আন্তর্জাতিক পর্যটনের হার ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল। ফলে, লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব না হওয়ায় বিপদে পড়বেন এই পেশার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত ব্যক্তিরা। ইউএনডব্লুটিও-র সেক্রেটারি জেনারেল জুরাব পোলোলিকাসভিলি বলেছেন, ‘বিশ্ব এখন নজিরবিহীন স্বাস্থ্য ও আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছে। যার ফলে পর্যটন শিল্পকে ব্যাপক ক্ষতি স্বীকার করতে হবে। এই পেশার সঙ্গে যুক্ত বিপুল সংখ্যক মানুষকে চাকরি খোয়াতে হতে পারে।’ জানা গিয়েছে, করোনা মোকাবিলায় একাধিক দেশে লকডাউনের কারণে শুধু মার্চেই পর্যটক আগমনের হার ৫৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। উপযুক্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে কবে থেকে যে ফের পর্যটকদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা উঠবে, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তাই, এই বছরে পর্যটকদের আগমনের হার ৫৮ থেকে ৭৮ শতাংশ হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এক্ষেত্রে তিনটি সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। প্রথম ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, যদি জুলাইয়ের গোড়ার দিকে পর্যটকদের ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়, পর্যায়ক্রমে সব দেশই তাদের সীমান্ত পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়, সেক্ষেত্রেও এই বছর আন্তর্জাতিক পর্যটনের হার ৫৮ শতাংশ হ্রাস পেতে পারে। দ্বিতীয় সম্ভাবনাটি হল, যদি সেপ্টেম্বরের গোড়ায় পর্যটকদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে যাবতীয় বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে এবছর আন্তর্জাতিক পর্যটনের হার ৭০ শতাংশ হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা থাকবে। আর তৃতীয় সম্ভাবনা হল, ডিসেম্বরের প্রথমদিকে পর্যটকদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হলে, সেক্ষেত্রে চলতি বছরে আন্তর্জাতিক পর্যটনের হার ৭৮ শতাংশ হ্রাস পেতে পারে। পরিসংখ্যান বলছে, করোনার কারণে এই বছর আন্তর্জাতিক পর্যটকের সংখ্যা ৮৫ কোটি থেকে ১১০ কোটি পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে। আর্থিক বিচারে এই সম্ভাব্য ক্ষতির পরিমাণ হতে পারে ৯১ হাজার কোটি ডলার থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার কোটি ডলার। ১৯৫০ সালের পর আন্তর্জাতিক পর্যটন শিল্প এমন ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, আন্তর্জাতিক পর্যটনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ইতিবাচক ছবি ধরা পড়ছে আফ্রিকা ও পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলির ক্ষেত্রে। আর সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি আমেরিকার। এই বছরে পর্যটকরা আদৌ আমেরিকায় যেতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। অন্যদিকে, ইউরোপ ও এশিয়ার ক্ষেত্রে ছবিটা ফিফটি-ফিফটি। বাকিটা সময়ই বলবে!