বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
ঘটনাস্থল দিল্লি থেকে ৩০ কিমি দূরে ফরিদাবাদের বল্লবগড়ের একটি কলেজ। ঘড়ির কাঁটায় তখন বিকেল সাড়ে ৩টে। পরীক্ষা দিয়ে কলেজ থেকে বেরিয়েছিল বাণিজ্য বিভাগের চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রী নিকিতা। সঙ্গে ছিলেন তাঁর এক বন্ধু। ঠিক তখনই কলেজের বাইরে গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছিল তাঁর এক সময়ের বন্ধু তৌসিফ এবং তার সঙ্গী রেহান। খানিক তর্কাতর্কির পরই বন্দুক দেখিয়ে নিকিতাকে জোর করে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে তৌসিফ। নিকিতা হাত ছাড়িয়ে পালিয়ে যেতেই তাঁর দিকে ধেয়ে যায় তৌসিফ। বন্দুক বের করে খুব কাছ থেকে নিকিতাকে গুলি করে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই নিকিতার মৃত্যু হয়। এই ভয়ানক ঘটনার দৃশ্য বন্দি হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। মৃতার আত্মীয়দের দাবি, এর পিছনে লাভ জিহাদ রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ফরিদাবাদ পুলিস মনে করছে, প্রেমে প্রত্যাখ্যানের জেরেই এই খুন। নিকিতার পরিবারের দাবি, তৌসিফ দীর্ঘদিন ধরেই নিকিতার প্রেমে পাগল ছিল। ২০১৮ সালে তাঁকে একবার অপহরণও করেছিল তৌসিফ। যার জেরে নিকিতার বাবা মামলা দায়ের করেছিলেন। হরিয়ানা পুলিস জানিয়েছে, পরে বিষয়টির মীমাংসা হয়ে গেলে অভিযোগ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। এদিন নিকিতার বাবা বলেন, আমার মেয়েকে খুনই হতে হল। নিকিতার মা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। যতক্ষণ না অভিযুক্তদের এনকাউন্টারে মারা হচ্ছে, ততক্ষণ তিনি তাঁর মেয়ের সৎকার করবেন না বলে জানিয়েছেন। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া এই ঘটনার ভিডিও দেখে হরিয়ানা সরকারকে চিঠি পাঠিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ জনতা মঙ্গলবার ফরিদাবাদের বেশ কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর চালায়। পরে পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।