অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
এদিন লোকসভায় পেশ হওয়া রিপোর্টে সংশ্লিষ্ট কমিটি বলেছে, রেলসেতুর রক্ষণাবেক্ষণ এবং নজরদারির জন্য রেলমন্ত্রকের নির্দিষ্ট কর্মী রয়েছেন। কিন্তু সেইসব ক্ষেত্রে শূন্যপদের সংখ্যা অনেক বেশি। যেখানে এই ক্যাটাগরিতে ৭ হাজার ৬৬৯ জন কর্মী থাকার কথা, সেখানে রেলে রয়েছেন মাত্র ৪ হাজার ৫১৭ জন কর্মচারী। অর্থাৎ এই বিভাগে শূন্যপদের সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশ। স্বাভাবিক কারণেই কর্মীর অভাব রেলসেতুগুলির উপর নিয়মিত নজরদারি চালানোর ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়েতে এই সমস্যা মাত্রাতিরিক্ত হয়েছে। রিপোর্টে স্ট্যান্ডিং কমিটি স্পষ্ট জানিয়েছে, রেলওয়ে ট্র্যাকের চেয়েও সুরক্ষার দিক থেকে রেলসেতুর গুরুত্ব অপরিসীম। ফলে কর্মীসঙ্কট আদতে প্রভাব ফেলতে পারে রেলের নিরাপত্তা ইস্যুতে। কমিটি সুপারিশ করে জানিয়েছে, কর্মীসঙ্কট যতদিন না মিটছে, ততদিন পর্যন্ত রেল ডেপুটেশনের ভিত্তিতে এইসব শূন্যপদে লোক নিয়োগ করতে পারে। অথবা সেতুর দেখভাল ও রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গে যুক্ত এমন কোনও সরকারি সংস্থার কাছে আবেদন জানাতে পারে। যেমন প্রতিরক্ষা, হাইওয়ে অথরিটিস, রোড এজেন্সি। সেক্ষেত্রে সাময়িকভাবে কিছুটা সুরাহা হতে পারে। যদিও এর উত্তরে রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেফটি ক্যাটাগরিতে রেলের শূন্যপদের সংখ্যা কত, তা জানাতে বলে রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান চিঠি পাঠিয়েছেন সমস্ত জেনারেল ম্যানেজারদের। কিছু ক্ষেত্রে প্রাক্তন-সেনাকর্মীদেরও কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
রিপোর্টে রেলওয়ে সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি জানিয়েছে, ২০১২ সালে অনিল কাকোদকরের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা পর্যালোচনা কমিটি গঠন করেছিল রেলমন্ত্রক। সেই কমিটি সুরক্ষা এবং রেলসেতুর রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত বেশ কিছু সুপারিশও করেছিল। কিন্তু সেইসব সুপারিশের পর ছ’বছর কেটে গেলেও পুরোপুরি তা গ্রহণই করা হয়নি। ওই বিশেষজ্ঞ কমিটির যাবতীয় সুপারিশ একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বাস্তবায়িত করার কথাও রিপোর্টে বলা হয়েছে। সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি জানিয়েছে, নতুন কোনও সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ এবং নজরদারির জন্য রেলমন্ত্রক যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, শতাধিক পুরনো ব্রিজের জন্যও সেই একই পদ্ধতি মেনে চলা হয়। কিন্তু যেসব রেলসেতুর বয়স ১০০ বছর বা তার বেশি, সেগুলির জন্য সম্পূর্ণ আলাদা পদক্ষেপ করা উচিত। এক্ষেত্রে যেসব রেলসেতুর কিছু অংশ জলের তলায় রয়েছে, সেগুলির উপর নজরদারি চালানোর ক্ষেত্রেও অসন্তোষ ব্যক্ত করেছে কমিটি। রিপোর্টে তারা বলেছে, এসব ক্ষেত্রে প্রতি পাঁচ বছরে মাত্র একবার জলের তলার অংশগুলির উপর নজরদারি চালায় রেল। কিন্তু সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার স্বার্থে এই নজরদারি আরও বেশিবার চালানো উচিত। যদিও এক্ষেত্রে যে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করছে রেল, রিপোর্টে তা মেনে নিয়েছে কমিটি।