উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
আদেশনামায় বলা হয়েছে, শিক্ষক বদলির যাবতীয় দায়িত্ব স্কুল সার্ভিস কমিশনকেই সরকার দিয়ে রেখেছে। কিন্তু ১৪ অক্টোবর কমিশনের তরফে চিঠি পাঠিয়ে দপ্তরের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে, শিক্ষক বদলির কাজ থেকে তাদের যেন অব্যাহতি দেওয়া হয়। কারণ তাদের হাতে এই মুহূর্তে যথাযথ পরিকাঠামো নেই। চেয়ারম্যানের পদটিও খালি। তাই শিক্ষক বদলির বিপুল কাজের দায়িত্ব তাদের পক্ষে সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। স্কুল শিক্ষা দপ্তরের আদেশনামাটিতে বলা হয়েছে, এই আবেদনের ভিত্তিতেই শিক্ষকদের বদলির বিষয়টি কমিশনারের মাধ্যমে পরিচালিত হবে, যতদিন না পরিস্থিতির উন্নতি হয় বা পরবর্তীতে কোনও অর্ডার প্রকাশিত হয়। সরাসরি উল্লেখ না-থাকলেও আবেদনের ভিত্তিতে বদলি বা জেনারেল ট্রান্সফার ফের চালুর ইঙ্গিতও রয়েছে সেই আদেশনামায়। শিক্ষকদের এটা বহুদিনের দাবি। দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের সচিব এবং বর্তমানে চেয়ারম্যানের দায়িত্বপ্রাপ্ত অশোক সাহাকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, স্পেশাল ট্রান্সফার বা বিশেষ বদলির ক্ষেত্রে ক্ষমতা নিজের হাতেই রেখেছিল বিকাশ ভবন। খোদ শিক্ষামন্ত্রী ফাইল দেখে সেই ছাড়পত্রে সই করতেন। এবার সমস্ত বদলিই চলে এল বিকাশ ভবনের আয়ত্তে। ৭ অক্টোবর মিউচুয়াল ট্রান্সফারের সরকারি পোর্টাল উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেদিন তিনি বলেন, স্রেফ শুনানির জন্য মিউচুয়াল ট্রান্সফার আটকে রাখা যাবে না। অবিলম্বে পড়ে থাকা সমস্ত আবেদন ছেড়ে দিতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। যে দু’জন শিক্ষক নিজেদের স্কুল অদলবদল করে নিতে চাইছেন তাঁদের সঙ্গে সেই স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষক এবং পরিচালন কমিটির কর্তাদের নিয়ে শুনানি হয় স্কুল সার্ভিস কমিশনে। তারপরেই দেওয়া হয় বদলি। কিন্তু লকডাউনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে সেই শুনানি বন্ধ হয়ে পড়েছিল। এর ফলে প্রচুর আবেদন জমা পড়ে গিয়েছিল। শিক্ষামন্ত্রীর এই কড়া বার্তার পরেই স্কুল সার্ভিস কমিশনে আবেদন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। আধিকারিকরা বলছেন, বদলিতে দ্রুততা আনতেই আপাতত সব ক্ষমতা হাতে রাখতে চায় বিকাশ ভবন। ভোটের আগে ইস্যুটিকে খুবই গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।