উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই চড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপের পারদ। ঘটনাচক্রে উৎসব আবহের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের সমালোচনা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শনিবার এক বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বাংলার আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। তাই বিজেপি নেতাদের বঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন চাওয়ার মধ্যে কোনও ভুল নেই। এই বক্তব্যের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নাম না করে অমিত শাহকে জবাব দিয়েছেন মমতা। বিজেপিকে বিঁধে তিনি বলেছেন, ‘টিবিতে মারা গেলেও বলবে পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা খারাপ। তিনিও নাকি রাজনৈতিক গণ্ডগোলে মারা গিয়েছেন!’
পুলিসকর্মী ও তাঁদের পরিবারের পাশে রাজ্য সরকার সর্বতোভাবে রয়েছে, তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি নেতার নাম উল্লেখ না করে মমতা বলেছেন, ‘পুজোর দিনগুলিতে পুলিসের উপর সবকিছু নির্ভর করে। আপনারা এত খাটেন, এত করেন। তা সত্ত্বেও দিল্লির লোকেদের বদনাম করার ব্যাপারটা যায় না। পুলিসেরও তো সুনাম করতে হয়।’ সেই সঙ্গে বিজেপি নেতাদের মমতা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, ‘অসম্মান করলে মনে রাখবেন অসম্মান ফিরে আসে।’ করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে মারা গিয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিসকর্মী। এদিন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় কাজ করতে গিয়ে অনেক সহকর্মীকে হারিয়েছি। তাঁদের মুখগুলি আজ খুব মনে পড়ছে। তাঁদের পরিবারের পাশে রয়েছে সরকার। ১০ লক্ষ টাকা ও চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
এদিন বডিগার্ড লাইনসে পুজোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে ছিলেন কলকাতার পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম, পুলিস কমিশনার অনুজ শর্মা প্রমুখ। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। বলেছেন, ‘বাংলা সম্পর্কে অমিত শাহের ধারণা স্বচ্ছ নয়। বাংলায় মেয়েরা সুরক্ষিত। কিন্তু বিজেপি শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশে মেয়েদের নির্যাতন করে খুনের ঘটনা ঘটছে।’