কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
বাস মালিক সংগঠনগুলির সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠক করেছিলেন শুভেন্দু। মালিকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ভাড়া বৃদ্ধি ছাড়া তাঁদের পক্ষে বাস চালানো সম্ভব নয়। পরে তাঁরা কয়েকটি ভাড়ার তালিকা তৈরি করে সাংবাদিকদের দেন। কিন্তু, এদিন মন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন কোনওভাবেই বাস, মিনিবাস, মিটার ট্যাক্সির ভাড়া বাড়ানো যাবে না। এছাড়া অন্য কোনও সহযোগিতা যদি লাগে, তা করতে সরকার প্রস্তুত আছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে, মাস্ক পরে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাস চালাতে হবে। বাসকে নিয়মিত জীবাণুমুক্তও করতে হবে।
রাজ্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সোমবার থেকে সরকারি বাস চলবে আধ ঘণ্টা অন্তর। পথে সরকারি বাসের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এখন এক ঘণ্টা অন্তর কলকাতা ও শহরতলিতে ১৫টি রুটে বাস চালায় পরিবহণ নিগম। সাধারণ মানুষ যাঁরা জরুরি প্রয়োজনে বেরবেন, তাঁদের যাতে অসুবিধা না হয়, সেদিকে তাকিয়েই এই সিদ্ধান্ত। সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বাস চালানো হবে। তবে কোনও কন্টেইনমেন্ট জোনে বাস চালানো হবে না।
তিনি বলেন, বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর প্রথম দু’দিন একটু অসুবিধা হয়েছিল। পরে কলকাতা পুলিস, বারাকপুর ও হাওড়া পুলিস কমিশনারেট সাহায্য করেছে। এখন মানুষ পুলিসের সহযোগিতায় নিয়মবিধি মেনে ওঠানামা করছে। সরকারি বাস নামিয়ে সমস্ত রুটে পরিবহণ সচল রাখা হবে বলেও তিনি এদিন জানান। পাশাপাশি, সোমবার থেকে দু’টি সংস্থাকে এক হাজার করে অ্যাপ-ক্যাব চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আগে ১০০টি করে গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে সিঙ্গল কোচ-ট্রাম ও জল পরিবহণ চালানো হবে আগামী দিনে। গ্রিন জোনে বর্তমানে বাস চলছে। অরেঞ্জ জোন নিয়ে মুখ্যসচিবকে কিছু পরিকল্পনা ও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান শুভেন্দু।
এদিকে, বেসরকারি বাসের ভাড়া বৃদ্ধি হবে না— পরিবহণমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর নিজেদের মধ্যে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি শুরু করে মালিকদের সংগঠনগুলি। বিশেষত, পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরপরই দু’টি সংগঠন যেভাবে ভাড়ার তালিকা তৈরি নিয়ে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতায় মেতেছিল, তা মোটেই ভালো চোখে দেখছে না বাকিরা। এই পক্ষের বক্তব্য, সার্বিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে ভাড়ার কাঠামো তৈরির কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু, সেসবের তোয়াক্কা না করে যেভাবে তিনগুণ বা তারও বেশি হারে ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে রেষারেষি শুরু হল, তাতে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা ও বিভ্রান্তি দেখা দিল। সে কারণেই সরকার কঠোর অবস্থান নিতে বাধ্য হল বলে মত এই পক্ষের।
আবার অন্য পক্ষের মতে, বড় ব্যাপার হল আয়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ভাড়ার কাঠামো তৈরি করা। তালিকা ঘোষণা করে সেই চেষ্টাই করা হয়েছে। তবে একটি বিষয়ে দু’পক্ষই একমত— কম যাত্রী নিয়ে আগের ভাড়ায় বাস চালানো প্রায় অসম্ভব। তাঁদের বক্তব্য, বহু মালিক আগামী দিনে তাই বাস বের করতে রাজি হবেন না।