সম্পত্তি সংস্কার বিষয়ে চিন্তাভাবনা ফলপ্রসূ হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি। যাবতীয় আটকে থাকা কাজের ক্ষেত্রে ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, জোড়া খুনের ঘটনার পর তদন্তে নেমে প্রথম দিকে সেভাবে কোনও সূত্র পাওয়া যাচ্ছিল না। পুলিস কুকুর নামিয়ে খোঁজাখুঁজি হলেও কিছুই পাওয়া যায়নি। শুক্রবার বিকালের দিকে মথুরাপুরের ঘোরাদল থেকে একটি ফোন আসে। রিয়াজউদ্দিন মোল্লা নামে এক ব্যক্তি জানান, খুন হওয়া মহিলা দু’জন সম্পর্কে তাঁর বোন। রাতে ওই ব্যক্তি এ নিয়ে পুরো বিষয়টি জানিয়ে অভিযোগ করেন। তাতেই খুনের প্রাথমিক সূত্র পাওয়া যায়।
তাতেই বলা হয়, ক্যানিংয়ের বুধাখালিতে মিজানুরের সঙ্গে তাঁর বোন মুস্তারির বিয়ে হয়েছিল। বাচ্চা না হওয়া নিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ বাধে। তা নিয়ে মানসিকভাবে নির্যাতন চলত মুস্তারির উপর। ২০১৫ সালে দাম্পত্য বিরোধ এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, তাদের সম্পর্কে ফাটল ধরে। বিষয়টি নিয়ে ক্যানিংয়ের ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান খতিফ সর্দার স্বামী ও স্ত্রী উভয়কে ডেকে একাধিকবার মীমাংসা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু, কাজের কাজ কিছু হয়নি। ওই সময় বধূ নির্যাতন ও খোরপোশের মামলা করেন মুস্তারি। শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে পাশে এক জায়গাতে ঘর ভাড়া নেন তিনি। কখনও কখনও বাপের বাড়ি মথুরাপুরে গিয়ে থাকতেন।
এরমধ্যে দ্বিতীয়বার বিয়ে করে মিজানুর। তাতে মুস্তারি আরও ঝামেলা পাকায়। এর মধ্যে আদালতের নির্দেশে খোরপোশের টাকা দিতে হচ্ছিল মিজানুরকে। একদিকে খোরপোশের টাকা অন্যদিকে দ্বিতীয় স্ত্রীর ভরণপোষণ দুইয়ের চাপে দিশেহারা হয়ে যায় সে। তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য এবার প্রথম পক্ষের স্ত্রীকে চিরতরে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নেয়। তার অঙ্গ হিসেবে গত ২২ জানুয়ারি রাতে ভাইপো আলি হোসেন মণ্ডলকে দিয়ে মথুরাপুরে মুস্তারিকে ফোন করায়। খোরপোশের টাকা দেওয়ার টোপ দিয়ে তাঁকে ক্যানিংয়ের ঘুঁটিয়ারিশরিফে এক চিকিৎসকের চেম্বারে যেতে বলে। ২৩ জানুয়ারি ক্যানিংয়ের আসার পরই মুস্তারি ও তাঁর খুড়তুতো বোনকে টাকা দেবে বলে একটি গাড়িতে তোলে। এরপর একেবারে কুলতলির নির্জন এলাকা পিয়ালিতে নিয়ে অপারেশন শেষ করে।