যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
শিয়ালদহের ফল ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, গত এক মাসে সব থেকে বেশি বিক্রি হয়েছে শশা, পাকা পেঁপে আর তরমুজ। বিভিন্ন দলের কর্মীরা দু’-একদিন ছাড়াই ১০ ১৫ কেজি করে ফল কিনে নিয়ে গিয়েছেন। ফল ব্যবসায়ী অজিত খামরুই হাসতে হাসতে বললেন, আমরা চাই, প্রতি বছরই গরমকালে ভোট হোক। তাহলে লাভের মুখ দেখতে পাব। তরমুজ এখন প্রায় সর্বত্রই ৩০ টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছে। কেউ বেশি পরিমাণে নিলে তখন দর কিছুটা কমাতে হয়। তবে ভোটের প্রচার শেষ হতেই ফলের বাজার কিছুটা নেমেছে। যেটুকু বিক্রিবাটা চলছে, তা রমজান মাস বলেই। ঈদ হয়ে গেলে এই বাজারটাও পড়ে যাবে।
এদিন সকালে আলমবাজারের দেশবন্ধু রোডে ফল ব্যবসায়ী তপন পাল বললেন, গত এক মাস ধরে শিয়ালদহ ও মেছুয়ার ফলপট্টি থেকে বেশি করে তরমুজ এবং পাকা পেঁপে কিনে এনেছি। ভালোই বিক্রিবাটা হচ্ছে। রবিবার ভোট শেষ যাবে। আর রোজার মাস শেষ হলে আমাদের বিক্রিও তলানিতে এসে ঠেকবে। এই সময় তেমন বড় কোনও পুজো-পার্বণ নেই। উত্তর শহরতলির গোপাললাল ঠাকুর রোড ও টবিন রোডের মোড়ে তিন চাকার ভ্যান দাঁড় করিয়ে তরমুজ বিক্রি করছিলেন শেখ সেলিম। বাজার কেমন, প্রশ্ন করতেই সেলিম সাহেব বললেন, আজ বাজার ভালো নয়। সকাল থেকে ১৫ কেজি তরমুজও বিক্রি করতে পারিনি। গত সপ্তাহে বেলা ১২টার মধ্যেই সব মাল বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। কথা প্রসঙ্গে বললেন, অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দু’টি রাজনৈতিক দলের মিছিল এই পথ দিয়ে গিয়েছিল। সেই সময় বেশ কিছু কর্মী-সমর্থক পাকা পেঁপে ও তরমুজ কিনেছিলেন। তাঁদের বায়নায় ফল কেটেও দিতে হল। একসঙ্গে বেশ কয়েকটি তরমুজ বিক্রি হয়ে গেল। একাধারে ভোট ও রমজান মাস থাকায় টবিন রোড বাজারের ফল ব্যবসায়ীদের চোখ মুখও এই ক’দিন খুশিতে ডগমগ করছিল। কিন্তু ভোটের প্রচার মিটতেই ফলের বিক্রি প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে।