গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
পুলিস সুপারের কথায়, ওড়িশার বাসিন্দা সৌমেন দাস এলাকায় কাপড় বিক্রি করতে এসেছিলেন। শুধুমাত্র গুজবের জের ওই যুবককে পিটিয়ে মেরে ফেলা হল। বারুইপুর থানায় যুবকের পরিবারের লোকজন আসেন। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। জেলা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বজবজ, নোদাখালি থানার তরফে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়। পুজালি পঞ্চায়েতের সদস্যরাও স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে গুজবে কান না দিতে আর্জি জানান। এলাকায় ঘুরে ঘুরে মাইকে প্রচার, লিফলেট বিলি সহ একাধিক প্রচার চালানো হয়েছে। পুলিস সুপার বলেন, একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে। কিন্তু তার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য সতর্ক রয়েছে পুলিস। রবিবারের ঘটনার পর মগরাহাট এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বিশাল পুলিসবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যদিও ডায়মন্ডহারবার মহকুমা এলাকার মানুষ চাইছেন, পুরো বিষয়টি নিয়ে সিআইডি তদন্ত করুক। প্রকৃতপক্ষে এই গুজব কোথা থেকে এবং শিকড় কোথায় কোথায় ছড়িয়েছে, তা খতিয়ে দেখুক সিআইডি।
পুলিসের তরফে প্রচার করা হয়েছে, কোনওরকম বহিরাগত মহিলা বা পুরুষ এলাকায় ঘুরছে না বা কাউকে চুরি করেও নিয়ে যাচ্ছে না। এগুলি সম্পূর্ণ গুজব। বিদ্বেষ ছড়িয়ে কাউকে মেরে ফেলতেও নিষেধ করা হচ্ছে। গণপিটুনিতে কাউকে মেরে ফেলা হলে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হবে।