গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পাঁচ-ছ’বছর ধরে বাড়ির পাশের হাঁচকি গ্রামের বাসিন্দা এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। যদিও ওই তরুণীর পরিবার তা মেনে নিতে পারেনি। কারণ, আর্থিক সক্ষমতার দিক থেকে তরণীর পরিবার অনেকটাই ভালো ছিল। এদিকে, দীপঙ্কর মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক কুলপি থেকে উল্লেখযোগ্য ফলাফল করেন। বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা করে তিনি পলিটেকনিক কলেজে ভর্তি হন। এদিকে, ওই তরুণী স্নাতকোত্তরে পড়াশুনা করতে গড়িয়ায় থাকতে শুরু করেন। পরিবারের আপত্তি সত্ত্বেও তরুণী দীপঙ্করের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলেন। এদিকে, এসবের মধ্যেই ওই দু’জন লুকিয়ে রেজিস্ট্রিও করেন। কিন্তু মাসকয়েক আগে থেকেই ওই তরুণী তাঁর এক শিক্ষকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সেই সম্পর্কে আবদ্ধ হতেই তিনি দীপঙ্করকে সম্পর্ক ছেদ করতে বলেন। এমনকী, ডিভোর্স দিতে চান। দীপঙ্কর তাতে রাজি হননি। মৃতের বন্ধুদের অভিযোগ, তরুণীর পরিবারও ওই শিক্ষকের সঙ্গে তাদের বাড়ির মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি হয়ে যায়। তখন তরুণী তাদের বলেন, দীপঙ্করের সঙ্গে তাঁর রেজিস্ট্রি হয়েছে। কিন্তু তিনি তা ভাঙতে চান। দীপঙ্কর তাতে রাজি হচ্ছে না। পরিবারের সদস্যরা প্রথমে তাঁদের বাড়ির মেয়েকে বকাবকি করেন। তারপর দীপঙ্করকে রবিবার বাড়িতে ডেকে পাঠান। অভিযোগ, সেখানে ওই তরুণী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে অপমান করেন। মারধরও করা হয়। তাঁরা তাঁকে বলেন, তাঁদের বাড়ির মেয়েকে ডিভোর্স দিতে হবে। কিন্তু দীপঙ্কর রাজি না হওয়ায় চূড়ান্ত মারধর করে ধাক্কা বাড়ি দিয়ে বের করে দেওয়া হয়।
দীপঙ্করের মা বলেন, বিকেলে বাড়িতে ছেলে এসে তাঁর সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলে। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে তিনি খাবারের জল আনতে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন, ছেলে ঘরে নেই। তিনি ভেবেছিলেন, বাইরে কোথাও গিয়েছে। কিন্তু সন্ধ্যার পর রাত নামলেও তাঁর ছেলে না ফেরায় তিনি চিন্তায় পড়েন এবং দীপঙ্করের তিন দাদাকে ভাইকে খুঁজতে বলেন। দীপঙ্করের বাবা পরিতোষ পলতাও ছেলেকে খুঁজতে বেরিয়ে পড়েন। ইতিমধ্যেই এলাকার যুবকরা তাঁর বন্ধু যে আত্মহত্যা করতে চলেছে, তা জানতে পেরে ওই বাড়িতে চলে আসেন। তারপরই শুরু হয় খোঁজ। বেশ কিছুক্ষণ পরই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের বাবা পরিতোষ পলতা ওই তরুণী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই ঘটনার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।