ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
গত কয়েকদিন ধরে মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি, বেলডাঙা, নবগ্রাম, হরিহরপাড়া, ইসলামপুর, রেজিনগর, রানিতলা সহ বিভিন্ন এলাকায় সর্ষে খেতের আশপাশে ডেরা বাঁধতে শুরু করেন উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদীয়া, মালদহ, হুগলি, দুই দিনাজপুর সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মৌপালকরা। তাঁদের সূত্রে জানা গিয়েছে, মৌচাষের অনুকূল পরিবেশ বলতে বোঝায় বেশি সংখ্যায় পুষ্ট ফুল, বাতাসমুক্ত রোদযুক্ত পরিষ্কার আকাশ। চলতি বছর এখনও পর্যন্ত সেই অর্থে অনুকূল আবহাওয়া নেই। ফলে এবছর অনেক কম সংখ্যায় মৌপালক জেলায় এসেছেন। সর্ষের ফুল আসা শুরু হতেই বেলডাঙায় ঘাঁটি গেড়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের মৌচাষিদের সাত সদস্যের একটি দল। অক্টোবর মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত বেলডাঙায় ছিল দলটি। দলের সদস্য মহম্মদ ইমামুল ইসলাম বলেন, সাড়ে চারশোর বেশি বি কিপিং বাক্স বা মৌবাক্স নিয়ে গাড়ি ভাড়া করে প্রথমে বেলডাঙায় এসেছিলাম। নভেম্বরেরে প্রথম দিকে বাক্স পাতা হয়। দু’মাস ধরে বাক্স পেতে যে পরিমাণ মধু পাওয়া গিয়েছে তাতে থাকা এবং খাওয়া-দাওয়া দূরের কথা, বাক্স নিয়ে আসার গাড়ি ভাড়াও উঠবে না। দলের অপর এক সদস্য রফিক শেখ বলেন, দু’মাসে একটি বাক্স থেকে এক বালতি বা ২০ কেজি মধু পাওয়া যায়। কিন্তু এবছর অর্ধেক বালতিও মধু পাওয়া যায়নি। ইংরেজি নতুন বছরের শুরুতেই বেলডাঙা থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে নবগ্রামের পাঁচগ্রামের বুড়োরডাঙা এলাকায় বাদশাহি সড়কের পাশে ঘাঁটি গেড়েছে দলটি। রানিতলা থানার দিঘিরপাড় এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছে নদীয়ার একটি দল। দলের সদস্য মহম্মদ আরিজুল সর্দার বলেন, জ্যৈষ্ঠ মাস থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত মধু চাষের অফ মরশুম থাকে। সেসময় জলে চিনি গুলে মৌমাছিদের খাওয়াতে হয়। তাছাড়া সংসার চালানোর বিষয়টিও রয়েছে। সেকারণে কোম্পানির এজেন্টের থেকে দাদন নিতে বাধ্য হন গরিব চাষিরা। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান, গম, পাট বা অন্যান্য কৃষিজ ফসলের মতো এখনও পর্যন্ত কেনা শুরু না হওয়ায় মধু চাষিরা অনেক কম দামে বিভিন্ন দেশি ও বিদেশি কোম্পানির স্থানীয় এজেন্টদের বিক্রি করতে বাধ্য হন। রাজ্য সরকার মৌপালকদের কথা মাথায় রেখে সহায়ক মূল্যে মধু কেনা শুরু করলে চাষিদের জলের দামে কোম্পানির এজেন্টদের মধু বিক্রি করতে হবে না। মৌপালকরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। নবগ্রাম থানার পাঁচগ্রামের এক চাষি সোহরাব আলি বলেন, প্রতিবছর বিভিন্ন জেলা থেকে মৌচাষিদের ১০-১২টি দল মধু সংগ্রহের জন্য আসে।