উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
উৎসবের অন্তিম দিন রাকেশের পরিচালনায় মঞ্চস্থ হয় নাটক ‘বাঘিনী’। মা-এর কোনও জাত নেই, ভাষা নেই। তাই এই নাটকে আমরা দেখি, সন্তানকে বাঁচানোর জন্য এক মানবী মা এবং এক বাঘিনী মা, একত্রিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে মাংস লোলুপ পুরুষ জাতির উপর। সন্তানকে বাঁচানোর তাগিদে একই পঙক্তিতে এসে দাঁড়ায় দুই মা। মানুষ এবং পশুর মাতৃত্ব একাকার হয়ে যায়। বলিষ্ঠ ভাবনার এই নাটক প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে রাকেশের দক্ষ পরিচালনায়। একইভাবে নজর কাড়ে উদ্বোধনী নাটক, ‘এবং আমরা- বর্ধমান’ প্রযোজিত ‘মহাকাব্যের পরে’। মহাকাব্যের চরিত্র, একলব্যকে কেন্দ্র করে উচ্চ-নীচ, ধনী–দরিদ্র, জাতপাতের বিভেদ প্রাসঙ্গিক ও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে নির্দেশক কল্লোল ভট্টাচার্যর চমৎকার মঞ্চায়নে। বিষয়ের দিক থেকে সাহসী হয়ে ওঠে অশোকনগর নাট্যমুখের ‘গান্ধারী’ এবং যাদবপুর মন্থন প্রযোজিত ‘ইলা’। এছাড়া এই উৎসবকে আকর্ষণীয় করে তোলে, ইফটা-কলকাতার ‘ক্যানভাস’, আগরপাড়া থিয়েটার পয়েন্ট প্রযোজিত ‘যে জন আছে অন্তরে’, থিয়েলাইট প্রযোজিত ‘সাতমার পালোয়ান’, মহিষাদল শিল্পকৃতির ‘ত্যাগ’, এবং সরস্বতী নাট্যশালার ‘প্রতিবিম্ব’। উল্লেখ্য, প্রতিটি নাটকের নির্দেশক এই প্রজন্মের তরুণ প্রতিভারা।