Bartaman Patrika
 

মুকুন্দদাস ও তাঁর স্বদেশি যাত্রা

চারণকবি মুকুন্দদাসের ব্রত ছিল পালাগানের মধ্যে দিয়ে দেশবাসীকে পরাধীনতার বিরুদ্ধে জাগিয়ে তোলা। মুকুন্দদাস ও তাঁর স্বদেশি যাত্রা নিয়ে লিখেছেন সন্দীপন বিশ্বাস।

মঞ্চ ঘিরে গ্রামবাসীদের ভিড়। যাত্রাপালা দেখে সকলের রক্ত উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটছে। ইংরেজ শাসকের বিরুদ্ধে পুঞ্জীভূত হচ্ছে ক্ষোভ। প্রধান গায়ক-অভিনেতার একের পর এক গান দোলা দিচ্ছে তাঁদের হৃদয়ে—
‘ভয় কি মরণে রাখিতে সন্তানে/
মাতঙ্গী মেতেছে আজ সমর রঙ্গে।...’
কিংবা
‘বান এসেছে মরা গাঙে খুলতে হবে নাও/
তোমরা এখনও ঘুমাও...।’
গায়ক মঞ্চের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ঘুরে ঘুরে গাইছেন। পরণে গেরুয়া আলখাল্লা, মাথায় পাগড়ি, বুকে ঝুলছে মেডেল। পায়ে বিদ্যাসাগর চটি। তাঁর গানে উদ্বেল মানুষ। তিনি হলেন মুকুন্দদাস। তিনি চারণকবি। তাঁর স্বদেশি যাত্রা ছিল গণজাগরণের হাতিয়ার। তাই সেই যাত্রাপালা পড়েছিল শাসক ইংরেজদের রোষানলে।
ছোটবেলায় নাম ছিল তাঁর যজ্ঞেশ্বর। অধুনা বাংলাদেশের বিক্রমপুরে ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে তাঁর জন্ম। তবে সন-তারিখ নিয়ে মতান্তর আছে। ছেলেবেলায় বাবার সঙ্গে তাঁরা চলে আসেন বরিশালে। ছোট্ট যজ্ঞেশ্বরের মনে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা এবং আন্দোলনের বাসনা জাগিয়ে তুলেছিলেন অশ্বিনীকুমার দত্ত। বাল্যকালে পড়াশোনায় তাঁর মন বসেনি। কৈশোরে খুলে বসলেন মুদির দোকান। তার মধ্যেই চলতে লাগল স্বেচ্ছাচারী জীবন। বন্ধুদের নিয়ে গুণ্ডামি করাটা অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল। দস্যু রত্নাকর হয়ে উঠেছিলেন বাল্মীকি। যজ্ঞেশ্বরেরও মুকুন্দ হয়ে ওঠা যেন এক অলৌকিক আখ্যান। রোজ তিনি ঘুমিয়ে থাকেন আর ভোরবেলা তাঁর বাড়ির পাশ দিয়ে নগরকীর্তনের দল পরিক্রমায় বের হয়। সেই গানে ঘুম ভেঙে গেলে বিরক্ত হন যজ্ঞেশ্বর। রোজ তাঁর কানে সেই নামগান প্রবেশ করে। শুনতে শুনতে গানের কথাগুলো মুখস্থ হয়ে গিয়েছে। মুদির দোকানে বসে সেই কথাগুলো ভাবতে ভাবতে তিনি তন্ময় হয়ে যান। কী গভীর উপলব্ধি! এত প্রেম কৃষ্ণ নামে! ছুটে যান সান্ধ্য কীর্তনের আসরে। দু’চোখ ভেসে যায় তাঁর। তন্ময়তায় ডুবে যান। একদিন তিনি ও তাঁর বন্ধুরা মিলে যে যাত্রা বা গানের আসর ভণ্ডুল করে দিয়ে আনন্দে হা হা করে হেসে উঠতেন। আজ তিনিই সঙ্গীত ও পালাকীর্তনের অকূল সাগরে আনন্দযাত্রী। একদিন সঙ্কোচের সঙ্গে গেলেন সেই নগরকীর্তনের দলের কাছে। দলের প্রধান বরিশালের বিখ্যাত কীর্তন গায়ক বীরেশ্বর গুপ্ত। যজ্ঞকে দেখে বললেন, ‘এসো। তোমাকে তো প্রায়ই দেখি আমার গানের আসরে। আমার দলে গান গাইবে?’
যজ্ঞেশ্বর বললেন, ‘আমি কি পারব? আমি মুদির কারবারি আর
আমাকে তো সবাই বলে যজ্ঞাগুণ্ডা।’
বীরেশ্বর বললেন, ‘বাইরে তুমি যাই হও, ভিতরে তুমি গৌরাঙ্গ। তোমার মধ্যে আমি গৌরভাব দেখতে পাচ্ছি।’
ঢুকে পড়লেন কীর্তন দলে। শুরু হল শিক্ষা। চলল শাস্ত্র পাঠ। বদলে গেলেন আমূল। শৌখিন পোশাক ছেড়ে ধরলেন শ্বেতবস্ত্র। বিভিন্ন মেলায় ঘুরে ঘুরে শুনতে লাগলেন পালাকর্তাদের গান।
এখান থেকেই একদিন তিনি হয়ে উঠলেন মুকুন্দদাস। সন্ন্যাসী রামানন্দ অবধূতের কাছ থেকে দীক্ষা নেন। তিনিই যজ্ঞার নামকরণ করলেন মুকুন্দদাস। বৈষ্ণব সাধক মুকুন্দদাস একদিন হয়ে উঠলেন কালীভক্ত। শ্যাম থেকে শ্যামার পদতলে আশ্রয় নিলেন তিনি। বরিশালের সনাতন ঠাকুর বা সোনা ঠাকুরের কালীমন্দিরে বসে তিনি গান গাইতেন। সেই গান শুনে অশ্বিনী দত্ত বললেন, ‘যজ্ঞা, তুই শক্তির গান বাঁধ। যে শক্তির উল্লাসে মানুষ উজ্জীবিত হবে দেশমাতৃকার শৃঙ্খল মুক্ত করতে।’ নতুন দিশা পেলেন মুকুন্দদাস। বুঝে গেলেন তাঁর পথ কোনদিকে।
১৯০৫ সালে দেশ উত্তাল বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে। এই সময় তিনি লিখলেন ‘মাতৃপূজা’। সেই পালা মানুষের কাছে পৌছে দিতে নতুন দল গড়লেন। কিন্তু বায়না নেই তো! পালা আসরস্থ হবে কী করে! মায়ের নাম করে নৌকা নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন। দুর্গাপুজোর মহাসপ্তমীর রাতে নবগ্রামের পুজোমণ্ডপে অভিনীত হল সেই পালা। তারপর একে একে বায়না আসতে লাগল। খোরাকি বায়নাতেই আসরে আসরে অভিনয় করতে লাগলেন। ফরিদপুর, ইদিলপুর, চাঁদপুর। নৌকা এগিয়ে চলল। ছড়িয়ে পড়তে লাগল মুকুন্দদাসের নাম। বাংলার মানুষ সেই পালা দেখে স্বদেশী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার অনুপ্রেরণা পেলেন। ‘ভেঙে দাও রেশমী চুড়ি, বঙ্গনারী কভু হাতে আর প’রো না।’ মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে সেই গান।
স্বদেশি বর্জনের যে ডাক নেতারা দিয়েছিলেন, মুকুন্দদাসের গান তাতে ঘৃতাহুতি দিল। তাঁর স্বদেশি যাত্রা নতুন করে দেশপ্রেমের আগুন জ্বালিয়ে দিল বাংলার বুকে। ইংরেজ শাসক ভীত হয়ে তাঁর ‘মাতৃপূজা’ নাটকটি বাজেয়াপ্ত করল। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হল। কিছুদিন বরিশাল জেলে রাখার পর ইংরেজদের মনে হল এখানকার জেলে তাঁকে রাখা ঠিক হবে না। তাই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হল দিল্লি। তিন বছরের কারাদণ্ড শেষে মুক্তি পেলেন। বেরিয়ে দেখেন তাঁর জীবন শূন্য করে চলে গিয়েছেন তাঁর পত্নী সুভাষিনী। জেলে যাওয়ার পরপরই সন্তান প্রসব করতে গিয়ে মৃত্যু হয় সুভাষিনীর।
ভাঙা মন। বুঝতে পারেন না এখন উপায় কী! দল গড়ার মতো টাকাও হাতে নেই। জীবনযাপনের জন্য আবার খুলে বসলেন মুদির দোকান। কিন্তু প্রতিবেশী ললিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী একদিন তাঁকে ডেকে নিজের গয়না তাঁর হাতে দিয়ে বললেন, ‘ভাই, এই নাও এগুলো বন্ধক দিয়ে আবার দল খোলো। মুদির দোকান চালানো তোমার কাজ নয়। তুমি মানুষকে জাগিয়ে তোলো।’ উৎসাহিত হয়ে মুকুন্দদাস আবার দল খুললেন। আবার শুরু করলেন পালা লেখা।
লিখলেন ‘সমাজ’ নামের একটি পালা। বুঝলেন কলকাতায় যেতে হবে। সেখানকার মানুষকে শোনাতে হবে তাঁর গান। ততদিনে আবার ডাক আসতে শুরু করেছে। একদিন চার টাকায় আসরে পালা গাইতেন। এখন নাম হয়েছে। রেট দাঁড়িয়েছে পঁচিশ টাকা। ‘সমাজ’ পালায় তিনি বিষয়বস্তু করে তুললেন সমাজের বিভিন্ন খারাপ দিকগুলিকে। পণপ্রথা, জমিদারদের অত্যাচার অস্পৃশ্যতা ইত্যাদি।
একদিন জোড়াসাঁকোয় কবিগুরুর বাড়িতে গিয়ে তিনি গান শোনালেন। তাঁর উদাত্ত কণ্ঠে মোহিত রবীন্দ্রনাথ। তিনি তাঁকে শিখিয়ে দিলেন তাঁর ‘বিধির বাঁধন কাটবে তুমি’ এই গানটি। বললেন, ‘মঞ্চে মঞ্চে তুমি এই গানটি গেও’। মুকুন্দদাসের সঙ্গে দেখা হল নজরুল ইসলামের। তিনিও তাঁর গান শুনে মুগ্ধ। কবি নিজেও শোনালেন তাঁর গান। ‘কারার ওই লৌহকপাট’ ও অন্য কয়েকটি গান। মুকুন্দদাসকে উপহার দিলেন তাঁর দুটি বই। ‘অগ্নিবীণা’ এবং ‘বিষের বাঁশি’। তাতে লিখে দিলেন, ‘চারণসম্রাট মুকুন্দদাসকে উপহার’। মুকুন্দদাস হয়ে গেলেন চারণকবি।
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের মেয়ের বিয়ে। দেশবন্ধু চিঠি লিখলেন অশ্বিনী দত্তকে। মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে তিনি পালাগানের আসর বসাবেন। সেখানে মুকুন্দদাসকে গাইতে হবে। সেই আসরে গান গেয়ে সাড়া ফেলে দিলেন তিনি। সেখানে তিনি ইংরেজ বিলাসিতায় আসক্ত আধুনিক মহিলাদের ব্যঙ্গবিদ্রূপ করেছিলেন। গানের শেষে দেশবন্ধু তাঁকে পরিয়ে দিলেন সোনার মেডেল। সেই আসরে উপস্থিত ছিলেন কবি প্রিয়ংবদা দেবী। তিনি কবির প্রশংসা করে তাঁকে উপহার দিলেন সোনার সেফটিপিন। সেই আসরে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার। তিনি আড়ালে ডেকে মুকুন্দদাসকে বললেন, ‘দারুণ গান করেছেন। তবে আর নয়। এবার কলকাতা ছাড়ুন। আপনাকে গ্রেপ্তার করার পরিকল্পনা চলছে।’ স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ও তাঁর গান পছন্দ করতেন। তিনি মুকুন্দদাসকে উপহার দিয়েছিলেন একটি রুপোর লাঠি।
তাঁর ‘পল্লিসেবা’, ‘কর্মক্ষেত্র’, ‘পথ’, ‘সাথী’, ‘ব্রহ্মচারিণী’ প্রভৃতি পালার মধ্য দিয়ে তিনি ব্যঙ্গবিদ্রুপে বিদ্ধ করেছেন অসাম্য, অন্যায় আর কুশিক্ষাকে। জমিদার বাড়িতে গানের আসরে তিনি জমিদারি ব্যবস্থার খারাপ দিকগুলিকে তীব্র ব্যঙ্গ করতেও ভয় পেতেন না।
আসর থেকে আসরে ছুটছে দল। এদিকে শরীর আর নিচ্ছে না। মাঝে মাঝেই জ্বর হয়। সবক্ষেত্রে পুরো পালায় অভিনয় করতে পারেন না। একটি-দুটি গান করেন মাত্র। কিন্তু গান বন্ধ করা যাবে না। কালীপুজোর সময়। অনেক বায়না। তাঁর উপর নির্ভর করছে দলের সকলের পরিবারের ভরণপোষণ। অসুস্থ শরীর নিয়ে চলল পালাগান। কলকাতায় এসে জ্বর বাড়ল। ১৯৩৪ সাল। অনেকগুলি পালার বায়না আছে শহরে। কিন্তু তিনি নিজেই চলে গেলেন সব পালার অভিনয় অসম্পূর্ণ রেখে।
তাঁর যাত্রাপালা ছিল ভিন্নধারার। ব্রজমোহন রায়, মতিলালা রায়ের মতো তিনি পালারচনা করেননি। তাঁর পালায় ছিল গানের আধিক্য। সেই গানের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের কথা বলে তিনি যেন নবনাট্যের প্রস্তাবনাও করে গিয়েছিলেন। একইসঙ্গে যাত্রাপালা এবং স্বাধীনতার আন্দোলনেও তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
অঙ্কন : সুব্রত মাজী 
23rd  November, 2019
মাঙ্গলিকের পরিবর্তন 

আমাদের চারধারে চলছে নানা বুজরুকির ব্যবসা। প্রচুর মানুষ নিয়মিত ঠকছেন। ঠকে শিখছেন। এক শ্রেণীর কর্মবিমুখ অলস মানুষ যারা অল্প আয়াসেই ধনী হওয়ার স্বপ্ন দেখে তারাই মূলত এই ধরনের ব্যবসার সফল উদ্যোগপতি।  বিশদ

07th  December, 2019
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রাসঙ্গিক এক নাট্য 

নবম বর্ষে তিলজলা ঋতুর নবতম প্রযোজনা ‘তরবারি সুমঙ্গল’ নাটকটি মঞ্চস্থ হল মধুসূদন মঞ্চে। গত ২৯শে অক্টোবর এই নাটকটির প্রথম উপস্থাপনা ছিল। নাটকটি লিখেছেন অশোক মুখোপাধ্যায়, নির্দেশনায় জয়ন্ত দীপ চক্রবর্তী।  বিশদ

07th  December, 2019
মুকুন্দদাস ও তাঁর স্বদেশি যাত্রা 

চারণকবি মুকুন্দদাসের ব্রত ছিল পালাগানের মধ্যে দিয়ে দেশবাসীকে পরাধীনতার বিরুদ্ধে জাগিয়ে তোলা। মুকুন্দদাস ও তাঁর স্বদেশি যাত্রা নিয়ে লিখেছেন সন্দীপন বিশ্বাস। 
বিশদ

07th  December, 2019
কতই রঙ্গ আছে প্রেমের দুনিয়ায় 
কাঁটা গাছে ফুটলো ফুল

সারা বিশ্বেই ফরাসি কমেডির এক অমোঘ আকর্ষণ রয়েছে। বিশেষ করে সে নাটক যদি হয় ‘ফ্লেউর দ্য ক্যাকটাস’। যার রচয়িতাদ্বয় হলেন প্যারি ব্যারিলেট এবং জাঁ পিয়ের গ্রেডি। এই নাটক সেই দেশের মঞ্চে অভিনীত হতে শুরু করেছিল ১৯৬৫ সালের ৮ ডিসেম্বর।
বিশদ

30th  November, 2019
দীনবন্ধু, গিরিশ ও শম্ভু মিত্র পুরস্কার প্রদান
পুরস্কার মূল্য দান করলেন ব্রাত্য

  পশ্চিমবঙ্গ তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ এবং পশ্চিমবঙ্গ নাট্য অ্যাকাডেমির যৌথ উদ্যোগে, প্রতি বছরের মত এবারেও জমে উঠেছে ‘ঊনবিংশ নাট্যমেলা’। ১১ দিন ব্যাপী এই নাট্যোৎসবে কলকাতাসহ বিভিন্ন জেলার ২৩০টির মতো নাট্যদল তাদের প্রযোজনাকে মঞ্চস্থ করার সুযোগ পেয়েছে।
বিশদ

30th  November, 2019
 ছাতার নীচে বাঁচা

ভারি বর্ষার এক রাত। তুমুল ঝড়ে ভেঙ্গে গেল এক ব্যাঙের ছাতা। তাহলে উপায়? মাথাটাকে যে বাঁচাতে হবে! অতএব দুর্যোগের মধ্যেই সে বেরিয়ে পড়ল অন্য ছাতার খোঁজে। সে আসলে ব্যাঙ নয়। ব্যাঙরূপী কূপমন্ডক এক মানুষ। কিন্তু সে তো এই সমাজের জীব। কাজেই ছাতা যে তার চাই-ই। সমাজের কোন মানুষটি তাকে দেবে ছাতার আশ্রয়?
বিশদ

30th  November, 2019
সায়কের বর্ষপূর্তি উৎসব

 ৪৬ বছর অতিক্রম করল নাট্যদল সায়ক। সেই উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবছরও একটি নাট্য উৎসবের আয়োজন করেছে তারা। অ্যাকাডেমি প্রেক্ষাগৃহে আগামী ১ ও ২ ডিসেম্বর মোট ৩টি নাটক মঞ্চস্থ হবে। বিশদ

30th  November, 2019
 থেসপিয়ানসের রৌপ্যজয়ন্তী

থেসপিয়ানস তাদের রৌপ্য জয়ন্তী উপলক্ষে গত ২৩ নভেম্বর স্টার থিয়েটারে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। মঞ্চস্থ হয় তাদের নতুন নাটক ‘বিসর্জন’। এরপর বিভিন্ন ক্ষেত্রের গুণি মানুষদের সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়।
বিশদ

30th  November, 2019
  সরস্বতী নাট্যোৎসব

  সম্প্রতি কলকাতার তপন থিয়েটারে পাঁচদিনব্যাপী নাট্যোৎসবের আয়োজন করেছিল ‘নেতাজিনগর সরস্বতী নাট্যশালা’। এবারের এই ‘সরস্বতী নাট্যোৎসব’এ পাঁচদিন ধরে মোট ১৭টি প্রযোজনা মঞ্চস্থ করে কলকাতা সহ জেলার বিভিন্ন নাট্যদল। বিশদ

30th  November, 2019
প্রেমের মাঝে এক ফোঁটা বিষ

১৯৯৮ সালে ভৈরব গঙ্গোপাধ্যায়ের অকালপ্রয়াণের পর, তাঁর সুযোগ্য পুত্র মেঘদূত গঙ্গোপাধ্যায় নিজের কাঁধেই তুলে নেন ভৈরব অপেরার দায়িত্বভার। এই অপেরার ব্যাটন এখন মেঘদূতের হাতে। প্রথম বছর মেঘদূত গঙ্গোপাধ্যায় লিখলেন ‘সাদা কাগজের বউ’। বিশদ

30th  November, 2019
প্রেমের মাঝে এক ফোঁটা বিষ 

১৯৯৮ সালে ভৈরব গঙ্গোপাধ্যায়ের অকালপ্রয়াণের পর, তাঁর সুযোগ্য পুত্র মেঘদূত গঙ্গোপাধ্যায় নিজের কাঁধেই তুলে নেন ভৈরব অপেরার দায়িত্বভার। এই অপেরার ব্যাটন এখন মেঘদূতের হাতে। তিনি তাঁর বিখ্যাত পিতৃদেবের পরম্পরা বজায় রেখেছেন।  
বিশদ

23rd  November, 2019
থেসপিয়ানসের রৌপ্যজয়ন্তী 

থেসপিয়ানস নাট্যগোষ্ঠীর পথ চলা শুরু ১৯৯৪ সালে। কয়েকজন নাট্যপ্রেমী তরুণ-তরুণী নিজেদের মতো করে নাট্যচর্চা করবে বলে দলটি গড়ে তোলে। কোনও বিশেষ ঘরানায় আটকে না থেকে সবার থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে নিজেদের গড়ে তোলাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য।  
বিশদ

23rd  November, 2019
কতই রঙ্গ আছে প্রেমের দুনিয়ায় 

সারা বিশ্বেই ফরাসি কমেডির এক অমোঘ আকর্ষণ রয়েছে। বিশেষ করে সে নাটক যদি হয় ‘ফ্লেউর দ্য ক্যাকটাস’। যার রচয়িতাদ্বয় হলেন প্যারি ব্যারিলেট এবং জাঁ পিয়ের গ্রেডি। এই নাটক সেই দেশের মঞ্চে অভিনীত হতে শুরু করেছিল ১৯৬৫ সালের ৮ ডিসেম্বর। টানা দু’বছর ১২৫০ রজনী অভিনীত হয়েছিল এ নাটক রয়্যাল থিয়েটারে।  
বিশদ

23rd  November, 2019
 রং ছড়ালো ইন্দ্ররঙ মহোৎসব

সাতরঙা রামধনুর মতোই রঙের জেল্লা ছড়িয়ে সমাপ্ত হল তৃতীয় ইন্দ্ররঙ মহোৎসব। অনুষ্ঠানের জাঁকজমকে, নাট্যজগতের নক্ষত্রদের উপস্থিতিতে এবং সর্বোপরি প্রতিযোগিতায় বিজেতাদের প্রাপ্ত পুরস্কারের আর্থিক মূল্যের দিক থেকে যে কোনও সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতামূলক নাট্যোৎসবকে টেক্কা দিয়েছে এই উৎসব।
বিশদ

16th  November, 2019

Pages: 12345

একনজরে
 আগ্রা, ২৫ জানুয়ারি: কথায় বলে প্রেমের কোনও বয়স হয়না। এই প্রবাদবাক্যটি ফের একবার বাস্তবে ধরা পড়ল। আর তার ঘটল খোদ তাজমহলেরই শহর আগ্রায়। যার রূপকার ...

 ওয়াশিংটন: আরও একবার রেকর্ড ছাড়িয়েছে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড ও অন্য গ্রিনহাউস গ্যাসের উপস্থিতি। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯২৬: জন লগি বেয়ার্ড লন্ডনে প্রথম টেলিভিশন সিস্টেমকে জনসমক্ষে নিয়ে আসেন
১৯৩৬: জনগণের জন্য লন্ডনে শুরু হল বিবিসি-র সম্প্রচার
১৯৩৯: আমেরিকায় নিয়মিতভাবে টেলিভিশন সম্প্রচার শুরু
১৭৮২ – বাঁশের কেল্লা খ্যাত বিপ্লবী তিতুমীর তথা সৈয়দ মীর নিসার আলীর জন্ম
১৮৮০ - টমাস আলভা এডিসন বৈদ্যুতিক বাতির বাণিজ্যিক পেটেন্ট করেন।
১৯৬৯: অভিনেতা ববি দেওলের জন্ম
১৯৬৯: চিত্রপরিচালক বিক্রম ভাটের জন্ম
১৯৮৬: বিশিষ্ট সেতারবাদক নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
২০০৯: ভারতের অষ্টম রাষ্ট্রপতি আর ভেঙ্কটরামনের মৃত্যু
২০০২ - নাইজেরিয়ার লেগোস শহরে এক বিস্ফোরণে এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত এবং প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি মানুন গৃহহীন হন।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৬৪ টাকা ৭২.৩৪ টাকা
পাউন্ড ৯১.৭৩ টাকা ৯৫.০২ টাকা
ইউরো ৭৭.৩৫ টাকা ৮০.৩৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪০,৯৮৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৮,৮৮৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৯,৪৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৭,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৭,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
26th  January, 2020

দিন পঞ্জিকা

১১ মাঘ ১৪২৬, ২৬ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার, (মাঘ শুক্লপক্ষ) দ্বিতীয়া ৫৯/৪৫ শেষ রাত্রি ৬/১৬। ধনিষ্ঠা অহোরাত্র। সূ উ ৬/২১/৫৩, অ ৫/১৬/১৩, অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ গতে ১০/০ মধ্যে। রাত্রি ৭/১ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৭ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৭ গতে ৩/৬ মধ্যে। 
১১ মাঘ ১৪২৬, ২৬ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার, দ্বিতীয়া ৫৬/১৭/৫২ শেষরাত্রি ৪/৫৬/৫। ধনিষ্ঠা ৫৮/৫৪/২৯ শেষরাত্রি ৫/৫৮/৪৪। সূ উ ৬/২৪/৫৬, অ ৫/১৪/৫৬, অমৃতযোগ দিবা ৭/১ গতে ৯/৫৯ মধ্যে ও রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে। কালবেলা ১১/৪৯/৫৬ গতে ১/১১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৮/৪১ গতে ৩/৭/২৬ মধ্যে।
৩০ জমাদিয়ল আউয়ল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। বৃষ: নিজের প্রতিভার দ্বারা বিশেষ প্রতিষ্ঠা লাভ করতে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৯২৬: জন লগি বেয়ার্ড লন্ডনে প্রথম টেলিভিশন সিস্টেমকে জনসমক্ষে নিয়ে ...বিশদ

07:03:20 PM

গিরিশ পার্ক এলাকায় ১১ মাসের শিশুকে অপহরণের অভিযোগ

04:55:03 PM

আনন্দপুরে একটি বাড়িতে ঢুকে মহিলাকে বেঁধে লুটতরাজ দুষ্কৃতীদের, তদন্তে পুলিস 

04:18:31 PM

৮৩ যাত্রী নিয়ে আফগানিস্তানের গজনিতে ভেঙে পড়ল বিমান

04:15:59 PM

৪৫৮ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

04:11:36 PM