নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কোয়েসের সঙ্গে বিচ্ছেদ আর নতুন ইনভেস্টর আনার কাজ কতটা এগল, এই প্রেক্ষাপটে দীর্ঘ প্রায় সাড়ে চার মাস পর বুধবার সন্ধ্যায় কর্মসমিতির সভা ডেকেছিলেন ইস্ট বেঙ্গলের সচিব। ৩১ মে’র পর ২৩ দিন গড়িয়ে গেলেও কোয়েস ‘লেটার অফ টার্মিনেশন’ দেয়নি। মূলত দুটি দাবি তাঁদের। বিশেষ শর্ত মেনে না নেওয়া আটজনের ( চার বিদেশি এবং চার স্বদেশি আছেন তালিকায়) দায়িত্ব নিতে হবে ক্লাবকে। ছাড়তে হবে ক্লাবের পাওনা দুই কোটি। এই দুটি ক্ষেত্রে ক্লাবের আর্থিক দায় দাঁড়াবে প্রায় সাড়ে চার কোটি। তবে এদিনের সভায় কোয়েসের দেওয়া প্রস্তাব মানা হবে না বলেই ঠিক হয়েছে। ফেডারেশন লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া শুরু করছে ১৫ জুলাই। শেষ হবে ৩০ সেপ্টেম্বর। তাই ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া শুরু করলেও অসুবিধা হবে না ইস্ট বেঙ্গলের। ৪২ দফা শর্ত পূরণের জন্য দু’সপ্তাহ যথেষ্ট। তাই কোয়েসের জোড়া শর্ত ইস্ট বেঙ্গল মেনে নিচ্ছে না। এই ব্যাপারে ধীরে চলো নীতি নিয়েছে ক্লাব।
এদিন কর্মসমিতির সভায় আগামী ১ আগস্ট ইস্ট বেঙ্গল দিবসের অনুষ্ঠান নিয়ে আলোচনা হয়। ফুটবল সচিব বলেন,‘আমরা সরকারি বিধি মেনে ১ আগস্ট ছোট অনুষ্ঠান করার কথা ভেবেছি। আগামী তিন সপ্তাহ পরিস্থিতি কোনও দিকে যায় তা দেখে নিতে চাইছি আমরা।’ বৃহস্পতিবার দুপুরে ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবে আসছেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তাঁর সঙ্গেও এই নিয়ে আলোচনা হবে। ১ আগস্ট ইস্ট বেঙ্গলের শতবার্ষিকী বইটি প্রকাশ করার চেষ্টা হচ্ছে। এদিকে, কোয়েসের সঙ্গে জট ছাড়াতে দুই বছরের চুক্তিবদ্ধ দুই খেলোয়াড় পিন্টু মাহাতা আর সামাদ আলিকে গত বছরের চেয়ে ৩০ শতাংশ কমে খেলতে বলা হল।