কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আই লিগে অশ্বমেধের ঘোড়ার মতো ছুটছে মোহন বাগান। শনিবার সন্ধ্যায় মারগাওতে লিগ টেবলে তৃতীয় স্থানে থাকা চার্চিল ব্রাদার্সকে ৩-০ হারিয়ে চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে স্বস্তিজনক অবস্থায় পৌঁছে গেল কিবু ভিকুনা-ব্রিগেড। শুধু জয়ই নয়, মোহন বাগানের পারফরম্যান্স এদিন মুগ্ধ করেছে বিশেষজ্ঞদের। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে বাকিদের পক্ষে বেইতিয়া-পাপা দিওয়ারাদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া কার্যত অসম্ভব। ১৩ ম্যাচে মোহন বাগান ৩২ পয়েন্ট পেয়েছে। সমসংখ্যক ম্যাচে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পাঞ্জাব এফ সি’র সংগ্রহ ২১। পরিস্থিতি অনুযায়ী, শেষ রাউন্ডের আগেই খেতাব নিশ্চিত করতে পারে শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবটি।
ঘরের মাঠে এই চার্চিল ব্রাদার্সের কাছেই ২-৪ গোলে হার মানতে হয়েছিল বাগানকে। শনিবারের সন্ধ্যায় সেই হারের মধুর প্রতিশোধ নেওয়ার লক্ষ্যে ফাতোরদার নেহরু স্টেডিয়াম দাপিয়ে বেড়ালেন মুনোজ-নাওরেমরা। পাসিং ফুটবলের ঝড়ে প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতেই দেয়নি মোহন বাগান। তবে প্রথমার্ধের মাঝামাঝি একটি স্পেলে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে চার্চিল ব্রাদার্স। ওই পর্বে উইলিস প্লাজাকে ট্যাকল করতে গিয়ে হাঁটুতে চোট পান ড্যানিয়েল সাইরাস। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ফ্রান গঞ্জালেজ মুনোজকে স্টপারে নামিয়ে এনে ড্যানিয়েলের জায়গায় টারসুনভকে ব্যবহার করে পরিস্থিতি সামাল দেন কোচ কিবু ভিকুনা।
ম্যাচের প্রারম্ভিক পর্বেই কাঙ্ক্ষিত লিড তুলে নেয় বাগান। সপ্তম মিনিটে বেইতিয়ার ফ্রি-কিক মুনোজ হেডে নামিয়ে দেন। চার্চিল বক্সে ওত পেতে থাকা পাপা দিওয়ারা তা গোলে ঠেলতে ভুল করেননি (১-০)। এরপর বেইতিয়ার কর্নার চার্চিল গোলরক্ষক সুখদেব পাতিল ফিস্ট করলে ফিরতি বলে চটজলদি ভলি নিয়েছিলেন শেখ সাহিল। বলটি ক্রসপিসের সামান্য উপর দিয়ে উড়ে যায়। প্রথমার্ধের মাঝামাঝি শঙ্কর রায়ের ভুলে চার্চিলের প্লাজা ও পেড্রো দু’টি সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। প্রথমার্ধের শেষ পাঁচ মিনিট মোহন বাগান পাসিং ফুটবলের চরম নিদর্শন রাখে। ৩৯ মিনিটে ডান দিক থেকে পাপা দিওয়ারার পাসে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন সুহের। এদিন প্রথম গোল পেলেও পাপা দিওয়ারার হ্যাটট্রিক করা উচিত ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে তিনি দু’বার করমর্দন দূরত্ব থেকে লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি।
বিরতির পর মিনিট পাঁচেক হঠাৎই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে চার্চিল ব্রাদার্স। বিপক্ষ বক্সে ভেসে আসা বলে নেওয়া উইলিস প্লাজার হেড ক্রসপিস ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। অনেকের মতে, এটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। তখন ১-১ হলে চাপ বাড়তে পারত মোহন বাগানের উপর। এরপরেই দ্বিতীয় গোল তুলে নিয়ে বিপক্ষের ম্যাচে ফেরার আশায় জল ঢেলে দেয় সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ৫০ মিনিটে পরিকল্পিত আক্রমণের মাধ্যমে ব্যবধান বাড়ায় বাগান। নাওরেম বাঁদিক থেকে হ্যাংসিনকে কাটিয়ে বল দিলে সুহের ডান পায়ের চমৎকার প্লেসিংয়ে জাল কাঁপান (২-০)। ৫৭ মিনিটে দুই স্টপারের মাঝখান দিয়ে ছিটকে বেরিয়ে নাওরেমের সেন্টারে চমৎকারভাবে গোলে ঠেলে দেন পরিবর্ত হিসেবে নামা টারসুনভ (৩-০)। ৭২ মিনিটে জটলার মধ্যে থেকে নেওয়া পাপার শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। আরেকবার টারসুনভের পা থেকে বল পেয়ে সেনেগালের স্ট্রাইকারটির প্রয়াস গোলে ঢোকার মুখে শরীর ছুঁড়ে দিয়ে বাঁচান পনিফ ভাস।