কাজকর্মে প্রতিকূলতা কেটে ক্রমোন্নতি। সন্তানের আচরণে ও মতিগতি নিয়ে চিন্তা। অর্থাগম হবে। ... বিশদ
পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান তারক সরখেল বলেন, করিমপুর আস্তে আস্তে শহরের চেহারা নিচ্ছে। দিনদিন মানুষের সঙ্গে বাড়ি ঘরের সংখ্যাও বাড়ছে। একদিকে যেমন বাড়ির আশপাশের জায়গা কমে যাচ্ছে, তেমনি এলাকায় সুইপারের সংখ্যাও কমছে। ফলে মানুষদের বাড়ির নোংরা বা চেম্বারের মল পরিষ্কারের জন্য মোটা টাকা গুনতে হচ্ছিল। সকলের সেই অসুবিধার কথা ভেবে মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের তৎকালীন সিপিএম সাংসদ বদরুদ্দোজা খানকে জানানো হয়েছিল। তিনি তাঁর তহবিল থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করেন। সেই টাকা দিয়েই এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তেহট্ট মহকুমায় প্রথম এই গ্রাম পঞ্চায়েত এমন ব্যবস্থা করছিল।
তিনি আরও জানান, মেশিনটি চলতে ঘণ্টায় মাত্র ৭ লিটার ডিজেল প্রয়োজন। একটি চেম্বার পরিষ্কার করতে মাত্র ১৫ মিনিট সময় লাগবে। সুইপারকে দিয়ে হাতে পরিষ্কার করতে যেখানে প্রায় দুই হাজার টাকা খরচ হতো, তা মেশিনে অল্প সময়ে ও অনেক কম খরচে করা সম্ভব। এলাকার বাসিন্দারা জানান, এই ব্যবস্থা চালু হলে সত্যিই সাধারণ মানুষ খুব উপকৃত হবেন। সেসপুল ক্লিনার ভ্যান পরিষেবা চালু করতে পঞ্চায়েত প্রশাসনের আরও সচেষ্ট হওয়া দরকার। পঞ্চায়েত অফিসে এসে নাম লিখিয়ে গেলে ওই গাড়ি তার বাড়িতে পরিষ্কারের জন্য পাঠানো হবে। এলাকার মানুষের সুবিধার্থে সমগ্র জেলার প্রথম এই পরিষেবা চালু হয়েছিল এখানে। সাংসদ তহবিলের চার লক্ষ পঁচানব্বই হাজার টাকা ব্যয় করে এই মেশিনটি কেনা হয়েছিল।
করিমপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুপর্ণা মুখোপাধ্যায় বলেন, জমির অভাবে সেসপুল ক্লিনার ভ্যান বা নোংরা নিষ্কাশন গাড়ির পরিষেবা শুরু করা যাচ্ছে না। নোংরা ময়লা তুলে আনার পরে তা একটি ফেলার জন্য নির্দিষ্ট জায়গার প্রয়োজন। সেই জমি এখনও পাওয়া যায়নি। দু’টি জায়গার জমির খোঁজ মিলেছে। সেটা পাওয়া গেলেই পরিষেবা চালু করা হবে।