কাজকর্মে প্রতিকূলতা কেটে ক্রমোন্নতি। সন্তানের আচরণে ও মতিগতি নিয়ে চিন্তা। অর্থাগম হবে। ... বিশদ
আমজনতা বলছে, সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম আকাশছোঁয়া। এই অবস্থায় চালের দাম বেড়ে গেলে হাঁড়ি চড়বে কীভাবে? রেশনে সরকার চাল দিচ্ছে ঠিকই, কিন্তু শহরের অনেক পরিবারকেই তা কিনতে হচ্ছে। চাল ব্যবসায়ী মাধব মণ্ডল বলেন, এই কয়েকদিনে স্বর্ণ চালের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। একবার দাম বেড়ে গেলে তা সহজ কমতে চায় না। অন্যান্য চালের দাম বাড়লে ততটা সমস্যা হয় না। কারণ দামি চাল সাধারণত বেশি আয় করা পরিবারের লোকজন কেনেন। কেজি প্রতি দু’-তিন টাকা দাম বাড়লে তেমন সমস্যা হয় না। কিন্তু আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবারগুলির কাছে অত্যন্ত সমস্যার। রাইসমিল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে সুব্রত মণ্ডল বলেন, চালের আমদানি কিছুটা কম রয়েছে। আশা করা যায় কয়েকদিনের মধ্যেই সব ঠিক হয়ে যাবে।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে থাকা একটি হোটেলের মালিক বলেন, চালের দাম বেড়ে গেলে আমজনতা সমস্যায় পড়বেন। ছোট ছোট হোটেলগুলিতে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন খাওয়া-দাওয়া সারেন। সরকারি হাসপাতালে যাঁরা আসেন তাঁদের অধিকাংশের আর্থিক অবস্থা খারাপ। অনেকের কম টাকা খরচ করেও খাওয়ার সামর্থ্য থাকে না।
পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জ থেকে হাসপাতালে আত্মীয়ের চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন সঞ্জয় লোহার। তিনি বলেন, গ্রামের বহু পরিবার রেশনের চাল বিক্রি করে দেয়। সারা মাস ধরে খাওয়ার পর অতিরিক্ত চাল থেকে যায়। কিন্তু বহু পরিবারের রেশনের চালে সারা মাস হয় না। তাঁদেরকে তা কিনে খেতে হয়। এছাড়া কাজের জন্য যাঁরা বাইরে রয়েছেন তাঁদেরও সমস্যা হয়। স্বর্ণ চালের দাম বাড়া উচিত নয়। কিন্তু সবচেয়ে বেশি এই চালের দাম বেড়ে চলছে। কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানে যথেষ্ট পরিমাণ স্বর্ণ চাল উৎপাদন হয়। ফলন বেশি হওয়ায় অন্যান্য জেলাগুলিতেও স্বর্ণ চাষের এলাকা বাড়ছে। এই চালের জোগান কম থাকা উচিত নয়। কিন্তু তারপরও মোটা চালের দাম বেড়েই চলছে।