কাজকর্মে প্রতিকূলতা কেটে ক্রমোন্নতি। সন্তানের আচরণে ও মতিগতি নিয়ে চিন্তা। অর্থাগম হবে। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, চাকরি না পেয়ে পরে টাকা ফেরত চেয়েছিলেন সৌমিত্র। কিন্তু টাকা ফেরত পাননি। শেষে তাঁর ছেলের সহপাঠীর বাবা নতুন এক প্রস্তান নিয়ে হাজির হন। তিনি সৌমিত্রকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের তিনজনের সঙ্গে আলাপ করিয়ে তাঁদের নিজের আত্মীয় বলে পরিচয় দেন। এদের মধ্যে একজন রেলের বড় আধিকারিক বলে পরিচয় দেন নিজেকে। এরপর আধিকারিক পরিচয় দিয়ে সৌমিত্রর স্ত্রীর সঙ্গে আলাপ জমান। ওই ব্যক্তিকে বিশ্বাস করে অনলাইনে ৬ লক্ষ টাকা দেন বলে সৌমিত্র দাবি করেছেন। ২০২৪ সালের ১৫ মার্চ থেকে ১৯ এপ্রিলের মধ্যে দফায় দফায় ওই টাকা পেমেন্ট করেন। সৌমিত্রর অভিযোগ, রেলের আধিকারিক পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি চাকরিও দেয়নি, টাকাও ফেরত দেয়নি। উল্টে টাকা ফেরত চাইতেই স্ত্রী ও পুত্রকে অপহরণের হুমকি দেয়। হুমকি দেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই হলদিয়ার সিটি সেন্টার শপিংমলের কাছ থেকে স্ত্রীকে অপহরণ করে বলে পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভবানীপুর থানার ওসি ইমরান মোল্লা বলেন, অপহরণের একটি অভিযোগ এসেছে। কিন্তু তদন্ত করতে গিয়ে পুলিস দেখেছে, রেলের আধিকারিক পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তির সঙ্গে মহিলা স্বেচ্ছায় চলে গিয়েছেন। ওই মহিলা এখনও ফিরে আসেননি বলে জানা গিয়েছে। সৌমিত্রবাবুকে সমস্ত নথি নিয়ে পুলিস দেখা করতে বলেছে।
এদিকে, হলদিয়া টাউনশিপের সিপিটি আবাসনের এক বাসিন্দা পোস্ট অফিসে টাকা জমা করতে গিয়ে সাড়ে ৮ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন বলে হলদিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিস জানিয়েছে, প্রবীরকুমার দে নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে টাউনশিপ পোস্ট অফিসের এক এজেন্ট জালিয়াতি করেছেন বলে অভিযোগ হয়েছে। প্রবীরবাবুর দাবি, ওই এজেন্ট তাঁর পূর্ব পরিচিত এবং বন্ধু স্থানীয়। প্রথমে ৭ লক্ষ টাকা এবং পরে দেড় লক্ষ টাকার দু’টি সার্টিফিকেট দেন ওই এজেন্ট। ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে ওই দু’টি সার্টিফিকেট কেনেন। প্রবীরবাবুর দাবি, বেনিয়া কমার্শিয়াল প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ওই সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। টাকা জমা করার রসিদও পেয়েছিলেন তিনি। ওই সময় টাকা ডবল করার টোপ দেওয়া হয়েছিল। পাঁচ বছর পর সার্টিফিকেট ভাঙাতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয় বলে অভিযোগ। টাকা ভাঙাতে টালবাহানা করে ওই এজেন্ট। শেষে প্রবীরবাবু দিন কয়েক আগে জানতে পারেন ওই সার্টিফিকেট নকল। ওই এজেন্টের কাছে টাকা ফেরত চাইলে সে হুমকি দিয়ে মারধর করেছে পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন প্রবীরবাবু। ওই ঘটনার পর জেলা পুলিস সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রবীরবাবু। পাশাপাশি হলদিয়া মহকুমা আদালতেও মামলা করেন তিনি। বিচারক পুলিসকে টাকা ফেরানোর জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে।