কাজকর্মে প্রতিকূলতা কেটে ক্রমোন্নতি। সন্তানের আচরণে ও মতিগতি নিয়ে চিন্তা। অর্থাগম হবে। ... বিশদ
সিএমওএইচ বলেন, নতুন ভবনের দোতলা ও তিনতলায় মেল, ফিমেল মেডিসিন এবং সার্জিক্যাল কোল্ড ওয়ার্ড করা হবে। পুরনো ভবন থেকে একটু ভালো হয়ে যাওয়া রোগীদের এই ওয়ার্ডে শিফ্ট করে দেওয়া হবে। তাতে পুরনো ভবনের উপর চাপ কমবে। গ্রাউন্ড ফ্লোরে প্রশাসনিক ভবন ছাড়াও চোখ, নাক-কান-গলা, চর্ম ও মানসিক বিভাগের আউটডোর করা হবে। পরে বাকি আউটডোরগুলিকেও এখানে নিয়ে আসা হবে। চারতলায় শৌচালয় নেই। সেখানে পূর্ত দপ্তরকে শৌচালয় করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, প্রসূতি বিভাগ করা হবে।
এছাড়াও এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধন করা ডায়ালিসিস ও সিটি স্ক্যান সেন্টার চালু করার বিষয়েও আলোচনা হয়। পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গিয়েছে। কিছু সামান্য কাজ বাকি রয়েছে। সেগুলি হয়ে গেলে এই দু’টি পরিষেবাও দ্রুত চালু করে দেওয়া হবে। সিএমওএইচ বলেন, মেশিনও বসে গিয়েছে। ডায়ালিসিস সেন্টারটি খুবই আধুনিক হয়েছে। নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী এই দু’টি পরিষেবার উদ্বোধন করেছিলেন।
দীর্ঘদিন ধরে খড়্গপুর মহকুমার বাসিন্দারা ডায়ালিসিস ও সিটি স্ক্যান পরিষেবার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। দু’টি পরিষেবা চালু হয়ে গেলে রোগীদের দুর্ভোগ কমবে। তাঁদের আর অন্যত্র রেফার করতে হবে না। এখন এই দুই ক্ষেত্রে রোগীদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়। যাদের সামর্থ্য রয়েছে, তাঁরা বাইরে থেকে সিটি স্ক্যান ও ডায়ালিসিস করান।
এদিন মিটিংয়ে ঠিক হয়েছে, হাসপাতালের পুরানো অফিস রুমে বার্ন ইউনিট গড়ে তোলা হবে। হাসপাতালে কোনও ক্যান্টিন নেই। ফলে হাসপাতালের কর্মীরা ছাড়াও রোগী ও পরিজনদেরও সমস্যায় পড়তে হয়। এদিন বৈঠকে এ ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিএমওএইচ বলেন, স্বসহায়ক গোষ্ঠীর মহিলারা হাসপাতালে ক্যান্টিন করবেন। প্রশাসনিক স্তরে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।