কাজকর্মে প্রতিকূলতা কেটে ক্রমোন্নতি। সন্তানের আচরণে ও মতিগতি নিয়ে চিন্তা। অর্থাগম হবে। ... বিশদ
শান্তিপুরের ১০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন চৈতন্যপল্লি এলাকায় রয়েছে ডাম্পিং গ্রাউন্ড। গত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সেখানে শান্তিপুর শহরের ময়লা আবর্জনা এনে ফেলা হয়। বহু বছর আগে সেখানে বড় বড় গাছ থাকলেও ঝড় ও চোরাকারবারিদের দৌরাত্ম্যে এখন আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। ডাম্পিং গ্রাউন্ডে নেই সীমানা প্রাচীরও। জানা গিয়েছে, সেখানে একটি জঞ্জাল প্রসেসিং ইউনিট ছিল। ডাম্পিং গ্রাউন্ডের বর্জ্য সেখানে নিষ্কাশন করা হতো। কিন্তু যে সংস্থাটি সেই ইউনিট চালাত, তার মেয়াদ বছর দুয়েক আগে ফুরিয়ে যায়। তখন থেকেই বন্ধ হয়ে যায় ইউনিটটি। এরপর থেকে প্রতিনিয়ত শহরের ২৪টি ওয়ার্ডের জঞ্জাল সেখানে এনে ফেলা হচ্ছে। কিন্তু, নিষ্কাশন করা হচ্ছে না। তার জেরে টেকা দায় হয়ে উঠেছে বাসিন্দাদের। মঙ্গলবার সকালে শহর থেকে ময়লা আবর্জনা সংগ্রহ করে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আবর্জনা বহনকারী গাড়িগুলি ঢুকতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। চৈতন্যপল্লির ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা প্রায় ১৫টি গাড়ি আটকে রাখেন। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বিধান বিশ্বাস, ডলি সরকার, যমুনা সরকার বলেন, ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে ময়লা আবর্জনা এখন আমাদের এলাকা পর্যন্ত চলে আসছে। এরপর তো আমাদের পাড়া ছাড়তে হবে। দুর্গন্ধ এতটাই যে বাড়িতে আত্মীয় পরিজনরা আসতে চাইছে না। এই জঞ্জাল সমস্যার কারণেই এলাকার অনেকেই মেয়ের বিয়েও দিতে পারছেন না। ওই পথ দিয়ে যাতায়াতকারী হরিপুর, বাগআঁচড়া পঞ্চায়েতের বাসিন্দারাও সমস্যায় পড়ছেন। অবিলম্বে আবর্জনা নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না নিলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলন হবে।
পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তৃণমূলের উৎপল সাহা বলেন, গ্রিন সিটি মিশনে প্রসেসিং ইউনিটের কাজ দ্রুত যাতে শুরু হয়, সেই ব্যবস্থা করছি। চেয়ারম্যানের সঙ্গে এবিষয়ে কথা হয়েছে।