কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজে জমিদাতাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে বঞ্চনার বিষয়ে সরব হয়েছিল এই সংগঠন। একাধিক জায়গায় প্রশাসনকে এই সংগঠনের তরফে বাধা দেওয়া হয়। উচ্ছেদের কাজ আর ৮ কিলোমিটার মতো বাকি। তার আগেই গ্রেপ্তার করা হয় মঞ্চের সভাপতিকে। ফলে জমিদাতাদের আন্দোলনও অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়তে চলেছে বলে ওয়াকিবাহল মহলের ধারণা। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮, ৩৫৩, ১৪৩, ১৮৬, ৪৩৫ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। এছাড়াও আরও বিভিন্ন আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। রানাঘাট মহকুমার এক ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও জেলা প্রশাসনের একটি সূত্রে খবর, রাস্তার কাজে বার বার বাধা পাওয়ায় খোদ নদীয়ার জেলাশাসকের নির্দেশেই পুলিস এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সংগঠনের স্লোগান, ‘জয় ভীম জয় ভারত’। পাঁচ বছর আগে এই মঞ্চ গড়ে ওঠে। সংগঠনের পক্ষে দাবি করা হয়, তাদের ৩২টি শাখা সংগঠনও আছে। ভাঙরে পাওয়ার গ্রিড নিয়ে আন্দোলনেও এই মঞ্চ শামিল ছিল। বারাসতের নীলগঞ্জে ফুটপাথবাসীদের নিয়ে আন্দোলনও ছিলেন এই মঞ্চ। লোকসভা ভোটে বেশ কিছু আসনে প্রার্থীও দেয় এই মঞ্চ। রানাঘাট আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। প্রথম থেকে জেলা প্রশাসন এদের নিয়ে খুব একটা মাথা না ঘামালেও বার বার কাজে বাধা পাওয়ার পর অসন্তুষ্ট হন প্রশাসন পুলিসের কর্তারা।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, জমিদাতাদের লাগাতার উস্কানি দেওয়া, কেরোসিন আগুন নিয়ে জমায়েত করা, ভুল বুঝিয়ে জমিদাতাদের থেকে চাঁদাও তোলে এই মঞ্চ। যদিও ওই মঞ্চের একাধিক জনের সঙ্গে এদিন যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কেউই ফোন ধরতে চাননি।
বৃহস্পতিবার জমিদাতাদের সঙ্গে রানাঘাট মহকুমা দপ্তরে একটি বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক এবং মহকুমা শাসক, সহ ভূমি দপ্তরের আধিকারিকরা ও জমিদাতারা। সেই বৈঠকে জমিদাতারা তাঁদের সমস্যার কথা জানায়। এরপর তাঁদেরকে শুক্রবার শান্তিপুর বিডিও অফিসে শুনানির জন্য ডাকা হয়। কিছু কিছু জমিদাতার হাতে ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে দেওয়া হয়। জেলাশাসক বিভু গোয়েল বলেন, আইন অনুযায়ী আমাদের যেটুকু করার, যেভাবে জমিদাতাদের পাশে থাকা যায়, সেই চেষ্টাই করছি।
রানাঘাটের মহকুমা শাসক হরসিমরণ সিং বলেন, জমি সংক্রান্ত ব্যাপারে যাঁদের সমস্যা রয়েছে তাঁদেরকে শান্তিপুরের বিডিও অফিসে ডাকা হয়েছিল। সেখানে তাঁদের সমস্যার কথা নথিভুক্ত করা হয়েছে। তাঁদের নথিপত্র দেখা হয়েছে। তাঁরা কত টাকা পেয়েছেন বা কত টাকা পাননি সেটাও তাঁদের থেকে জানা হয়েছে। সেইমতো উদয়পুর, শুকপুকুরিয়া, বিহারিয়া, বেলঘড়িয়া সহ আরও বেশ কয়েকটি মৌজার জমিদাতারা এদিন এসেছিলেন। প্রশাসনের তরফ থেকে তাঁদের এক এক করে ডেকে জমি সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখা হয়। সমস্যার কথা শোনা এবং ক্ষতিপূরণের টাকাও দেওয়া হয়।
শুকপুকুরিয়া মৌজার এক জমিদাতা পুষ্পেন্দু রায় বলেন, আজকের শুনানিতে প্রশাসন আইওয়াশের চেষ্টা করেছে। প্রশাসন প্রমাণ করার চেষ্টা করছে যে আমাদের সঙ্গে ওরা বারেবারে বৈঠকে বসেছেন। ১৯৫৬ সালের বস্তা পচা আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার বাইরে কিছুই করা হচ্ছে না। প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে ২০১৩ সালের আইন অনুযায়ী আমরা ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে পারব না। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে গায়ের জোরে কিছু করতে পারব না। তাই বাধ্য হয়ে আজকে ক্ষতিপূরণের টাকা নিলাম।