উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
করিমপুর-১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তরুণ সাহা বলেন, পাট করিমপুরের প্রধান অর্থকরী ফসল। বহু মানুষ পাট চাষের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু, পাট কেনার বিষয়টি রাজ্যের হাতে নেই। ওটা কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থাই করে। কিন্তু, পাটচাষিদের মারাত্মক বেহাল অবস্থা। দাম পাওয়া তো দূর, চাষের খরচটুকু তুলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এত বছর ধরে পাট চাষিদের জন্য কেন বিজেপি সরকার কিছু করেনি মানুষ সেই উত্তর চায়। নির্বাচনে এটা যে একটা ইস্যু তা অস্বীকার করার কিছু নেই।
করিমপুর বাজারের পাট ব্যবসায়ী বিজন ঘটক বলেন, জুট কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়াকে পাট বিক্রি করলে কুইন্টাল পিছু মেলে সাড়ে তিন হাজার টাকা। এক বিঘা জমিতে ৩ কুইন্টাল পাট চাষ হয়। চাষ করতে খরচ পড়ে সাড়ে ১২হাজার টাকা। কিন্তু পাট বেচে পাওয়া যায় ১০হাজার ৫০০ টাকা। এত কষ্ট করে চাষ করে দাম না পেলে কার ভালো লাগে। পাশাপাশি পাট পচানোও এখন বিরাট ঝামেলার। বরাবরই পাটের দাম নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রীয় সরকারের বিষয়। আমরা জানি, রাজ্য সরকারের এখানে কিছু করার নেই।
করিমপুর-১ ও ২ ব্লক মিলিয়ে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়। পাট চাষির সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজারের কাছাকাছি। পাশাপাশি এর সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছেন আরও অনেকে। চাষিদের অভিযোগ, যত ভালোভাবেই চাষ করা হোক না কেন, পাটের নিম্ন গ্রেড দেখিয়ে জেসিআই থেকে ঠিক মতো দাম দেওয়া হয় না। পাশাপাশি পাট ইচ্ছামতো বাদও দেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী যেটুকু পাট বাদ দেওয়ার কথা, তার থেকে বেশি পাটই বাদ দিয়ে দেওয়া হয়।
বিজেপির জেলা সভাপতি মহাদেব সরকার বলেন, পাট কেনার জন্য জেসিআই থেকে বহু কেন্দ্র খোলা হয়। পাট কেনার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই চাষিদের দাম দিয়ে দেওয়া হয়। পাট কেনা এখনও চলছে। চাষিদের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তৃণমূল কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধিতার জন্যই এইসব বলে যাচ্ছে।
যদিও মুরুটিয়া থেকে থানার পাড়া অথবা করিমপুর বাজার, কোথাও পাট চাষিদের মুখে হাসি নেই। বিজেপির এই দাবি মানতে নারাজ তাঁরা। এবার করিমপুরের উপনির্বাচন এমন সময়, যখন চাষিরা এই সমস্যায় ভুগছেন। ফলে, ভোটে এবার পাট চাষিদের অবস্থা নিঃসন্দেহে একটি ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। লোকসভা ভোটে রাজ্যের বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলকে বিজেপি পিছনে ফেলে দিলেও করিমপুর কেন্দ্রে তা হয়নি। এখানে বিজেপির থেকে ১৪ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। লোকসভা ভোটে করিমপুর বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল পেয়েছে ৮৭হাজার ৫১৩ ভোট। বিজেপি প্রার্থী পায় ৭৩ হাজার ১৭৩টি এবং সিপিএম-কংগ্রেসের জোট প্রার্থী পেয়েছিলেন ৩৯ হাজার ৭০৬টি ভোট। তবে, গত বিধানসভা নির্বাচনের থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ভোট কমেছিল তৃণমূলের। স্বাভাবিকভাবেই এই আসন দখলে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল। বিজেপিও এবার এই আসন দখলে বদ্ধপরিকর। তাই দুই দলই জোরকদমে প্রচার শুরু করেছে।