উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
নিহত আমির আলির স্ত্রী টগরি বেওয়া বলেন, দলের তরফে আমাদের বাড়িতে গিয়ে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। সেইমতো এদিনের সভায় আমাদের হাজির থাকতে বলা হয়। কিন্তু, সভা শেষে সেই সাহায্য আমরা পাইনি। বিষয়টি নিয়ে আমি বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন, চেক তৈরি হয়নি। আগামীদিনে বাড়িতে এসে তা দিয়ে যাবেন।
এদিকে, এদিনের সভায় নিহত দুই কর্মীর স্মরণে নীরবতা পালন না হওয়ায় দলের কর্মীদের একাংশ ক্ষুব্ধ। এমনকী, মঞ্চের ডানদিকে থাকা নিহত দুই বিজেপি কর্মীর ছবিতে মঞ্চে উপস্থিত থাকা বিজেপির রাজ্য ও জেলা নেতাদের ফুল দিতেও দেখা যায়নি।
অন্যদিকে, এদিনের জনসভার আগেই আরামবাগের বলুণ্ডিতে তৃণমূলের একটি কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। পাশাপাশি তৃণমূলের তিন মহিলা ও এক পুরুষ সদস্যকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পাল্টা মারধর ও বাস ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় দু’পক্ষের সাতজন জখম হয়েছেন। তাঁদের আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আরামবাগ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, বিজেপি গোটা রাজ্যে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। কিন্তু, এভাবে আমাদের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও কর্মী সমর্থকদের মারধর করে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছতে পারবে না বিজেপি। মানুষ ওদের প্রত্যাখ্যান করবে।
বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, তৃণমূলের লোকজন আমাদের সভা বানচাল করবার জন্য প্রথম থেকেই চেষ্টা চালিয়েছে। বাস মালিকদের হুমকি দিয়ে বাস ভাড়া নিতে দেয়নি। তারপরেও খানাকুল, গোঘাট সহ বিভিন্ন জায়গায় বাস থামিয়ে আমাদের কর্মীদের মারধর করা হয়েছে।
এদিকে, এদিনের জনসভা থেকে রাজ্য সরকার ও তৃণমূলকে তুলোধোনা করেন দিলীপবাবু। তিনি বলেন, বর্তমানে রাজ্য সরকার বিভিন্ন দুর্নীতিতে জড়িত। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা সরাসরি উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে দেওয়া হচ্ছে। অথচ, কেউ যদি মারা গিয়ে থাকেন, তবে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে মৃত্যুর পরেও টাকা তুলে নিচ্ছে তৃণমূলের লোকজন। কেন্দ্র সরকারের পাঠানো টাকা ওরা গায়েব করছে। আমাদের ৫০ হাজারেরও বেশি কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে রাজ্য পুলিস। রাজ্যের একাধিক পুরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও হার নিশ্চিত জেনে এই সরকার পুরনির্বাচন করছে না।
এনআরসি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মানুষকে এনআরসি নিয়ে ভুল বোঝানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি যা মুখে বলেন তা করে দেখান। কাশ্মীরে যেমন ৩০৭ ধারা প্রত্যাহার হয়েছে, তিন তালাক বিল পাশ হয়েছে, তেমনই অযোধ্যায় রাম মন্দির হবে।
অন্যদিকে, রাজ্য পুলিস কর্মচারীদের কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলীপবাবু বলেন, যারা আমাদের নামে মিথ্যা এফআইআর করছে, আগামীদিনে আমরা ক্ষমতায় এলে তাদের বাড়ির ভাত খেতে দেব না। তৃণমূলের তাঁবেদারি করা পুলিস কর্মীদের পেনশনের টাকা কেটে নেওয়ার কথাও তিনি বলেন। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে দিলীপবাবু বলেন, পুলিস যদি রাতে গ্রামে ঢোকে তবে পুলিসকে গাছে বেঁধে রাখুন। পুলিসের গাড়ি ঘেরাও করে রাখুন।
পাশাপাশি তিনি এও বলেন, আগামী বছর রাজ্যে ১২৫টি পুরসভার নির্বাচন হবে। যে সকল কাটমানি খাওয়া তৃণমূল কাউন্সিলার বিজেপিতে আসতে চাইছেন। তাঁদের উদ্দেশে বলছি, আগে তাঁরা সাধারণ মানুষের কাটমানির টাকা ফেরত দিয়ে গঙ্গাস্নান করুন। তারপর আমাদের দলে আসার কথা ভাববেন।