উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
আদালতে খণ্ডঘোষ থানার শাঁকারি গ্রামের কাজল সাহা জানিয়েছেন, তিনি পরিচারিকার কাজ করেন। তাঁর স্বামী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। তিনি কোনও কাজ করতে পারেন না। অভাবের সংসার তাঁদের। তাঁর ছেলে দিবাকর সাহাকে মাধবডিহি থানার ছোটবৈনানে এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাখেন তিনি। সেই আত্মীয়ের একটি মিষ্টির দোকান রয়েছে। তাঁর ছেলে কিছুদিনের মধ্যেই মিষ্টির ভালো কারিগর হয়ে ওঠে। মালিকদের অনুপস্থিতিতে তাঁর ছেলে মাঝেমাঝে দোকান চালাত। বেশ কয়েকবার বেতন বাড়ানোর জন্য মালিকদের বলে তাঁর ছেলে। কিন্তু, মালিকরা বেতন বাড়ায়নি। তখন অন্য দোকানে কাজ করার মনস্থ করে তাঁর ছেলে। গত ২৭ জুলাই মিষ্টির দোকানের পিছনে পানাপুকুর থেকে তাঁর ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
তাঁর অভিযোগ, তাঁর ছেলেকে খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। ছেলের মৃত্যুর বিষয়ে তিনি আত্মীয়দের জানান। এবিষয়ে চিন্তা না করার জন্য তাঁকে বলে আত্মীয়রা। ঘটনার বিষয়ে থানায় না জানানোর জন্য বলে আত্মীয়রা। এনিয়ে মামলা করার কথা বলে মুখ বন্ধ করার জন্য তাঁকে ২ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা জানানো হয়। তাতে রাজি না হলে তাঁকেও খুনের হুমকি দেওয়া হয়।
কাজলদেবীর আইনজীবী বিকাশকুমার রায় বলেন, আত্মীয়দের ভয়ে মৃতের মা থানায় অভিযোগ জানাতে পারেননি। ছেলের মৃত্যুর যথাযথ তদন্ত দাবি করে এসপিকে জানানো হয়। তারপরও সুরাহা না হওয়ায় আদালতে মামলা করা হয়। আদালত কেস রুজু করে তদন্তের জন্য মাধবডিহি থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশে দু’মাস পর মামলা রুজু হয়েছে। এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।