উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
এদিকে, এই ইস্তাহার নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না বিরোধীরা। দলীয় প্রার্থীর প্রচারে এসে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ওদের সরকার আছে, তবু কোনও কাজ হয়নি। কিছু করেনি বলেই ইস্তেহার প্রকাশ করেছে।
প্রদীপবাবু বলেন, এই শহরে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আমরা বলছি, আমাদের দলের বিধায়ক হলে আইআইটির সহযোগিতা নিয়ে নিকাশি ব্যবস্থার সার্বিক পুনর্গঠন করা হবে। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের আবাস যোজনায় ১০হাজার স্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। গোলবাজারে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে। ওয়াটার এটিএম, জলাশয়গুলির উন্নয়ন করা হবে। কংসাবতী নদীতটে বিনোদন পার্ক তৈরি করা হবে। অপরাধের হার কমাতে রাস্তায় আরও আলোর ব্যবস্থা করা হবে। আরও সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে ডায়ালিসিস, আইসিইউ, নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট তৈরি করা হবে। প্রতি ওয়ার্ডে শৌচালয় নির্মাণ, নালা নর্দমা পরিষ্কার করা হবে। সলিড ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট এবং জল শোধনাগার তৈরি করা হবে।
তিনি বলেন, আগের বিধায়ক এসব কিছুই ভাবেননি। রেল এলাকায় উন্নয়নের প্রশ্নে আন্দোলনের পাশাপাশি রেলের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধানের পক্ষে আমরা। রবিবাবু বলেন, এর আগে অবাম পুরবোর্ড ছিল। কিন্তু, রাজ্যে বামফ্রন্টের সরকার থাকায় অনেক কাজ করা যায়নি। এখন আমাদের সরকার আছে, পুরসভাও আমাদের। দলের বিধায়ক হয়ে গেলে অনেক উন্নয়ন করা যাবে।
বিজেপি কাউন্সিলার অনুশ্রী বেহারা বলেন, ওদের প্রার্থী পুরসভার চেয়ারম্যানও। তিনি প্রচারে গিয়ে বলছেন, অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আবার ইস্তেহারে শহরে উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। এ তো স্ববিরোধী। তাহলে শহরে কী উন্নয়ন হয়েছে বোঝাই যাচ্ছে।
কংগ্রেস কাউন্সিলার রীতা শর্মা বলেন, শহরে যে কোনও উন্নয়ন হয়নি, তা ওদের ইস্তেহার প্রকাশ করাতেই বোঝা যাচ্ছে। রাজ্যে ওদের সরকার, পাঁচ বছর ওদের সংসদ সদস্য ছিলেন, পুরসভায় ওরা চার বছর ক্ষমতায় আছে। তাহলে ইস্তেহারের এই কাজগুলি হল না কেন, তার জবাব তো প্রদীপবাবুকেই দিতে হবে। এতদিন রাজ্য সরকার কেন হাসপাতালে আইসিইউ, ডায়ালিসিস, নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট গড়তে পারল না? আমরা ভোট প্রচারে গিয়ে মানুষের কাছে এসব তুলে ধরব।
সিপিএমের কাউন্সিলার স্মৃতিকণা দেবনাথ বলেন, ইস্তাহারে পানীয় জলের কথা বলা হয়েছে। ৮৭ কোটি টাকার জল প্রকল্পের তাহলে কী হল? মন্ত্রী এসে তো সেই প্রকল্পের উদ্বোধনও করেছেন। চালুও হয়ে গিয়েছে বলে পুরসভার দাবি। আসলে কোনও কাজই পুরসভা করেনি। এখন ভোটের মুখে পুরসভার যে কাজ করা দরকার, সেই কাজের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। খড়্গপুরের মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবেন।