গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি অর্ঘ্য চক্রবর্তী বলেন, আমাদের কাছেও এরকম খবর আছে। আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে সভাপতিকে এব্যাপারে জানিয়েছি। আমাদের বদলির তালিকাও দেওয়া হয়নি। ফলে আমরাও বুঝতে পারছি না, কাদের এখনও বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত, রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রাথমিক স্কুলের ৯০৫জন শিক্ষককে এক স্কুল থেকে অন্য স্কুলে বদলির নির্দেশ দেয়। মূলত যেসব স্কুলে ছাত্র সংখ্যা অনুপাতে শিক্ষকের সংখ্যা বেশি আছে, সেই সব স্কুল থেকে কম শিক্ষক আছেন এমন স্কুলে বদলি করাই উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু, এই বদলির ফলে অনেক স্কুলে সমস্যা দেখা দেয়। বদলির নির্দেশ হাতে পাওয়ার পর জেলার বিভিন্ন ব্লকে আন্দোলন শুরু হয়ে যায়। কোথাও পথ অবরোধ করা হয়। কোথাও আবার স্কুলে চাবি তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান শিক্ষক, অভিভাবক ও পড়ুয়ারা। অনেক স্কুলে অচলাবস্থাও দেখা দেয়। অনেক শিক্ষক নতুন স্কুলে যোগ দেননি বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এই পরিস্থিতিতে সংসদ থেকে পরিদর্শকদের জানিয়ে দেওয়া হয়, যেখানে শিক্ষক বদলি হয়ে গেলে শিক্ষকশূন্য বা একজন শিক্ষক হয়ে যাবে, তাঁদের যেন ছাড়া না হয়। তবুও সমস্যা মেটানো সম্ভব হয়নি। জটিলতা কাটাতে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তরের দ্বারস্থ হয়েছে সংসদ।
সংসদের সভাপতি নারায়ণ সাঁতরা বুধবার বলেন, আমরা কিছু বিষয়ে জটিলতা কাটাতে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তরে রিপোর্ট পাঠাচ্ছি। স্কুল পরিদর্শকদের কাছ থেকে যখন যেমন রিপোর্ট আসছে, পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে যেমন নির্দেশ আসবে, সেরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু, বদলির নির্দেশ পাওয়ার পরও কিছু শিক্ষক নতুন স্কুলে যোগ দেননি। তাঁদের কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হবে। এব্যাপারে পরিদর্শকদের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। সব রিপোর্ট এখনও আসেনি। রিপোর্ট পেলেই সেই সব শিক্ষকদের পদ্ধতি মেনে শোকজ করা হবে।
সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, বদলির নির্দেশ হাতে পাওয়ার পর অনেক শিক্ষক নানা কারণ দেখিয়ে ছুটি নিয়েছেন। বিশেষ করে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে অনেকে ছুটি নেন। ফলে তাঁরা নতুন স্কুলে যোগ দিতে পারেননি।