গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
জিআরপি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তি নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যা ছন্দা সেনের স্বামী। তরুণবাবু আগে এলাকায় বিজেপি করতেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তিনি তৃণমূলে যোগদান করেন। তাঁর স্ত্রী তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়ে জয়ী হন। এদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ রামপুরহাট বর্ধমান বামদেব লোকাল তারাপীঠ রোড স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার পর ওই ব্যক্তির গলা কাটা মৃতদেহ দেখতে পান প্লাটফর্মের যাত্রীরা। তাঁরাই স্টেশন ম্যানেজারকে বিষয়টি জানান। মাথাটি লাইনের সঙ্গে লেগেছিল। প্রথমে কেউ তাঁকে চিনতে পারেননি। বেশ কিছুক্ষণ পর সাঁইথিয়া জিআরপি এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে।
তরুণবাবু রামপুরহাটের বারোমেশিয়া গ্রামের একটি পাথর কলের ম্যানেজারের কাজ করতেন। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতো বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার সময় তিনি কাজে বেরিয়ে যান। দুপুরে তিনি কাজের জায়গায় খাওয়া দাওয়া সারতেন। তাই বাড়ি থেকে তাঁর কোনও খোঁজ নেওয়া হয়নি। এদিন সাঁইথিয়া জিআরপি ফোন করে প্রথমে ছন্দাদেবীকে স্বামী অ্যাক্সিডেন্ট করেছে বলে জানায়। পরে মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। কান্নায় ভেঙে পড়ে তাঁর বছর ষোলোর মেয়ে।
তৃণমূলের নারায়ণপুর অঞ্চল সভাপতি মিলন শেখ বলেন, বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়ে মিটিং করছিলাম। সেখানে তরুণের স্ত্রীও উপস্থিত ছিল। সেই সময় দলীয় এক কর্মীর কাছ থেকে ফোন পেয়ে তরুণের মৃত্যুর খবর জানতে পারি। তিনি বলেন, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কোনও অশান্তি ছিল না। তা সত্ত্বেও তরুণ কেন আত্মহত্যা করল বুঝতে পারছি না। এই মুহূর্তে পরিবারের যা অবস্থা কথা বলাও যাচ্ছে না। জিআরপি জানিয়েছে, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রামপুরহাট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।