কাজকর্মে প্রতিকূলতা কেটে ক্রমোন্নতি। সন্তানের আচরণে ও মতিগতি নিয়ে চিন্তা। অর্থাগম হবে। ... বিশদ
২০১৭ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়ি পুরসভার বোর্ড গঠন হয়েছিল। ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়। পরবর্তীতে ধূপগুড়ির পুরসভার চেয়ারপার্সন ভারতী বর্মন এবং ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশকুমার সিংকে প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে বসিয়ে পাঁচ সদস্যের প্রশাসক বোর্ড গঠন করা হয়। পুরবাসীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসক বোর্ড থাকায় নাগরিকরা ঠিকমতো পরিষেবা পাচ্ছেন না। যদিও বোর্ডের সদস্যদের দাবি, পুর পরিষেবায় কোনও খামতি নেই।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে ধূপগুড়ি পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ডের সবক’টিতেই লিড পেয়েছে বিজেপি। ৬৯৩৬ ভোটে দলীয় প্রার্থীকে লিড দিয়েছে তারা। ন’মাস আগের বিধানসভা উপ নির্বাচনে বিজেপি লিড দিয়েছিল প্রায় ১৮০০ ভোটে। পুরভোট না হওয়ায় লোকজন বিমুখ হচ্ছে বলে দাবি তৃণমূলেরই একাংশের। পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ভোট যখনই হোক, আমরা ভালো ফল করব।
অন্যদিকে, পুরভোট হচ্ছে না, এই ইস্যুকে হাতিয়ার করেই মাঠে নামতে চলেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। ‘ভোট যায় ভোট আসে, কিন্তু পুরভোট হয় না’ এমন স্লোগান সামনে রেখে আন্দোলনে নামতে চলেছে তারা। ধূপগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা কৃষ্ণ রায় বলেন, গত বিধানসভা উপ নির্বাচন, এবারের লোকসভা ভোট, সবেতেই শহরে পিছিয়ে পড়ছে তৃণমূল। তাই ওরা ভোট করাতে ভয় পাচ্ছে। অথচ নির্বাচিত বোর্ড না থাকায় শহরের নাগরিকরা সুষ্ঠু পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পুরভোট যত পিছিয়ে যাবে, বিজেপির ভোট ততই বৃদ্ধি পাবে।
তৃণমূলের ধূপগুড়ির টাউন সভাপতি সাগ্নিক দাস বলেন, লোকসভা ভোটে আমরা পিছিয়ে গিয়েছি ঠিকই, তবে পুরভোট হলে ফলাফল উল্টে যাবে। আমরা সারাবছর মানুষের পাশে থাকি। মানুষ আমাদেরই চেনে।