কাজকর্মে প্রতিকূলতা কেটে ক্রমোন্নতি। সন্তানের আচরণে ও মতিগতি নিয়ে চিন্তা। অর্থাগম হবে। ... বিশদ
মঙ্গলবার কেএলও চিফের একটি ভিডিও বার্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ায়। যদিও এই ভিডিও’র সত্যতা যাচাই করেনি ‘বর্তমান’। ওই ভিডিও বার্তায় কেএলও প্রধানকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমি আগেই বলেছিলাম কোচবিহারে তৃণমূল জিতলে এখানকার কোচ রাজবংশীদের অন্ধকার নেমে আসবে। তাই হল। ভোট পরবর্তীতে বিজেপির নাম করে আমাদের লোকজনের ঘরবাড়ি ভেঙে দিতে শুরু করেছে তৃণমূল। এমনকী রাজবংশীদের উপর অত্যাচার শুরু হয়েছে। আমরা তৃণমূলের এই সন্ত্রাসকে নিন্দা জানাই। এর বিরুদ্ধে কামতাপুরের জনগণ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।’ তবে জীবন সিংহের বক্তব্যকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। তিনি বলেন, ‘জীবন সিংহ বিজেপির লোক। বিজেপিরই ছত্রছায়ায় রয়েছেন। মাঝেমধ্যে পৃথক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কথা বলে বিজেপির তাঁবেদারি করে। যদি কোচবিহারে সন্ত্রাস হয়েই থাকে, তাহলে তার প্রমাণ দিন।’
যদিও বিজেপির সঙ্গে কেএলও প্রধানের যোগাযোগের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ফলাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মন বলেন, ‘জীবন সিংহের সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগাযোগ নেই। কিন্তু একথা ঠিক যে, ভোট মিটতেই রাজবংশী সম্প্রদায়ের উপর সন্ত্রাস হচ্ছে। তাই জীবন সিংহ তাঁর মতো করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।’
লোকসভা ভোটের আগে কেপিপি সহ জিসিপিএ’র একটি অংশ তৃণমূলকে সমর্থন করায় ক্ষিপ্ত ছিলেন জীবন। গ্রেটার নেতা অনন্ত মহারাজের তৃণমূলের প্রতি নরম মনোভাবও মেনে নিতে পারেননি তিনি। এদিন কেএলও চিফ ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘কেপিপি ও জিসিপিএ’র মতো দলগুলি কলকাতার দালালি করে। তারা অর্থের বিনিময়ে শাসকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পৃথক রাজ্যের দাবি ভুলে গিয়েছে। অনন্ত, বংশী, অধীর, অমিত তৃণমূলের এজেন্ট।’
জিসিপিএ নেতা বংশীবদন অবশ এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, ‘জীবন সিংহ কী বলছেন, তা নিয়ে উত্তর দেওয়ার মানে হয় না।’ বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজের প্রতিক্রিয়া জানতে তাঁকে টেলিফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। উত্তর দেননি মেসেজের।