কাজকর্মে প্রতিকূলতা কেটে ক্রমোন্নতি। সন্তানের আচরণে ও মতিগতি নিয়ে চিন্তা। অর্থাগম হবে। ... বিশদ
এদিন সকালে কলকাতা থেকে শুভজিৎ মালির আত্মীয়রা মৃতদেহ নিতে আসেন। তাঁদেরই একজন খোকন বণিক বলেন, সকালে আমরা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে পৌঁছে মৃতদেহ দেখতে চাই। মৃতদেহ দেখানোর সময় দেখি, শুভজিতের একটি পা নেই। আমরা জানতে চাই, এরকম পা কাটা অবস্থাতেই মৃতদেহ এসেছিল কি না? তারপর জানানো হয়, সব মৃতদেহের সঙ্গে আলাদা করে একটি পায়ের টুকরো এসেছে। তা শনাক্ত হয়নি। সেটি আমাদের দেখানো হয়। আমাদের মনে হয় এটি শুভজিতেরই পায়ের টুকরো। তারপর সবকিছু যাচাই করে আমাদের জানানো হয়, সেই পায়ের টুকরো শুভজিৎ মালির। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের ডিন ডাঃ সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, এ ধরনের পা বা দেহাংশ শনাক্তকরণ ময়নাতদন্তের মধ্যেই পড়ে। ফরেন্সিক বিভাগ জানিয়েছে, ওই পায়ের টুকরোর চামড়ার রং এবং মৃতদেহের পায়ের চামড়ার রং, পায়ের টুকরোর কাটার ধরন এবং মৃতদেহের পায়ের কাটার ধরন সহ আরও কিছু দিক মিলিয়ে পায়ের টুকরো মৃত শুভজিৎ মালির বলে শনাক্ত করা হয়। দেহ থেকে পা ছিন্ন হওয়ার যে লক্ষণগুলি রয়েছে, সেসব মিলে যাওয়ায় তাতে স্বস্তি ফেরে সব মহলে। প্রথমে শনাক্ত না হওয়ায় পায়ের টুকরো নিয়ে পুলিসও আলাদা একটি তদন্ত শুরু করে। ময়নাতদন্তের পর এদিন বিকেলে শুভজিৎ মালির মৃতদেহ তাঁর পরিবারের লোকজন সড়ক পথে কলকাতার উদ্দেশে নিয়ে রওনা হন।