কাজকর্মে প্রতিকূলতা কেটে ক্রমোন্নতি। সন্তানের আচরণে ও মতিগতি নিয়ে চিন্তা। অর্থাগম হবে। ... বিশদ
প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, ভোটের কারণে জমি অধিগ্রহণের টাকা দেওয়ার কাজ কিছুদিন বন্ধ ছিল। এবার সেই কাজ শুরু হয়েছে।
দক্ষিণ দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক (এলআর) হারিশ রাসিদ বলেন, জমি অধিগ্রহণের টাকা অনেক জমিদাতাকে দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। ভোটের কারণে কাজ কিছুটা থমকে ছিল। জুলাইয়ের শেষের জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।
এবিষয়ে হিলির ব্যবসায়ী সঞ্জিত মজুমদার বলেন, হিলির রেলপ্রকল্প আমাদের আশার আলো। এই প্রকল্প চালু হলে ব্যবসার উন্নতি হবে। হিলিতে রেক পয়েন্ট হলে আরও সুবিধা। এলাকায় কর্মসংস্থান বাড়বে।
একটা সময় হিলির উপর দিয়েই ট্রেন চলত। স্বাধীনতার পর সেই রেল বাংলাদেশের মধ্যে পড়েছে। ফলে রেল পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হিলিবাসী। এখন ট্রেনের শব্দ শুনতে পেলেও হিলিবাসী চড়ার স্বাদ পান না। একের পর এক জটিলতা কাটিয়ে সেই কাজ ফের শুরু হয়েছে। ব্রিজ, স্টেশন তৈরির কাজ চলছে। তবে, সময় বেশি লাগছে বলে বাসিন্দাদের অসন্তোষ বাড়ছে।
হিলির ত্রিমোহিনীর বাসিন্দা সন্তু ঘোষ, অসিম বিশ্বাসরা বলেন, ১২ বছর আগে হিলি রেল প্রকল্প শুরু হলেও দীর্ঘদিন থমকে ছিল। কাজ কবে শেষ হবে, কেউ জানে না। আমরা আর ধৈর্য ধরতে পারছি না। দ্রুত ট্রেন চালু হোক, এটাই আমাদের দাবি।
বালুরঘাট ব্লকের জমিদাতা অপর্ণা দাস বলেন, জমি দিয়ে রেল যাবে বলে টাকা পাব। শুনেছিলাম ভোটের পরেই টাকা ঢুকে যাবে। তবে এখনও পাইনি।
রাজনৈতিক দলগুলিও প্রকল্প দেরি হওয়ায় প্রশ্ন তুলছে। জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি সুভাষ চাকী বলেন, জমি অধিগ্রহণের কাজ প্রায় শেষের দিকে। প্রশাসন সেই জমি রেলকে হস্তান্তর করবে। বাকিটা রেল বা কেন্দ্র বলতে পারবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত প্রকল্প কবে রেল শেষ করবে, তার উত্তর ওরাই ভালো দিতে পারবে।
বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকারের কথায়, ১২ বছরের পুরনো প্রকল্প নতুন করে রেল চালু করেছে। জমি অধিগ্রহণের কাজও চলছে। প্রশাসন রেলকে দ্রুত জমি হস্তান্তর করলে কাজ শেষ হবে।