কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ
পুরসভার বিরুদ্ধে কর্মচারীদের ক্ষোভ দীর্ঘদিনের। মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরা বিক্ষোভ আন্দোলনে নামেন। এদিন বিক্ষোভ দেখান পুরসভার পূর্ত, বিদ্যুৎ ও জল বিভাগের অস্থায়ী কর্মচারীরা। তাঁরা সকলেই আইএনটিইউসি অনুমোদিত শিলিগুড়ি পৌরকর্মচারী কংগ্রেস সংগঠনের ছত্রছায়ায় রয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে চেয়ারম্যান চেম্বারে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ঘরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন ওই কর্মচারীরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে তাঁদের আন্দোলন চলে। এরজেরে পুরসভার কমিশনার সহ অন্যান্য আধিকারিকরা কয়েকবার চেষ্টা করেও আন্দোলনকারীদের টপকে চেয়ারম্যানের ঘরে প্রবেশ করতে পারেননি। চেয়ারম্যানও ঘর থেকে বেরতে পারছিলেন না। ফলে চেয়ারম্যান কার্যত ঘেরাও হয়ে পড়েন। তিনি আন্দোলনকারীদের নিজের চেম্বারে ডেকে নিয়ে আলোচনা করে পরিস্থিতি সামাল দেন।
আইএনটিইউসি অনুমোদিত শিলিগুড়ি পৌরকর্মচারী কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সৌমেন দাস রায় বলেন, গতবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে করোনাকালে কর্মরত অস্থায়ী কর্মচারীদের উৎসাহ ভাতা প্রদানের কথা ঘোষণা করেন চেয়ারম্যান। এখনও পর্যন্ত পূর্ত, বিদ্যুৎ ও পানীয় জল বিভাগের প্রায় ৪০০ জন অস্থায়ী কর্মচারী ওই ভাতা পাননি। সেই ভাতার দাবিতেই এই আন্দোলন করা হয়।
চেয়ারম্যান বলেন, সময়মতো বিল প্রস্তুত না হওয়ায় কিছু কর্মচারী ওই ভাতা পাননি। ইতিমধ্যে ওই কর্মচারীদের বিল প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই তাঁরা ওই ভাতা পাবেন।
পুরসভার বিরুদ্ধে কর্মচারীদের ক্ষোভ নতুন কিছু নয়। বামফ্রন্ট শাসিত বিগত পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে একাধিকবার আন্দোলনে নেমেছেন অস্থায়ী কর্মচারীরা। এরপর প্রশাসক বোর্ডের বিরুদ্ধে অস্থায়ী কর্মচারীরা বহুবার গলা ফাটিয়েছেন। মাস খানেক আগে পাওনাগণ্ডার দাবিতে অস্থায়ী কর্মচারীদের একাংশ চেয়ারম্যানের কাছে ডেপুটেশন দেন। কিছুদিন আগে পুরসভার আশাকর্মীরাও পুরসভায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মধ্যে এ নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, অশোকবাবুর বিরুদ্ধে কর্মচারীদের অসন্তোষ ক্রমবর্ধমান।
পুর চেয়ারম্যান অবশ্য বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন করার রীতি আছে। কর্তৃপক্ষের কাছে আগাম চিঠি দিয়ে আন্দোলনে নামতে হয়। এর আগেও ওরা এভাবে আমার চেম্বারের পথ অবরুদ্ধ করেছিল। এবারও তাই করল। কিন্তু রাজ্যের অনেক পুরসভা কর্মচারীদের বেতন দিতে পারছে না। আমরা বহু কষ্ট করে সকলকে বেতন দিচ্ছি। এটা কর্মচারীদের বোঝা উচিত।
আইএনটিইউসি অনুমোদিত শিলিগুড়ি পৌরকর্মচারী কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বলেন, চেয়ারম্যানের কাছে বহু ডেপুটেশন দিয়েছি। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এবার তিনদিনের মধ্যে ওই কর্মচারীরা ভাতা না পেলে ২৫ জানুয়ারি পুরসভার গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাব। তৃণমূল কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলা সভাপতি (সমতল) রঞ্জন সরকার বলেন, উনি ব্যর্থ প্রশাসক। তাই ওঁর বিরুদ্ধে কর্মীদের ক্ষোভ বাড়ছে।