কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ
জানা গিয়েছে, শহরে পানীয় জল সরবরাহ ব্যবস্থাকে তিনটি জোনে ভাগ করেছে পুরাতন মালদহ পুরসভা। সেগুলির মধ্যে তৃতীয় জোনেই এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই জোনে রয়েছে সাতটি ওয়ার্ড। জানা গিয়েছে, মূলত পুরসভার পাম্প সমস্যার জন্যই বাসিন্দাদের এই ভোগান্তি। সুষ্ঠুভাবে, সময় মতো পাম্প না চালানোর ফলেই সময় মতো জল পৌঁছচ্ছে না শহরবাসীর একটা বড় অংশের কাছে। সাধারণত দিনে তিনবার পুরসভার জল পান শহরের বাসিন্দারা। সকাল ৬টায় একবার জল আসে। তারপর দুপুর ১২ টায়। পরে সন্ধ্যা ৭টায়। আধ ঘণ্টা বা তার কিছু বেশি সময় মেলে জল। এখন ওই তিন নম্বর জোনের অন্তর্ভুক্ত সাতটি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের অভিযোগ, সকালে দুপুরে বা সন্ধ্যায় কখন জল আসবে, আর কখন যাবে, তার কোনও ঠিক নেই। তাই বারবার পুরসভার জলের কলের সামনে গিয়েও ফিরে আসতে হচ্ছে। জল আসার সময় আগে থেকে জানতে না পারার ফলে অনেকেই জল সংগ্রহই করতে পারছেন না। দৈনন্দিন সাংসারিক কাজে সমস্যা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, লোলাবাগ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে জোন অনুযায়ী ভাগ করে পুরসভার ওয়াটার রিজার্ভারগুলিতে জল জমা হয়। সেখান থেকে বিভিন্ন ওয়ার্ডে দিনে তিনবার পানীয় জল সরবরাহ করার কথা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে শহরের তিন নম্বর জোনের সাতটি ওয়ার্ডে পানীয় জল অনিয়মিত সরবরাহ করা হচ্ছে। ১২, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডগুলিতে তাই সমস্যা দেখা দিয়েছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন নম্বর জোনে প্রায় চার হাজারের কাছাকাছি পানীয় জলের সংযোগ রয়েছে। এলাকা জনবহুল বলে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে জলের চাহিদা থাকে। তিন নম্বর জোনের জন্য যে ওয়াটার রিজার্ভার রয়েছে সেটি জলে পরিপূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত সেখান থেকে জল ছাড়া হয় না। এবার এই জলে পূর্ণ হওয়ার ব্যাপারটি নির্ভর করে জল পরিশোধনের উপর এবং পাম্প চালানোর উপর। পরিশুদ্ধ জলের যোগান কম থাকলে সেটি সময় মতো ভরবে না। আবার সময় মতো সুষ্ঠুভাবে পাম্প না চালালেও সেটি ভরবে না। অভিযোগ, কখনও পাম্প অপারেটররাই সময় মতো পাম্প চালাচ্ছেন না। আবার কখনও ভোল্টেজ লো থাকার ফলে পাম্প চালালেও সময় মতো রিজার্ভার ভরছে না। তাই সময় মতো জল সরবরাহ করা যাচ্ছে না।
পুরাতন মালদহ পুরসভার ক্ষমতায় যখন তৃণমূল পরিচালিত বোর্ড ছিল, সেই বোর্ডের ওয়াটার স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ছিলেন শিবশঙ্কর ভট্টাচার্য। বর্তমানে বোর্ডের মেয়াদ ফুরানোয় তিনি এখন ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কো অর্ডিনেটর। তিনি বলেন, সময়মতো পানীয় জলের পরিষেবা দিতে পারছি না, এটা ঠিক। তবে এমনটা নয় যে মানুষ জল পাচ্ছেন না।
পুরাতন মালদহ পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের অন্যতম সদস্য চন্দনা হালদার বলেন, জলের সঙ্কট হলে আমরা আগাম বাসিন্দাদের জানিয়ে দিই। প্রয়োজনে বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়। জল সরবরাহের সময় নিয়ে বাসিন্দাদের কোনও অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখা হবে।
শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সরোজ মণ্ডল বলেন, বেশির ভাগ দিনই কখন যে জল দেওয়া হচ্ছে আমরা জানতেই পারছি না। নির্ধারিত সময় মতো দিলে তবেই তো বাসিন্দারা জল সংগ্রহ করতে পারবেন।
মঙ্গলবাড়ির ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা গৃহবধূ অঞ্জনা চৌধুরী বলেন, পুরসভা সুষ্ঠুভাবে পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনও তারা কথা রাখতেই পারল না। আমরা সময় মতো জল চাই।