কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ
সামনেই বিধানসভা ভোট। তাই এখন থেকে এই কেন্দ্রে লাগাতার রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করে পার্থবাবু ময়দানে নামছেন। এই কেন্দ্রে নিয়ম করে বুথে বুথে কর্মিসভা, জনসংযোগ কর্মসূচি, পথসভা করছেন। আর তাঁর এই উদ্যোগ দেখে রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে, পার্থপ্রতিম রায় নিজেই কি কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হবেন। যদিও এ বিষয়ে পার্থবাবু নিজে এখনই কিছু বলতে রাজি হননি। তবে এই কেন্দ্রকে ‘প্রেস্টিজ ফাইট’ বা চ্যালেঞ্জ হিসেবে ধরে নিয়ে তিনি এখন থেকেই যে এখানে বিশেষ নজর দিচ্ছেন তা একপ্রকার স্পষ্ট।
পার্থবাবু বলেন, দল আমাকে যেখানে দাঁড় করাবে আমি সেখানে দাঁড়াব। তবে কোচবিহার উত্তর ও কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে আমাদের কোনও বিধায়ক নেই। তাই জেলা সভাপতি হিসেবে আমি এই দুই জায়গাতেই বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি। দলও আমাকে সেই নির্দেশ দিয়েছে। আমি সেভাবেই কাজ করছি।
গত বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহার জেলার ন’টি আসনের আটটিতেই তৃণমূল জয়ী হয়েছিল। হাতছাড়া হওয়া কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রটি দখল করেছিল বামেরা। বাকি আটটি বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল বিধায়করা ছিলেন। দল তাঁদের মাধ্যমে রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করত। এখন দলের ব্লক সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হচ্ছে। এসবের মধ্যেই ব্লক সভাপতি নির্বাচন নিয়ে দলের সঙ্গে মতভেদ হওয়ায় কিছুদিন আগেই কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক মিহিরবাবু দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। তারপর তিনি দল ছেড়ে বিজেপিতে চলে যান। ফলে এই কেন্দ্রটিতে বর্তমানে তৃণমূলের বিধায়ক নেই। পার্থবাবু সভাপতি হওয়ার পরেই যেহেতু এই ঘটনা ঘটেছে, তাই স্বাভাবিকভাবেই তাঁর কাছে এই কেন্দ্র থেকে দলের প্রার্থীকে জিতিয়ে আনার একটা দায়ভার বর্তায়। রাজনৈতিক মহলের একাংশের জল্পনা, তিনি নিজেও এই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হতে পারেন। আর সেই লক্ষ্যেই তিনি এত আগে থেকে এই কেন্দ্রে লাগাতার জনসংযোগে নেমে পড়েছেন। পার্থবাবু গত কয়েকদিন কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করেছেন। এবার কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় দু’টি করে বুথের কর্মীদের নিয়ে তিনি বৈঠক শুরু করছেন। এরআগে তিনি এই বিধানসভা কেন্দ্রের ঘুঘুমারি ও ফলিমারি কেন্দ্রে এমন কর্মসূচি করেছেন। সোমবার হাড়িভাঙা ও মঙ্গলবার তিনি পুঁটিমারি-ফুলেশ্বরীতে দলীয় কর্মসূচি করেন। এই কেন্দ্রের বাকি এলাকাগুলিতেও একটানা তিনি বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। সবক্ষেত্রেই বিকেলের দিকে তিনি একটি করে পথসভা করছেন। সেখানে রাজ্যের উন্নয়ন তুলে ধরে বিজেপির সমালোচনা করছেন পার্থ।