ওয়াশিংটন: ‘হোয়াইট হাউসে আমার ও ডোনাল্ডের সময় এবার হয়ে এসেছে। তবে যতদিন এখানে কাটিয়েছি এবং যে যে মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে, তাঁদের ভালোবাসা আমাদের হৃদয়ে থাকবে।’ ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথ নেওয়ার ঠিক আগের দিন এভাবেই আবেগপূর্ণ ফেয়ারওয়েল মেসেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন বিদায়ী ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। জানা গিয়েছে, ভাবী ফার্স্ট লেডি ডাঃ জিল বাইডেনের সঙ্গে তিনি প্রথামাফিক চা-চক্রেও যাননি। স্বভাবতই হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাওয়ার শোকে যে মেলানিয়া বিহ্বল হয়ে পড়েছেন, এমনই মনে করছেন সমালোচকদের একাংশ। মেলানিয়ার বার্তায় যতই আবেগ থাকুক না কেন, এই মেসেজের উত্তরে নেটিজেনরা তাঁকে কটাক্ষে ভরিয়ে দিয়েছেন। এটা স্পষ্ট যে, ট্রাম্প দম্পতি হোয়াইট হাউস থেকে বিদায় নেওয়ায় বেশিরভাগ দেশবাসীই খুশি। এক ইউজার ক্ষোভ উগড়ে লেখেন, ‘যাক, অবশেষে অত্যন্ত শিক্ষিত, যোগ্য এবং সম্মানীয় ফার্স্ট লেডি আমরা পেতে চলেছি। এটা যেকোনও ছোট বাচ্চাও স্বীকার করবে। কারণ ধনী বৃদ্ধকে বিয়ে করে শুধুমাত্র নানারকম পোজে ফটো পোস্ট করাটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।’ অন্য এক ইউজার মেলানিয়ার ফেয়ারওয়েল বার্তার প্রেক্ষিতে বলেন, ‘আমাদের একদমই কিছু যায় আসে না।’ কেউ কেউ তো আবার ট্রাম্প-মেলানিয়ার বিবাহবিচ্ছেদের প্রসঙ্গ উস্কে বলেন, ‘কতজন বাজি ধরবেন যে, আগামী এক বছরের মধ্যে মেলানিয়া নিশ্চিত বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করবেন।’
এদিকে চলতি সপ্তাহেই হোয়াইট হাউস থেকে বিদায় নিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি আগেই জানিয়েছেন উত্তরসূরি বাইডেনের শপথে তিনি থাকবেন না। তবে একেবারে শেষ মুহূর্তে ‘ডন’ ডোনাল্ড মত পরিবর্তন করতেও পারেন। তবে এই পাঁচ বছর তিনি যা কাজ করেছেন, তাতে আমেরিকাবাসী খুব একটা খুশি নন। আর দিন কয়েক আগে ক্যাপিটল হিলের ঘটনা নিয়ে গোটা দেশবাসীই বিদায়ী প্রেসিডেন্টের উপর ক্ষেপে গিয়েছেন। বেসরকারি এক সংস্থার সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ট্রাম্পের কাজকে মাত্র ৩৪ শতাংশ মানুষ সমর্থন করেছেন। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, ট্রাম্পের শাসনকালকে বেশিরভাগ দেশবাসীই অপছন্দ করেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলই তা আরও স্পষ্ট করেছে। তবে সেই ফলাফলকে বার বার চ্যালেঞ্জ করে ট্রাম্প মানুষের নজরে আরও নেমে গিয়েছেন। আর শেষমেশ ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গা বাঁধানোর ঘটনা ট্রাম্পের জনপ্রিয়তাকে একেবারে তলানিতে নিয়ে গিয়েছে। সেকারণেই মানুষ এখনও ক্ষুব্ধ। তারই বহিঃপ্রকাশ হয়েছে মেলানিয়ার ফেয়ারওয়েল মেসেজের উত্তরে। নেটিজেনরা কার্যত ট্রাম্প দম্পতিকে তুলোধোনা করেছেন।