Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভোটকে কলুষিত করলে
উচিত শিক্ষা দিতে হবে
হিমাংশু সিংহ

গত সপ্তাহে লিখেছিলাম আদি আর নব্য বিজেপির মধ্যে জোর নরকগুলজার চলছে। কিন্তু যে কথাটা বলা হয়নি তা হচ্ছে, এই ভোটে তৃণমূলের আসল শত্রু বিজেপি নয়। দিলীপ ঘোষরা এখনও কয়েকটি হাতে গোনা জেলা ছাড়া একক ক্ষমতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ দেওয়ার মতো অবস্থাতেই নেই। যেটুকু লড়াই হচ্ছে তা তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ অংশের সঙ্গে। সোজা কথায়, যাদের বিশ্বাসঘাতক ‘দলবদলু’ বলা হচ্ছে। তৃণমূল ভাঙতে দশ মণ তেল পুড়িয়ে বিজেপি এখন বুঝতে পারছে শুধু অবিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে বাংলা দখল প্রায় অসম্ভব! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুর্বল করা যাচ্ছে না। তাঁর ব্যক্তিগত ক্যারিশমা এই নির্বাচনেও নবান্নের ১৪ তলা দখলের পক্ষে যথেষ্ট।  সেই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকারকে কাজে লাগিয়েও ক্ষমতা দখলের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছে না বিজেপি নেতৃত্ব। গেরুয়া নেতাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ থেকেই পরিষ্কার ক্ষমতা দখল দূরে থাক, কাছাকাছি আসার ব্যাপারেও এখনও দিলীপ ঘোষরা খুব একটা আত্মবিশ্বাসী নন। আপাতত তাঁদের লক্ষ্য তাই একশো আসন পেরনো এবং ভোট কৌশলী পিকে-কে মিথ্যা প্রমাণ করা। 
তবে সেক্ষেত্রেও যাবতীয় হিসেব দাঁড়িয়ে আছে দু’টি অলীক ফ্যাক্টরের উপর। তৃণমূলে ক্রমাগত আরও বড় ভাঙন ধরানো, যা ভোটের দিন ঘোষণার পরও চলবে। আর ‘আমরাই এবার আসছি’, এই কথাটা বারবার প্রচার করে সিপিএমের হতাশ নিচুতলার সমর্থন টেনে আনা। কারণ ওই দু’টি ফ্যাক্টর বাদ দিলে এখনও এরাজ্যে বিজেপির নিজস্ব সংগঠনের জোর মোটেও উৎসাহব্যঞ্জক নয়। গত কয়েক মাসে সঙ্ঘ পরিবারের নীতি ও আদর্শহীন একতরফা দখলদারির রাজনীতি দেখে বাংলার মানুষ যদি ফের সিপিএমকে একটু বেশি আশীর্বাদ করে তাহলেই গেরুয়া পার্টির ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন মাঠে মারা যাবে। এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে নিশ্চিতভাবেই এই ভোটে সিপিএমের হারানো ভোট বেশ কিছুটা ফিরবে। এবং তা হলেই গেরুয়া শক্তির যাবতীয় কৌশলও ব্যর্থ হবে। পাশাপাশি, দুর্নীতিকে খতম করতে ফুল, মালা, চন্দনে সেই দুর্নীতির কাণ্ডারীদেরই দলে আবাহন, আর যাই হোক সুস্থ রাজনীতি হতে পারে না। এই ধ্রুব সত্যটাকে বাংলার মানুষ হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করতে শুরু করেছে। এই একটা ফ্যাক্টরই কঠিন সময়ে শেষ দৌড়ে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।
তৃণমূল ভেঙে অনেক আশা জাগিয়ে যেসব দলবদলুরা স্রোতের মতো গেরুয়া শিবিরে যোগ দিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষমতা নিয়েও সম্প্রতি একটু যেন সন্দিহান দেখাচ্ছে দিলীপ ঘোষদের। খোদ ভূমিপুত্রের খাসতালুক নন্দীগ্রামে গত ৮ জানুয়ারি সভা ঘিরে যে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি হয়েছে, তারপরই ওই আশঙ্কা যথেষ্ট বেড়েছে। সভা ডেকে দলেরই একাংশের হাতে বেইজ্জত হওয়ার এমন ঘটনা মেনে নেওয়া বিজেপির মতো একটা সর্বভারতীয় দলের পক্ষে সহজ নয়। গেরুয়া শিবিরের ভিতরের হিসেবই বলছে, খুব বেশি হলে ৩৫টি আসনে ভূমিপুত্রের অল্পবিস্তর প্রভাব আছে। তার বেশি নয়। তাই অযথা লাফালাফির কোনও মানে হয় না। অনেক দরদস্তুরের পরও তাই দল ভেঙে আসা কোনও নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার পাকা কথা দেননি অমিত শাহরা। দেওয়ার কথাও নয়। বাকি যাঁরা যোগ দিচ্ছেন তাঁদের নিজের আসন টিকিয়ে রাখার ক্ষমতা আছে কি না, তা নিয়েই যথেষ্ট সন্দেহ আছে। ভবিষ্যতে তাঁরা দলের কাছে সম্পদ হবেন, না অভিশাপ হয়ে দেখা দেবেন, তা সময়ই বলবে।
নির্বাচন যেহেতু একইসঙ্গে বিরাট মনস্তত্ত্বেরও খেলা, তাই অমিত শাহরা দলের কর্মীদের উৎসাহিত করতে মুখে বলছেন, এবার ২০০ আসন তাঁরা জিতবেই। তাঁরা জানেন, এই প্রচারে বিরোধী শিবিরে শঙ্কা বাড়ে, শত্রু দলের কর্মীরা হতাশ হয়। কিন্তু বাস্তবে কোনও অঙ্কেই তা হওয়ার নয়। উল্টে কোথায় যেন নৈতিকভাবে ভোটের আগেই হার হয়ে যাচ্ছে দিলীপবাবুদের। নিজেরাই নিজেদের প্রশ্ন করছেন, এভাবে শত্রু দল ভেঙে গেরুয়া সংসারে ঘটা করে কুমির ডেকে আনার পরিণাম ভালো হবে তো! এই ভোটে বাংলার উন্নয়ন নয়, কর্মসংস্থান নয়, শিল্প গড়ার স্বপ্ন দেখানো নয়, ভ্রষ্টাচারের বিরুদ্ধে লড়াইকেই প্রধান অস্ত্র করেছে বিজেপি। অথচ সংগঠন বাড়াতে সেই দুর্নীতির সঙ্গেই খোলাখুলি আপস করতে হচ্ছে। নিজেদের সুবিধাবাদী রাজনীতির প্রয়োজনে বারেবারে এই গোলপোস্ট বদলে দেওয়ার রাজনীতি কখনও নৈতিকভাবে জয়ী হতে পারে না। ঘনিষ্ঠ মহলে গেরুয়া দলেরই অনেকে স্বীকার করছেন, এত কুৎসা আর অভিযোগ সত্ত্বেও এখনও জননেত্রীর ভাবমূর্তির বিন্দুমাত্র ক্ষতি করা যায়নি। উন্নয়নের জোরে তিনি বাংলার ঘরে ঘরে এখনও অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য। তাঁর স্বাস্থ্যসাথী থেকে কন্যাশ্রী গোটা দেশে অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তাই এবারেও রাজ্যের ২৯৪ আসনে তিনিই প্রার্থী। তাঁর চেয়ে যোগ্যতর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার মুখ পশ্চিমবঙ্গে নেই। আর যাঁরা আছেন তাঁরা কেউ মেদিনীপুরের, কেউ খড়্গপুরের নেতা। কিন্তু গোটা বাংলার গরিব নিপীড়িত মানুষের হৃদস্পন্দন এখনও রাজ্যের একজনের সঙ্গেই একতারে বাঁধা। সেই যোগ ছিন্ন করার মতো শক্তিশালী মুখ বিজেপিতে কোথায়? ক্ষমতা দখলের নেশায় দল ভেঙে যে বিষবৃক্ষ বঙ্গ বিজেপি বপন করছে তার দায় তাদেরই নিতে হবে! তৃণমূল ছেড়ে আসা  দলবদলুদের সবাইকে টিকিট নয়, বলে সেই অধ্যায়েরই সূচনা করেছেন দিলীপবাবু। এখন দেখার এই একটা ঘোষণায় ক’টি জেলা রক্তাক্ত হয়! আর কে কে টিকিট না পেয়ে পুরনো জায়গায় ফিরতে বাধ্য হন।
এটা ঠিক গত কয়েক বছরে বিজেপির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বাংলায় লাফিয়ে বেড়েছে। একই দিনে রাজ্যে একাধিক রোড শো, জেলায় জেলায় সভা, একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নিত্য আসা-যাওয়া, তিন চার বছর আগেও অত্যন্ত দূর কল্পনা ছিল। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই দল ক্রমেই প্রধান বিরোধী হয়ে ওঠার দৌড়ে শামিল হয়েছে। এবং বলাই বাহুল্য, সিপিএম সহ বাম নেতৃত্ব ও তার দোসর কংগ্রেসের ভোট কেটে ক্রমেই এগিয়েছে। বাম ও কংগ্রেসের ভোট বিগত লোকসভায় কোন জাদুতে প্রায় পুরোটাই বিপরীত মেরুর বিজেপিতে পড়েছে, তার কোনও ব্যাখ্যা আজও মেলেনি। ভোট রাজনীতি পাটিগণিত নয়, চলে রসায়নের নিয়মে। সেখানে নদীর পাড় ভাঙাগড়ার তত্ত্ব খাটে না। সেখানে  দু’য়ে দু’য়ে সব সময় চারও হয় না। মাঝেমাঝে অজানা কারণে যোগফল শূন্যও হয়। গত বিধানসভা ভোটের কথা একবার মনে করুন। সেবার জোট করেও বামেদের ভোটব্যাঙ্কের রক্তক্ষরণ বন্ধ করা যায়নি। আবার দু’বছর আগের লোকসভা নির্বাচনে বামেরা কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। সেই শূন্যস্থান দখল করেই বিজেপির ভোট এরাজ্যে অবিশ্বাস্য ৪০ শতাংশ পেরতে সক্ষম হয়েছে। ১৮টি আসন জিতে দিলীপবাবুরা তাক লাগিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন। তৃণমূলের সঙ্গে ভোটের ফারাক মাত্র ৩ শতাংশের কিছু বেশি। যদিও লোকসভা আর বিধানসভা ভোটের প্রেক্ষিত সম্পূর্ণ আলাদা। তবু একবার রক্তের স্বাদ পাওয়া গেরুয়া শক্তি তাই সেই থেকেই বাংলা দখলে মরিয়া। 
বিজেপি জানে, রাতারাতি পুরনো সিপিএম কিংবা তৃণমূলের মতো সংগঠন গড়ে তোলা অসম্ভব। তাই তৈরি জিনিস দখল করো। অনেকটা পরের তৈরি কারখানা কিনে নিয়ে রাতারাতি উৎপাদন শুরু করার মতো। সেই তাগিদ থেকেই এবার রাজ্যের ভোট কার্যত তৃণমূল বনাম তৃণমূলত্যাগীদের লড়াইয়ে পরিণত হচ্ছে। সংগঠন নেই, লোক নেই, নেতা নেই, এমনকী অফিসওই নেই এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও আসন জেতার স্বপ্ন দেখছে শুধু ভাঙন ধরানোর কৌশলে। ভোটের দিন এখনও ঘোষণা হল না, কোথায় কে প্রার্থী হবেন তার ঠিক নেই। কে শেষ পর্যন্ত কোথায় থাকবেন, তাও অমীমাংসিত। ক’দফায় ভোট, কবে শুরু তার ঠিকঠিকানাও নেই। কিন্তু রোজ পরিবেশ গরম হচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব বিধিকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে মাস্ক ছাড়াই পাড়ার মোড়ে মোড়ে সভা। দূর পর্যন্ত মাইকের চোং। কদর্য পারস্পরিক আক্রমণে কান ঝালাপালা। এ ওকে চোর বলছে। অমনি যাকে চোর বলা সে তিনটে ছবি দেখিয়ে বলছে, দেখুন ও তো আরও বড় ডাকাতের সঙ্গে বসে আছে, তার বেলা! পাল্টা ছুটে আসছে বেইমান, বিশ্বাসঘাতক, গদ্দার বিশেষণ। রাজনৈতিক আক্রমণ পর্যবসিত হচ্ছে স্রেফ ব্যক্তিগত কাদা ছোঁড়াছুঁড়িতে। সেই সঙ্গে মওকা বুঝে উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ করার আদিম হিংস্রতা। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি পেয়েছে যে পরিবারটি সেই পরিবারের সুসন্তানই বঞ্চনা আর দুর্নীতির কথা বলে দল ছেড়েছেন। বলছেন, উম-পুনের টাকা লুট হয়েছে। অথচ তাঁদেরই পরিবার নিয়ন্ত্রিত পুরসভা এলাকায় তাঁর অঙ্গুলিহেলন ছাড়া কারা চাল ত্রিপল নিয়ে পালাল, তা বলছেন না। উল্টে অভয় দিচ্ছেন, ভোটের দিন ঘোষণা হলে বলব। আপনার পিছনে যদি এতই জনসমর্থনের ঢেউ, তাহলে এখনও ভয়টা কীসের?
পরিস্থিতি এমন যে কাউকে বিশ্বাস করাই এখন দায়। বিশ্বাস, অবিশ্বাস আর বিভ্রান্তির ত্র্যহস্পর্শ থেকে বঙ্গ রাজনীতিতে আজ বেরিয়ে আসছে একটাই ধ্রুবপদ, আখের গোছাও। বহিরাগত বিত্তশালী দলের নেতাদের এই আগুন নিয়ে খেলায় তো মানুষের পেট ভরে না। দল ভাঙার মধ্যে চমক থাকলেও মানুষের মন জেতার জাদু নেই। এটা ঠিক, কোনও নেতা এদিক ওদিক করলে তাঁর সঙ্গে কিছু অনুগামীও রংবদল করে। কিন্তু তাতে মানুষের কী যায় আসে? সবাই নিজের নিজের স্বার্থ আর এজেন্ডার কথা ভাবছে। কেউ কি রাজ্যটার কথা ভাবছে? রাজ্যের উন্নয়ন, রাজ্যের মানুষের অগ্রগতি সবই কথার কথা। তাই সাধারণ মানুষেরও উচিত, এই ভোটে বেছে বেছে বিশ্বাসঘাতকদের শিক্ষা দেওয়ার শপথ নেওয়া। ভোটবাক্সে মধুর বদলা নেওয়া। একটা পতাকার জোরে দশ বছরে সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে তারপর উল্টো দলে ঝাঁপ মারা, তাহলেই চিরতরে বন্ধ হবে। ভোটটা টাকা কামানোর উৎসব নয়, গণতন্ত্রের উৎসব, এই শিক্ষা একমাত্র দিতে পারেন সাধারণ মানুষই।
17th  January, 2021
নবান্ন দখলের ভোট
ও প্রেশার পলিটিক্স
হারাধন চৌধুরী

বিজেপি নেতৃত্ব ভাবছে, নাটক আর প্রেশার পলিটিক্স দিয়েই হাঁড়ির হাল মেরামত করে ফেলবে। কিন্তু মাস্টার স্ট্রোকের পলিটিক্সে আজও যিনি অদ্বিতীয় সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বুঝিয়ে দিয়েছেন, নন্দীগ্রাম ভাঙিয়ে একটি পরিবারের রাজনীতিকে আর একপাও এগতে দেবেন না তিনি। বিশদ

তৃণমূল বনাম তৃণমূল (বি)
শান্তনু দত্তগুপ্ত

হতে পারে বাংলার ভোট প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্ব কায়েমের অ্যাসিড টেস্ট। কিন্তু একুশ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও প্রেস্টিজ ফাইট! দাঁড়িপাল্লার একদিকে কেন্দ্র, আর অন্যদিকে মমতার সরকারকে রাখলে উন্নয়ন এবং বেনিফিশিয়ারির নিরিখেই বিজেপি অনেক নীচে নেমে যাবে। বিশদ

19th  January, 2021
বাজেটের আগে অর্থমন্ত্রী
আরও বিভ্রান্ত করলেন
পি চিদম্বরম

যে-দেশে আমরা আজ বাস করছি সেটা দিনে দিনে অচেনা এবং বিস্ময়কর হয়ে যাচ্ছে। এটা খুব অবাক ব্যাপার নয় কি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত একটা সরকার তার পুরনো গোঁ ধরেই বসে থাকবে, বিশেষ করে দিল্লির ভয়ানক শীতের মধ্যেও কৃষকদের প্রতিবাদ আন্দোলন যখন ৫৬ দিনে পা দিয়েছে? বিশদ

18th  January, 2021
ভোটের আগে ‘গাজর’ ঝোলানো
বিজেপির ট্র্যাডিশন
তন্ময় মল্লিক

ভোটের মুখে ‘গাজর’ ঝোলানোটা বিজেপির ট্র্যাডিশন। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের জমা ‘বেআইনি অর্থ’ ফিরিয়ে এনে প্রত্যেককে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল বিজেপি। ‘গাজর’ ঝোলানোর সেই শুরু। এবার সোনার বাংলা ও কৃষি সম্মান নিধির ‘গাজর’। বিশদ

16th  January, 2021
ক’দিনের জন্য বাঙালি হওয়া যায় না
মৃণালকান্তি দাস

মাস কয়েকের জন্য রবীন্দ্রনাথ, রামমোহন, শ্রীচৈতন্য... বাংলার মনীষীরাই হয়ে উঠছেন গেরুয়া বাহিনীর প্রচারের অনুঘটক। এটা স্পষ্ট, ‘বহিরাগত’ তকমা ঘোচাতে বিজেপিকে নিরুপায় হয়েই বাংলার মনীষীদের আশ্রয় খুঁজতে হচ্ছে। বাংলার মনীষীরা কোন দলে, ভোট-হাওয়ায় সেই ধন্দ উস্কে দিতে চাইছে বিজেপি। বিশদ

15th  January, 2021
বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষা দেশের
জন্যও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ
জিষ্ণু বসু

বাঙালি ভারতের নবজাগরণের কাণ্ডারীর ভূমিকা পালন করেছে। জীবন্ত জাগ্রত ভারতাত্মার পূজাবেদি ছিল বাংলা। ১৮৮২ সালে ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র লিখলেন আনন্দমঠ উপন্যাস। বাঁধা হল ‘বন্দেমাতরম’ গান। দেশমাতৃকাকে দশপ্রহরণধারিণী দেবী দুর্গার সঙ্গে তুলনা করলেন সাহিত্যসম্রাট। বিশদ

14th  January, 2021
এই রাজ্যে মেয়েদের
ভোট ভাগ করা যাবে না
সন্দীপন বিশ্বাস

বিজেপি জানে, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা দখল করতে না পারলে তাদের সিএএ-এনআরসি সব ব্যর্থ হয়ে যাবে। সারা দেশে একজন ব্যক্তিত্বই তাঁদের সব ভুলভাল কাজকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে লড়াই জারি রাখতে পারেন। তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির কাছে মমতা নামটাই জুজুর মতো। বিশদ

13th  January, 2021
বিজেপির প্রচারে স্বামীজি
আছেন, কিন্তু অনুসরণে...?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

স্বামীজি বলতেন, ‘এমন ধর্ম চাই, যার মূল মন্ত্র হবে মানবপ্রেম। এমন ধর্ম চাই, যা মানুষকে, বিশেষ করে অবহেলিত, পদদলিত মানুষকে প্রত্যক্ষ মানুষ বলে প্রচার করবে। খালি পেটে ধর্ম হয় না। ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে ধর্ম বা ঈশ্বর অর্থহীন।’ নাঃ... যে পরিব্রাজক এমন কথা বলতে পারেন, তাঁকে বিজেপি অন্তত অনুসরণ করে না। বিশদ

12th  January, 2021
বিবেকানন্দের স্বপ্নের
বাংলা আবার গঠিত হবে
জগৎপ্রকাশ নাড্ডা

এক নতুন ভারতবর্ষের স্বপ্ন দেখেছিলেন স্বামীজি, যেখানে দারিদ্র্যের মোচন এবং চেতনার উন্মেষ ঘটবে। এই কাজে প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ যুবশক্তি। বিশদ

12th  January, 2021
মহামারী, ভ্যাকসিন
এবং বিতর্ক
পি চিদম্বরম

মহামারী বিদায় নিচ্ছে বলে মনে হয়, তবে এখনও বিদায় হয়নি। ভ্যাকসিন আসছে বলে মনে হয়, তবে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছয়নি। কিন্তু একটা জিনিস বরাবর একজায়গায় রয়ে গিয়েছে, সেটা হল বিতর্ক! বিশদ

11th  January, 2021
আদি বনাম নব্য, বিজেপিতে
নরকগুলজার সপ্তমে
হিমাংশু সিংহ

শেষে হাটে হাঁড়িটা ভাঙলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষই। দলে স্বার্থপর দলবদলুদের দাপাদাপি দেখে আর স্থির থাকতে পারলেন না। বলেই বসলেন, একদিন যাঁরা নন্দীগ্রামে বিজেপিকে ঢুকতে বাধা দিয়েছিলেন, তাঁরাই আজ নতমস্তকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। আলিঙ্গন করছেন। একেবারে হক কথা। বিশদ

10th  January, 2021
রাজনীতিবিদদের ‘সৌজন্যে’ই
করোনার নয়া স্ট্রেইনে পঙ্গু ব্রিটেন
রূপাঞ্জনা দত্ত

বি.১.১.৭। কোভিডের নয়া অবতার বা বিলিতি স্ট্রেইনের পোশাকি নাম এটাই। চীনের উহান থেকে সার্স-কোভ-২ ছড়িয়ে পড়ার পর যতটা আতঙ্ক ছড়িয়েছিল বিশ্বজুড়ে, সেই দিনগুলিই ফিরিয়ে এনেছে ভাইরাসের এই নয়া রূপ। ‘ভাইরাস আন্ডার ইনভেস্টিগেশন’ থেকে ‘ভাইরাস অব কনসার্ন’ হতে এর খুব বেশিদিন সময় লাগেনি। বিশদ

10th  January, 2021
একনজরে
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দ্বিতীয়বার টেস্ট সিরিজ জয়ের পর ভারতীয় দলকে কুর্নিশ জানালেন প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রিকেটাররা। ...

সংসদ ভবনের ক্যান্টিনে ভর্তুকিতে খাওয়ার দিন ফুরতে চলেছে। দামি হচ্ছে ওই ক্যান্টিনের খাবার। মোটামুটি বাজার দরেই তা কিনে খেতে হবে সাংসদদের। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছেন লোকসভার ...

একাকী বৃদ্ধা শুয়ে হাসপাতালে। চিকিৎসা খরচ কীভাবে মেটাবেন, তা ভেবেই ঘুম উড়েছিল তাঁর। সাহায্যে এগিয়ে এল মহেশতলা পুরসভা। জেলার স্বাস্থ্যসাথী সেলে ফোন করার একদিনের মাথায় ...

বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে আর হারাতে নারাজ একসময়ের বামদুর্গ বর্ধমান উত্তর বিধানসভার বঞ্চিত মানুষজন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮১৭: হিন্দু কলেজের (বর্তমান প্রেসিডেন্সি কলেজ) যাত্রা শুরু
১৮৯২ - আমেরিকার স্প্রিং ফিল্ডে প্রথম বাস্কেটবল খেলা হয়
১৯৩৪ - আলোকচিত্র এবং ইলেকট্রনিকস্ কোম্পানী হিসেবে ফুজিফিল্ম কোম্পানীর যাত্রা শুরু
১৯৭২: নতুন রাজ্য হল অরুণাচল প্রদেশ ও মেঘালয়
১৯৮৪ - বিশ্বের সেরা সাঁতারু ও টারজান চরিত্রাভিনেতা জনি ওয়েসমুলারের মৃত্যু
১৯৯৩: মার্কিন অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্নের মৃত্যু
১৯৯৫ - তাজমহলকে পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষাকল্পে ৮৪ টি শিল্প কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৩৬ টাকা ৭৪.০৭ টাকা
পাউন্ড ৯৭.৯০ টাকা ১০১.৩৩ টাকা
ইউরো ৮৬.৯৮ টাকা ৯০.১৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৯,৮২০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,২৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৬,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৬,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ মাঘ ১৪২৭, বুধবার, ২০ জানুয়ারি ২০২১, সপ্তমী ১৭/১২ দিবা ১/১৬। রেবতী নক্ষত্র ১৫/৩৪ দিবা ১২/৩৬। সূর্যোদয় ৬/২২/৫১, সূর্যাস্ত ৫/১২/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১০/০ গতে ১১/২৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২ গতে ৪/২৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫ গতে ৮/৪৩ মধ্যে পুনঃ ২/০ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৩৬ গতে ৩/২ মধ্যে। রাত্রি ৮/৪৩ গতে ১০/২৯ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫ গতে ১০/২৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ১/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৬ গতে ৪/৪৪ মধ্যে। 
৬ মাঘ ১৪২৭, বুধবার, ২০ জানুয়ারি ২০২১, সপ্তমী দিবা ১/৪০। রেবতী নক্ষত্র দিবা ১/৩০। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/১১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/০ গতে ১১/২৯ মধ্যে ও ৩/১০ গতে ৪/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৫ গতে ৮/৫০ মধ্যে ও ২/০ গতে ৬/২৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৫০ গতে ১০/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৯/৭ গতে ১০/২৮ মধ্যে ও ১১/৪৯ গতে ১/৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৭ গতে ৪/৪৭ মধ্যে। 
৬ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শপথ নিলেন বাইডেন ও কমলা
 

৪৬ তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন জো বাইডেন। পাশাপাশি ...বিশদ

10:29:36 PM

সব ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন শ্রীলঙ্কান পেসার লাসিথ মালিঙ্গা 

10:22:12 PM

বাস মালিক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক রাজ্যের
আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বাস মালিক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক রাজ্যের ...বিশদ

04:11:18 PM

আজ মালদিভে পৌঁছলো ভারত সরকার প্রদত্ত করোনার ভ্যাকসিন

03:55:00 PM

আজ ভুটানে পৌঁছলো ভারতের প্রদত্ত করোনার ভ্যাকসিন

03:52:00 PM

বিজেপি-তে যোগ দিতে শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য আজ দিল্লিতে

03:44:10 PM