কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ
রাজ্যে ২০১১ সালে বাম শাসনের অবসান ঘটলেও ২০১৬ সাল পর্যন্ত বর্ধমান উত্তর বিধানসভা নিজেদের দখলে রাখে সিপিএম। এরপর ২০১৬ সাল থেকে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। ক্ষেতিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা প্রবীর দাস বলেন, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর গ্রামে ঢালাই রাস্তা হয়েছে। নিজের নামে বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছি। ব্লক অফিস থেকে চাষের যন্ত্রপাতি পেয়েছি। মেয়ে কন্যাশ্রীর টাকা পাচ্ছে। এ সব তো আগে পাওয়া যেত না। তাহলে কেন তৃণমূলকে খারাপ বলব?
স্বনির্ভর দলের সদস্য বড়শুলের রুমা রায় বলেন, সমিতি মাধ্যমে লোন পেয়েছি। নানা সময়ে মুরগির বাচ্চা, ছাগল দেওয়া হচ্ছে। ছেলে সবুজ সাথীর সাইকেল পেয়েছে। শৌচালয় করে দিয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে বাড়ি তৈরির জন্য টাকা ঢুকবে। আগে তো এসব পেতাম না।
বর্ধমান উত্তর বিধানসভার দুই ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রতিটি গ্রামে বাড়ি বাড়ি শৌচালয় করেছে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী ঢালাই রাস্তা, বাড়ি বাড়ি বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। চাষের কাজে নানাভাবে সহায়তা করা হচ্ছে। লকডাউনেও আইসিডিএস ভবন নির্মাণ থেকে শুরু করে প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়গুলির ভবন বাড়ানো হয়েছে। এলাকার বেশ কয়েকটি কবরস্থান ও স্কুলের পাঁচিল নির্মাণ করা হয়েছে। তবে, বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা ও আবাস যোজনায় কিছু সমস্যা রয়েছে।
এলাকার বর্তমান বিধায়ক নিশীথ মালিক বলেন, বিধায়ক তহবিলের টাকায় হাটগোবিন্দপুর কলেজে আট লক্ষ টাকা ব্যয়ে শৌচালয় নির্মাণ করা হয়েছে। নতুন সাতটি শ্মশান তৈরি করা হয়েছে। নবস্থা, মির্জাপুর, বৈকণ্ঠপুরে কমিউনিটি হল নির্মাণের কাজ চলছে। বহু জায়গায় বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলার উন্নতি ঘটাতে দেওয়ানদিঘি ও শক্তিগড় ফাঁড়িকে থানায় উন্নীতকরণ করা হয়েছে। শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হরিনারায়ণপুরে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।
যদিও ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বর্ধমান উত্তরের বিজেপি প্রার্থী প্রশান্ত সাহার অভিযোগ, গত পাঁচ এলাকার কোনও উন্নয়ন হয়নি। বহু কাজে অনিয়ম হয়েছে। ভোটের পরে বিধায়ককে এলাকায় সাধারণ মানুষ দেখতে পাননি। এলাকার মহিলারা ওঁকে ঝাঁটা নিয়ে তাড়া করছেন।
যদিও গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভোট বৃদ্ধি নিয়ে তিনি বলেন, লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের ধরন আলাদা। এখন মানুষ তৃণমূলের কাছ থেকে নিস্তার চাইছেন।
পাল্টা জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, এখানে রাজ্য সরকারের জনমুখী প্রকল্পগুলি মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে। অনাময় ও বর্ধমান সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা পেতে বর্ধমান ছাড়াও বাঁকুড়া, হুগলি এমনকী ঝাড়খণ্ডের মানুষও আসছেন। ২০২১ সালের নির্বাচনে বিরোধীরা কুৎসা ও অশান্তি ছাড়ানো ছাড়া কোনও ইস্যু পাবে না। বর্ধমান উত্তর বিধানসভায় ৫০ হাজার ভোটে লিড পাবে তৃণমূল।