কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত সঞ্জিতবাবুর বাড়ি শুকদেবপুর এলাকাতেই। তিনি এলাকায় গৌতম দাসের অনুগামী বলে পরিচিত। এদিকে, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কালীপদবাবুর সঙ্গে আবার বিপ্লববাবুর খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। আর তা থেকেই শুরু হয়েছে গোষ্ঠীকোন্দলের ইস্যু নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনা।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, এদিন সকালে তৃণমূলের পার্টি অফিসে সঞ্জিতবাবু আরও কয়েকজনের সঙ্গে মিলে ক্যারম খেলছিলেন। সেসময় আচমকা হাজির হয় কয়েকজন। তাদের মধ্যে থেকেই একজন সঞ্জিতবাবুকে ডেকে নিয়ে তাঁকে গুলি করে। তাঁর ডান কানের নীচে গুলি লাগে। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। ততক্ষণে আততায়ীরা পালিয়ে যায়। সেসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন কালীপদবাবু। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জনরোষের মুখে পড়ে কালীপদবাবু অসুস্থ হয়ে মাটিতে পড়ে যান। তাঁকে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে সঞ্জিতবাবুকেও উদ্ধার করে গঙ্গারামপুর হাসপাতালেই নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে মালদহ মেডিক্যালে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
গুলির রেশ কাটতে না কাটতে শুকদেবপুরের পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়। ওই এলাকার এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। ঘটনাস্থলে গঙ্গারামপুর থানার বিশাল পুলিস বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। দমকল কর্মীরা পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ওই ঘটনায় পুলিস ইতিমধ্যেই সাতজনকে আটক করেছে। জেলা পুলিস সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, কয়েকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। তাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এলাকায় পুলিস পিকেট বসানো হয়েছে। ছয়জন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের থেকে চার রাউন্ড গুলি ও একটি নাইন এমএম পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। ঝামেলার পিছনে কী কারণ রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলকে দায়ী করলেও তা মানতে নারাজ জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দাস। তিনি বলেন, গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগের সঙ্গে আমি একমত নই। সঞ্জিত সরকার প্রথম সারির একজন তৃণমূল কর্মী ছিলেন। তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস দল করতেন। ওই ঘটনার পর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে ঘটনার পর ওই এলাকা থেকে কাদের বেরিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে, সেটা সকলেই দেখেছে। গঙ্গারামপুরের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। আমি খবর পেয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। ইতিমধ্যেই পুলিস তদন্তে নেমেছে। আমরা দলগতভাবেও সবদিক খতিয়ে দেখছি। ওই কর্মী রাজনৈতিক কারণে খুন হলেন কি না তা দেখছি।
জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান বিপ্লব মিত্র বলেন, কালীপদ আমাদের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস করেছে। হঠাৎ করে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওর মৃত্যু হয়েছে। এর সঙ্গে অন্য কোনও ঘটনার যোগ নেই। শুনেছি, শুকদেবপুরে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে দলীয়ভাবে খোঁজ নেব।