কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ
কেন এই অবস্থা? স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে এলাকার চাষিদের অভিযোগ, সঠিক পরিকল্পনা করে ওই মাণ্ডি তৈরি করা হয়নি। প্রশাসনের তরফে যে জায়গায় মাণ্ডি বানানো হয়েছে, তা চাষিদের উৎপাদিত ফসল নিয়ে আসার পক্ষে সহায়ক নয়। তাই মাণ্ডিতে আসেন না কৃষকরা। ফলে বিপুল টাকা খরচ করে বানানো সেই মাণ্ডির চত্বরে এখন আড্ডা জমায় দুষ্কৃতীরা। বসে অসামাজিক কাজকর্মের আসর। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের।
জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে ওই মাণ্ডিটির উদ্বোধন করা হয়েছিল। তারপর প্রায় চার বছর ধরে জেলাশাসক থেকে শুরু করে বিডিও, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের একাধিক আধিকারিক বালুরঘাটের মাহিনগরের ওই কিষানমাণ্ডি চালু করা নিয়ে বারবার বৈঠক ও পরিকল্পনা করলেও ব্যর্থ হয়েছেন। ব্যবসায়ী ও কৃষকরা বলছেন, যেখানে মাণ্ডিটি রয়েছে, সেটি একেবারেই জনমানবশূন্য এলাকা। জাতীয় সড়ক থেকে অনেকটা ভিতরে। গাড়ি করে উৎপাদিত ফসল বা সামগ্রী নিয়ে আসতে গেলে ভরসা জাতীয় সড়ক থেকে মাণ্ডি পর্যন্ত একটি রাস্তা। কিন্তু সেই রাস্তা এতটাই সংকীর্ণ যে পাশাপাশি দু’টি গাড়ি চলাচল করাই মুশকিল। অবধারিত যানজট লেগে যাবে। সাধারণ মানুষের পক্ষেও কেনাকাটা করতে অতটা ভিতরে যাওয়া মুশকিল। যোগাযোগ ব্যবস্থার এই সমস্যাই সকলের মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার একটা বড় কারণ। ফলে ব্যবসায়ীরা দোকান দিতে রাজি হচ্ছেন না। পরিবহণ খরচ অনেক পড়ে যাবে বলে আসতে চাইছেন না কৃষকরাও।
দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনও সমস্যা থাকলে তার সমাধান করা হবে। প্রশাসনের তরফে মাণ্ডি দ্রুত চালু করা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হবে।
বালুরঘাট থানার পুলিস জানিয়েছে, আমরা নিয়মিত টহলদারি চালাই। আসামাজিক কাজকর্ম চলার অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে। বালুরঘাটের বিধায়ক আরএসপি নেতা বিশ্বনাথ চৌধুরী বলেন, এই নিয়ে আর কি বলব! প্রশাসনকে বলে বলে আমরা হাঁফিয়ে গিয়েছি। বাম আমলে কোনও কাজে হাত দেওয়ার আগে আমরা সকলের সঙ্গে বৈঠক করে জায়গা চিহ্নিত করতাম। কিন্তু এখন তৃণমূলের আমলে সেসব কিছু হয় না। আগে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে নিলে এমনটা হতো না।
বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা মালদহ জেলার পর্যবেক্ষক শুভেন্দু সরকার বলেন, এই সরকার সমস্ত কাজে ব্যর্থ। পরিকল্পনাহীন ভাবে কিষাণমাণ্ডি বানিয়ে দিল। প্রশাসনের উচিত, দ্রুত সুষ্ঠু পরিকল্পনা করে মানুষের স্বার্থে মাণ্ডিটি চালু করা। এলাকার বাসিন্দারা একসুরে জানিয়েছেন, কোটি টাকা খরচ করে ওই মাণ্ডি বানানোর আগে স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করে জায়গা চিহ্নিত করলে এই সমস্যা হতো না।